স্পোর্টস ডেস্ক : নারী এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। বাংলাদেশ নারী দলের কাছে ১১৪ রানের ব্যবধানে হেরেছে মালয়েশিয়ার মেয়েরা। পরবর্তী পর্ব অর্থাৎ সেমিফাইনালে খেলার জন্য মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানের জয় দরকার ছিল বাংলাদেশের। প্রত্যাশিত জয়ই পেয়েছে নিগার সুলতানার দল।
গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ খেলে দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছে তারা। স্বাগতিক শ্রীলংকার কাছে ৭ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্টে যাত্রা করেছিল বাংলাদেশ। এরপর থাইল্যান্ডের মেয়েদের ৭ উইকেটে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এবার মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আরেকটি জয় পেয়েছে তারা। এই দুই জয়ে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অর্জন ৪ পয়েন্ট।
শ্রীলংকার ডাম্বুলার স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে মুর্শিদা খাতুন ও নিগার সুলতানার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মুর্শিদা (৮০) ও নিগারের (অপরাজিত ৬২) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ দল। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে সর্বসাকুল্যে ৭৭ রান সংগ্রহ করে মালয়েশিয়ার মেয়েরা। ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখানোয় ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছে মুর্শিদা খাতুন।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৫ রানের দারুণ সূচনা পায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার দিলারা আক্তার ও মুর্শিদা মিলে স্কোর বোর্ডে ওভার প্রতি প্রায় আট রান করে তুলেন। অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে মালয়েশিয়ার ইজাতি ইসমাইলের অফস্পিনের বলে পুল করতে গিয়ে ধরা খান দিলারা। স্কয়ার লেগে অসাধারণ এক ক্যাচ উপহার দেন এলিশা। ফলে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটিতে ফাটল ধরে। ২০ বল খেলে ৪টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ব্যক্তিগত ৩৩ রান সাজঘরে ফেরেন দিলারা। দলীয় ৬৫ রানে ইজাতি ইসমাইল দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেও বিদ্যুৎ গতিতে স্কোর বোর্ডে বাংলাদেশের রান তোলার ক্ষেত্রে সেভাবে বাধা তৈরি করতে পারেনি মালয়েশিয়া। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মুর্শিদা ও নিগার মিলে ৮৯ রান সংগ্রহ করে দলীয় স্কোর হৃষ্টপুষ্ট করেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেকে ছাড়িয়ে সেঞ্চুরির পথ ধরেই হাঁটছিলেন মুর্শিদা। কিন্তু সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ব্যক্তিগত ৮০ রানে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। ৫৯ বলে খেলা তার ইনিংসে ১০টি চার ও একটি দর্শনীয় ছক্কার মার ছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মুর্শিদার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস এটি। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল অপরাজিত ৭৭ রানের। মুর্শিদা সাজঘরে ফিরলেও আর উইকেট পতন হয়নি বাংলাদেশের। ৩৭ বলে অপরাজিত ৬২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন নিগার। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ২টি ছক্কার মার ছিল।
১৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে বিপাকে পড়ে মালয়েশিয়ার মেয়েরা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় তারা। এরপর কিছু ধরে খেলার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ধারাবাহিক বিরতিতে উইকেট পতন হয় তাদের। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের সাত জন বোলিংয়ে হাত ঘুরিয়েছেন। এর মধ্যে ছয় জনই সফল হয়েছেন। অর্থাৎ প্রত্যেকেই উইকেট পান। এর মধ্যে নাহিদা আক্তার সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করে নিজেকে আলাদা করে রাখেন। জাহানারা, সাবিকুন নাহার, রাবেয়া খান, রিতু মনি ও স্বর্ণা আক্তার উইকেট শিকার করেন।