স্পোর্টস ডেস্ক : বার্সেলোনার মুখোমুখি হওয়ার আগে নাপোলির কোচ জেনারো গাত্তুসো বলেছিলেন- বাস্তবে নয়, মেসিকে শুধু স্বপ্নেই আটকানো সম্ভব।
মুখে বললেও শনিবার রাতে মাঠে মেসিকে থামানোর সব চেষ্টাই করেছিলেন নাপোলির কোচ। কিন্তু তার কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসেনি। একের পর এক ফাউল করেও মেসিকে থামানো যায়নি।

আর্জেন্টাইন জাদুকরের উদ্ভাসিত নৈপুণ্যে নাপোলির বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে বার্সেলোনা। ঘরের মাঠ ন্যুক্যাম্পে শেষ ষোলোর ফিরতি ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে বার্সা। নাপোলির মাঠে প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। ফিরতি ম্যাচে মেসি একটি গোল করেছেন। তবু ম্যাচটি মেসিময় বললে ভুল হবে না।

বার্সার অধিনায়কের গোলটাই সেরা মুহূর্ত। এমন অবিশ্বাস্য গোল প্রতিদিন দেখা যায় না। ভাগ্য সহায় হলে তার নামের পাশে লেখা থাকত হ্যাটট্রিক। একটি গোল তার বাতিল হয়।

এত কিছুর পরও শনিবার রাতটা শুধু মেসির নয়। মিউনিখে শেষ ষোলোর আরেক ফিরতি ম্যাচে চেলসিকে একাই লণ্ডভণ্ড করেছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্ট লেওয়ানডোস্কি। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ ৪-১ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-১ ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে বায়ার্ন। চেলসিকে এভাবে পর্যুদস্ত করার কারিগর লেওয়ানডোস্কি।

প্রথম লেগে দলের তিন গোলের মধ্যে একটি করেছিলেন, দুটি বানিয়ে দিয়েছিলেন। ফিরতি ম্যাচেও দলের চার গোলেই থাকল তার ভূমিকা। নিজে করেছেন জোড়া গোল। পেরেসিচ ও তোলিসোর করা দলের বাকি দুটি গোল তার বানিয়ে দেয়া। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩ গোল লেওয়ানডোস্কির। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ মৌসুমে সর্বোচ্চ ৫৩ গোল এই পোলিশ ফরোয়ার্ডের।

শুক্রবার লিসবনে হাইভোল্টেজ কোয়ার্টার ফাইনালে মেসির বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে লেওয়ানডোস্কির বায়ার্ন। যেখানে ইউরোপের অন্যতম সেরা দুই দলের লড়াইয়ের মোড়কে থাকছে জিভে জল আনার মতো একখণ্ড যুদ্ধ- মেসি বনাম লেওয়ানডোস্কি। সব মিলিয়ে এ মৌসুমে ৪৪ ম্যাচে ৫৩ গোল করার পাশাপাশি আটটি গোল বানিয়ে দিয়েছেন লেওয়ানডোস্কি। অন্যদিকে ৪২ ম্যাচে ৩০ গোল করা মেসি বানিয়ে দিয়েছেন ২৬টি গোল।