সোনা কান্তি বড়ুয়া : ’৭১-এর গণহত্যার বিচারে জামায়াতী এজেন্ট ধর্মান্ধ মুসলমান মৌলবাদী শক্তির ঝুমকা গিরা রে, বাংলাদেশকে বাজার মে…! ধর্মান্ধ মৌলবাদীর- বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্ম এবং হিন্দুধর্ম ধর্ম ভেঙ্গে গড়ে তোলছে ধর্মান্ধ ইসলাম ধর্ম কেন? সভ্যতার ইতিহাসে মানবজাতি অন্যায়কে পরাভ‚ত করে ন্যায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে, সর্ব ধর্মে হারানো মানবতার খোঁজে আমাদের দীপ জ্বেলে যাই! কোন মানুষ অন্য মানুষের শত্রু নয়। ’৭১-এর গণহত্যার বিচারে জামায়াতী এজেন্ট ধর্মান্ধ ধর্ম নিয়ে রাষ্ঠ্রদ্রোহীদের ধান্দাবাজি! আমাদের মানবাধিকার এবং বিশ্বমানবতার শত্রু ধর্মান্ধ জামায়াতী এজেন্ট ধর্মান্ধ ইসলামি রাজাকারদের রাজনীতির এতো উলঙ্গ দর্প বাংলাদেশে কেন? জামায়াতী এজেন্ট থেকে কওমি শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার আহ্বান’ (যুগান্তর ডেস্ক, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১)! রাষ্ট্রদ্রোহী ধর্মান্ধ বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্ম এবং হিন্দুধর্ম ধর্ম ভেঙ্গে গড়ে তোলছে ইসলাম ধর্ম! ৭১-এর গণহত্যার বিচারে পাকিস্তান ও সাতচল্লিশের ধর্মান্ধ ধর্মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে স্বাধীনতার অভ্যুত্থান! রাজাকার, আলবদর, রাষ্ট্রদ্রোহী ধর্মান্ধ ধর্মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে স্বাধীনতার অভ্যুত্থান! ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অভিশাপে মানুষের দরবারে অত্যাচারিতের দুঃখের দহনে করুণ রোদনভরা ফরিয়াদে আকাশ বাতাস কেঁদে কেঁদে গুমরে উঠে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে!

বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানরষ স্বাধীনতা পায়নি! বাংলাদেশে মানব জাতির হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই চিটিংবাজ ধর্মান্ধ মুসলমান মৌলবাদী গোষ্ঠীর হিংসা উন্মত্ত অভিশপ্ত রাজনীতির ইসলাম ধর্ম!’ (যুগান্তর ডেস্ক, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১)! আমাদের জাতীয় বিবেকের জবাবদিহিতার শক্তি মরে ইসলাম ধর্ম নামক বিভিন্নভয় ভীতির কবলে! ঠিক ৫০ বছর পর উগ্রপন্থী জঙ্গি সংগঠন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালো! এই উগ্রপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর দল বঙ্গবন্ধুর ম্যূরালে হাত দিলো! ৭১-এর পরাজিত অকৃতজ্ঞ ধর্মান্ধ শক্তি এমন এক অভিশাপ যা থেকে নিস্তার পাইনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা! ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই এক দল বিহারীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর আর প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়েছিলো। ৩০ লক্ষ শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন করা এই দেশে শীঘ্রই এই জঙ্গিবাদের বিচার হবে, অবশ্যই বিচার হবে ইনশাআল্লাহ্।

