Home আন্তর্জাতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় এবার রাশিয়ার ১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় এবার রাশিয়ার ১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার ১২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কিরগিজস্তানের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের অনেকেই ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে। অনেকে অস্ত্র উৎপাদন ও প্রতিরক্ষা গবেষণার সঙ্গে যুক্ত।

মার্কিন অর্থ ও পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, ধাতব ও খনি খাতে রাশিয়ার রাজস্ব আয় কমাতে, ভবিষ্যৎ জ্বালানি সক্ষমতাকে দুর্বল করতে, মস্কোর সামরিক সক্ষমতা ও যুদ্ধক্ষেত্রে সমরাস্ত্র সরবরাহ রুখে দিতে এবং অর্থনৈতিক ভিত্তি দুর্বলসহ ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করে—এমন ইলেকট্রনিকস ও অন্যান্য পণ্য যাতে রাশিয়া না পায়, সেজন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ওই সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন সম্পদ, তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পদ জব্দ করা হবে। শুধু তাই নয়, মার্কিন কোনো নাগরিক বা এই দেশে বসবাসরত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে তাদের লেনদেন করার সুযোগ থাকবে না।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, যতদিন যুদ্ধ চলমান থাকবে আমরা এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখব। এটিই শেষ নিষেধাজ্ঞা নয়। আগামী দিনগুলোতে আরও উপযুক্ত নিষেধাজ্ঞা জারির উপায় আমার বিবেচনা করব।

এদিকে, মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অন্তহীন আক্রমণের’ অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, হোয়াইট হাউসের এ ধরনের ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্বকে আরও সুসংহত করতে সহায়তা করবে।

এর আগে, ১৯ জুন দুর্নীতি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তসহ বিভিন্ন অভিযোগে চার দেশের ৩৯ ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশগুলো মধ্যে নিকারাগুয়ার ১৩ জন, গুয়াতেমালার ১০ জন, হন্ডুরাসের ১০ জন এবং এল সালভাদরের ৬ জনের নাম রয়েছে।

ওয়াশিংটনের রুশ দূতাবাস বলছে, রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই অবরোধ পশ্চিমা বিশ্বের চাপিয়ে দেওয়া ‘হাইব্রিড যুদ্ধের’ অংশ।

দূতাবাসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হোয়াইট হাউসের এ ধরনের ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্বকে আরও সুসংহত করতে সহায়তা করবে।

সূত্র: রয়টার্স, দ্য মস্কো টাইমস

Exit mobile version