অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার কানাডিয়ান সরকারের কাছ থেকেও মানব মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে পরীক্ষার অনুমতি পেল ইলন মাস্কের নিউরালিঙ্ক। প্রতিষ্ঠানটির উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তিটি নিয়ে আরও বিশদভাবে বাস্তবিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য এ অনুমতি দিয়েছে দেশটি। এর আগে তাদেরকে এই ‘মস্তিষ্ক চিপ’-এর ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি পৃথক এক বিবৃতিতে কানাডার ইউনিভার্সিটি হেলথ নেটওয়ার্ক হসপিটাল জানিয়েছে, তাদের টরন্টো শাখায় এই চিপের মেডিকেল ট্রায়াল পরিচালনা করতে পারবে নিউরালিঙ্ক।

বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি টেসলা, মহাকাশ অভিযানের সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী কোম্পানি স্পেস এক্স এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক নিউরালিঙ্ক কোম্পাটি প্রতিষ্ঠা করেন ২০১৬ সালে। শুরু থেকেই তার এই কোম্পানির লক্ষ্য ছিল মানুষের মস্তিষ্ক ও প্রযুক্তির মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের চ্যানেল তৈরি করা।

সেই লক্ষ্যে তাদের দীর্ঘদিনের এক প্রচেষ্টার ফসল মস্তিষ্ক চিপ; অর্থাৎ মানব মস্তিষ্কে এমন একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন চিপ স্থাপন করা, যার মাধ্যমে মানুষ কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্ট টিভি, স্মার্ট গাড়ির সঙ্গে হাত-পা না নাড়িয়ে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।

এই গবেষণা প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বানর এবং শূকরের ওপর ট্রায়াল চালানো হয়েছিল। সেই ট্রায়াল সফল হওয়ার পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ইলন মাস্ক ঘোষণা দেন, মানব মস্তিষ্কে এই চিপের ট্রায়াল চালাতে চান তিনি।

সে সময় এক অনুষ্ঠানে মাস্ক বলেছিলেন, যারা শারীরিকভাবে চলাচল কিংবা হাত-পায়ের পেশি সঞ্চালনে অক্ষম, মূলত তাদের সমস্যা বিবেচনা করেই এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে নিউরালিঙ্ক।

ওইদিন তিনি আরও বলেছিলেন, শুনতে হয়তো অলৌকিক মনে হবে, কিন্তু স্পাইনাল কর্ডের (মেরুদণ্ডের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগকারী বিশেষ স্নায়ু) সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে— এমন লোকজনও নিউরালিংকের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। এ কারণে স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে নিউরালিঙ্ক তাদেরকেই প্রাধান্য দেবে, যারা হাত-পায়ের পেশী সঞ্চালনে অক্ষম।