অনলাইন ডেস্ক : পেনাল্টি গোলের ম্যাচ, শারীরিক প্রতিযোগিতার ম্যাচ, মেসির সাতশ’ গোলের ‌ম্যাচ। কিন্তু পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের টিকে থাকার এই ম্যাচে আবার মূল্যবান দুই পয়েন্ট হারিয়েছে বার্সেলোনা। ঘরের মাঠে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-২ গোলের সমতা করে মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা।

রিয়াল মাদ্রিদের থেকে সব দিক থেকেই এখন পিছিয়ে গেছে তারা। এক ম্যাচ হাতে রেখে রিয়াল তাদের চেয়ে এগিয়ে এক পয়েন্টে। আগামী ম্যাচে জিদানের দল জয় পেলে পয়েন্ট ব্যবধান হয়ে যাবে চার। এছাড়া মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসেবেও এগিয়ে আছে রিয়াল। টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে তাই বার্সেলোনা এক প্রকার লিগ শিরোপার লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে।

ম্যাচের চার গোলের তিনটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। অন্যটি আত্মঘাতী। ম্যাচের ১১ মিনিটেই নিজেদের জালে বল জড়িয়ে বার্সাকে এগিয়ে দেন ডিয়াগো কস্তা। এরপর ১৯ মিনিটে সাউল গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার গোল করে এগিয়ে যায় কিকে সেতিয়েনের দল। এবার পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের সাতশ’ গোলের মাইলফলক।

বার্সেলোনার হয়ে লিও করেছেন ৬৩০ গোল। বাকি ৭০ গোল এসেছে তার জাতীয় দল আর্জেন্টিনার জার্সিতে। একটু দেরিতে হলেও তিনি পেয়েছেন তার জন্মদিনের উপহার। বর্তমান ফুটবলারদের মধ্যে গোলের হিসেবে কেবল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আছেন তার ওপরে। সিআরসেভেন ক্যারিয়ারে ৭২৫ গোল করেছেন। ম্যাচ খেলেছেন হাজারটার বেশি।

কিন্তু মেসির গোলে বার্সার লিড নেওয়ার স্বস্তি টেকেনি বেশিক্ষণ। ৬২ মিনিটে আবার সমতায় ফেরে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। এবারও সেই পেনাল্টি থেকে। নেলসন সেমেদোর হাঁটুর সঙ্গে আলতো ছোঁয়া লেগে বক্সে পড়ে যান কারাসকো। পেনাল্টি শটটি ঝাপিয়ে পড়ে দুই হাতে লাগিয়েও জালে যাওয়া আটকাতে পারেননি বার্সা গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগান। ওই গোলেই সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডিয়াগো সিমিওনের শিষ্যরা।

ম্যাচে অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে বার্সার দিতে হয়েছে বেশ শারীরিক পরীক্ষা। পুরো ম্যাচে আটটি হলুদ কার্ড বের করেছেন রেফারি। তার মধ্যে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ পেয়েছে পাঁচটি, তিনটি বার্সা। সেল্টা ভিগোর পরে আরেকটি পয়েন্ট হারানোর ম্যাচে বার্সার সবচেয়ে বড় পাওয়া সম্ভবত রিকি পুচ। মাঝমাঠে তরুণ-ছোটখাটো আকারের এই ফুটবলার দারুণ খেলেছেন।