স্পোর্টস ডেস্ক : ব্যাট করতে এসে প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন। সুমন খানের জোরালো এলবিডব্লিউ আবেদন বাতিল হওয়ার পর আর একবারও পরাস্ত হননি আফিফ হোসেন। দৃষ্টিনন্দন সব শটের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তিনি। অনায়াসে সেঞ্চুরি এবং তারচেয়ে বেশি কিছুর আভাস ছিল তার ব্যাট। কিন্তু মাত্র ২ রান আগে মুশফিকুর রহিমের ভুলে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে আফিফকে।
গতকাল বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপে তৃতীয় ম্যাচে এসে রানের দেখা পেলেন এই বাঁহাতি তরুণ। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাহমুদউল্লাহ একাদশদের বিপক্ষে ১০৭ বলে ১২ চার ১ ছক্কায় আফিফ করেছেন ৯৮ রান। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মুশফিক এদিন ছিলেন অনেক মন্থর। ৯৩ বলে ৫২ রান করেছেন তিনি। সাতে নেমে ইরফান শুক্কুর করেন ৩১ বলে ৪৮ রান। তাদের ব্যাটে শান্ত একাদশ ৫০ ওভার খেলে করেছেন ৮ উইকেটে ২৬৪ রান। তবে শেষ হাসি হেসেছে আফিফের দলই। নাসুম আহমেদ, আবু জায়েদ ও রিশাদ হোসেনের বলে মাহমুদউল্লাহ একাদশ উইকেট হারায় নিয়মিত। তাতে ৩২.১ ওভারে ১৩৩ রানেই গুটিয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর দল। সর্বোচ্চ ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন নুরুল হাসান সোহান। এচাড়া লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান।
টস হেরে এদিন নাঈম শেখের বদলে পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে ওপেন করতে নামেন সৌম্য সরকার। কিন্তু আরও একবার ব্যর্থ হন সৌম্য। রুবেল হোসেনের বলে মাত্র ৮ রান করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও থেকেছেন মলিন। এবার রুবেলের বলে স্টাম্পে টেনে ফেরত যান তিনি। চতুর্থ উইকেটে এসে বড় জুটি পায় শান্তরা। আফিফ-মুশফিক যোগ করেন ১৪৭ রান। যার মধ্যে আফিফ একাই করেছেন ৯৮ রান। ১ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে জীবন পাওয়া মুশফিক ধুঁকেছেন বিস্তর। অপর প্রান্তে আফিফ ছিলেন সাবলীল। নান্দনিক কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি পাঠিয়েছেন সুমন খানকে। রুবেলকে উড়িয়েছেন পুলে। স্পিনারদের বলে স্কুপ করে বাড়িয়েছেন রান।
৬৯ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পরের ৩৮ বলে তুলেছেন ৪৮ রান। সেঞ্চুরি মনে হচ্ছিল তার হাতের মুঠোয়। নিজে কোন ভুল না করেও সেঞ্চুরি বঞ্চিত থাকতে হয়েছে তাকে। মিরাজের বলে শর্ট মিড উইকেটের দিকে ঠেলে প্রান্ত বদল করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। আফিফকে কল দিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন তিন-চার ধাপ। সেখানে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহকে তৎপর দেখে পিছিয়ে যান তিনি। ওদিকে আফিফ অনেকটা স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছুটে যাওয়ায় আর ফিরতে পারেননি।
সঙ্গীকে বিদায় করে নিজেও বেশিক্ষণ থাকেননি মুশফিক। ইবাদত হোসেনের লাফানো বলে পুল করতে গিয়ে উইকেটে পেছনে ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। পরে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে সাতে নামা ইরফান শুক্কুর ঝড় তুলে এগিয়ে নেন দলকে। ৭০ রানের জুটি করেন তারা। হৃদয় ২৯ বলে ২৭ করে ফিরে গেলেও ইরফান এগুচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি, ২ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৪৮ রানে। তার ব্যাটে দল ২৬০ পেরিয়ে যায়।