অনলাইন ডেস্ক : ঢাকাই চলচ্চিত্রের সাড়া জাগানো অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর পুরান ঢাকার নিজ বাসায় শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বরেণ্য অভিনেতার মেয়ে কোয়েল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কয়েক বছর ধরে নানান ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান।
সর্বশেষ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি হন কিংবদন্তি অভিনেতা। পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে তাকে বাসায় নেওয়া হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে অসুস্থ হয়ে পড়লে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বরেণ্য এ অভিনেতাকে। পরে সেখান থেকে শাহবাগের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। সেখানে বড় একটি অপারেশনও হয় তার। প্রায় চার মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল তাকে।
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামানের জন্ম।
তার চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে ‘বিষকন্যা’ ছবিতে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর সহকারী হিসেবে। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা। এ পর্যন্ত শতাধিক ছবির চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন এটিএম শামসুজ্জামান।
একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন নানা স্বীকৃতি ও সম্মান।