অনলাইন ডেস্ক : রেপো (পুনঃক্রয় চুক্তি) সুদহার আরও এক দফা বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরের জন্য ‘সতর্ক’ ও ‘সংকোচনমুখী’ মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২-২৩ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, ‘এবার সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি ভঙ্গি অনুসরণ করা হয়েছে, যা কিছুটা সংকোচনমুখী।’
গভর্নর বলেন, ‘টাকার অভ্যন্তরীণ বাহ্যিক মান, অর্থাৎ মূল্যস্ফীতি ও বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা হবে নতুন অর্থবছরের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ।’
চাহিদাজনিত মূল্যস্ফীতি চাপ কমানোর পাশাপাশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী খাতে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে একদিন মেয়াদী রেপোর সুদহার ৫ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।এর আগে গত ২৯ মে এই হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল।
তবে রিভার্স রেপো হার আগের মতোই ৪ শতাংশ, বিশেষ রেপো হার ৮ শতাংশ এবং ব্যাংক রেট ৪ শতাংশ রাখা হয়েছে।
ব্যাংকগুলো যখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার করে, তখন তার সুদহার নির্ধারিত হয় রেপোর মাধ্যমে। আর রিভার্স রেপোর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো তাদের উদ্বৃত্ত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যে সুদহারে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেয়, তাকে বলে ব্যাংক রেট।
বাজেটে ঘোষিত সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী জিডিপি প্রবৃদ্ধির উপযুক্ত আর্থিক পরিবেশ তৈরি এবং বাজারে পণ্যমূল্য সহনীয় মাত্রায় রাখতে এসব নীতি হারের মাধ্যমে বাজারে তারল্য প্রবাহ আর অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।