অনলাইন ডেস্ক : চীন থেকে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরিয়ে আনতে নগদ অর্থের প্রলোভন দেখাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে, যেসব মার্কিন সংস্থা চীন থেকে বাড়তি আয় করছে সেগুলোর সঙ্গে সরকারি চুক্তি ছিন্ন করার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। সোমবার এক বক্তব্যে তিনি প্রতিশ্রুতি করেন, ১০ মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি করবেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, আমরা চীনের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতার অবসান ঘটাবো। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীন থেকে সরিয়ে আনার প্রচেষ্টা দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বাণীজ্যযুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বশেষ আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে সম্প্রতি প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ে, ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক ও উইচ্যাট মেসেঞ্জারসহ একাধিক চীনা প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করেছেন ট্রাম্প।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা নতুন করে জ্বলে উঠেছে। চীনের প্রযুক্তি খাত থেকে বেরিয়ে অন্যান্য খাতকেও টার্গেট করা শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার ট্রাম্প বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান চীন থেকে কর্মসংস্থান আমেরিকায় ফিরিয়ে আনবে তাদের কর সুবিধা দেওয়া হবে।
আমরা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনীতি তৈরি করেছি। এখন সময় এসেছে, আবার তা করার।
প্রসঙ্গত, আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়ছেন ট্রাম্প। নির্বাচনের আগ দিয়ে, নিজের পররাষ্ট্র নীতিমালা নিয়ে ঢালাওভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। দিচ্ছেন নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি। সম্প্রতি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় তার প্রশাসনের ব্যর্থতা বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়েছে। এমতাবস্থায় চীনের প্রতি আরো কঠোর অবস্থানে যাচ্ছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। সোমবার আগ থেকেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ভুক্তভোগী হওয়া হুয়াওয়ের ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির ইলেক্ট্রিক সরঞ্জাম কেনার সুযোগ সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য চীনা প্রতিষ্ঠানের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বহু দেশের প্রতিষ্ঠানের কারখানা রয়েছে চীনে। এজন্য অনেকে চীনকে ‘বিশ্বের কারখানা’ বলে থাকেন। অ্যাপল, নাইকি সহ বহু শীর্ষ মার্কিন প্রতিষ্ঠানেরও কারখানা রয়েছে সেখানে