বাঙালি এনলাইটেনমেন্ট যুগে জনৈক জনপ্রিয় কবির ভাষায়, “বিশ্বমানব হবি যদি শাশ্বত বাঙালি হও, সম্পূর্ণ বাঙালি হও।” বাংলাদেশে মানব জাতির হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই চিটিংবাজ ধর্মান্ধ মুসলমান মৌলবাদী গোষ্ঠীর হিংসা উন্মত্ত অভিশপ্ত রাজনীতির ইসলাম ধর্ম!’ (যুগান্তর ডেস্ক, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১)! বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত আমাদের বাংলাদেশে আমাদের পরম তীর্থভ‚মি! কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায রের ভাষায়, / ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা / তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা! বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, ‘নমোনমো নমঃ, সুন্দরী মম জননী বঙ্গভ‚মি! / গঙ্গার তীর স্নিগ্ধ সমীর জীবন জুড়ালে তুমি। / অবারিত মাঠ, গগন-ললাট চুমে তব পদ-ধূলি, / ছায়া-সুনিবিড় শান্তির নীড় ছোট ছোট গ্রামগুলি। / পল্লবঘন আম্রকানন, রাখালের খেলাগেহ; / স্তব্ধ অতল দীঘি-কালোজল, নিশীথ-শীতল স্নেহ। / বুকভরা মধু বঙ্গের বধু জল ল’য়ে যায় ঘরে, / মষ বলিত প্রাণ করে আনচান, চোখে আসে জল ভরে’। / বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি / তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী! / ওগো মা, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফিরে! / তোমার দুয়ার আজি খুলে গেছে সোনার মন্দিরে\

বাংলার সিংহাসনে মুসলমান বখতিয়ার খিলজি কেন? রাজা লক্ষণ সেনের যুবতী রানী নির্লজ্ বল্লভার সাথে চিটিংবাজ হলায়ুধ মিশ্র মহামন্ত্রীর গোপন প্রেম ছিল (কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা “দুষ্কালের দিবানিশি”)! রাজা লক্ষণ সেন জানতে পারলে হলায়ুধ মিশ্র মহামন্ত্রীর শিরচ্ছেদহতেষ! শিরচ্ছেদ থেকে রক্ষা পেতে মহামন্ত্রী হলায়ুধ মিশ্র রাজা লক্ষণ সেনকে সরিয়ে বখতিয়ার খিলজিকে বাংলার সিংহাসন আরোহনের নীলনক্সার পুঞ্জীভ‚ত (লোমহর্ষকর) বাস্তব ঘটনাবলী ‘শেখ শুভোদয়া’ শীর্ষক বই রচনা করে অকপটে স্বীকার করলেন। এবং সম্রাট আকবর প্রতিটি অভিজাত হিন্দু পরিবার থেকে সুন্দরী কন্যা সংগ্রহ করতেন। তার হারেমে ৫০০০ এর অধিক হিন্দু কন্যা ছিল। জাহাঙ্গীর বলতেন- “মনের বাসনা হয়, যত হিন্দু পাই, সুন্নত দেওয়াই আর কলেমা পড়াই।” (চৈতন্য ভাগবত, ২য় ভাগ, পৃ-১৮৮)।

জামায়াতী এজেন্ট ধর্মান্ধ ইসলামি রাজাকারদের রাজনীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশে রবীন্দ্রসংগীতের অভ্যুত্থান! রবীন্দ্র জন্মের পর পেরিয়ে গেছে দেড়শোটি বছর? এত বছর পরেও কতটা প্রাসঙ্গিক তাঁর সংগীত? সে প্রশ্ন স্বভাবতই জরুরি মনে হতে পারে? কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই এত বছর পেরিয়ে গেলেও আজও বাঙালি মননের মনে হয় না রবীন্দ্রসংগীত তার প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে? সেকথাই বলছেন এমনকি আজকের প্রজন্মের শিল্পীরা, শ্রোতারাও? আজও প্রতি বছর নবীন, তরুণ শিল্পীরা আগ্রহ নিয়ে শিখছেন রবীন্দ্রনাথের গান? গাইছে আজকের প্রজন্ম তাঁরই সেই শাশ্বত রচনা? বারেবারে বাঙালির মননকে ঋদ্ধ করছে, তার হৃদয়কে আপ্লæত করছেন সেই রবীন্দ্রনাথ? লালন ফকির যাঁর প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘সত্যদ্রষ্টা বাউল?’ ইসলাম ধর্ম নিয়ে বাংলাদেশে TALEBAN POLITICAL ধান্দাবাজি! কোন আইনে লেখা আছে যে, বাংলাদেশে একজন নারী বাংলা নব বর্ষবরণে কপালে টিপ পরতে পারবেন না কেন?

আজ ইউরোপের সুইডেন, নেদারল্যান্ডের পর এবার পবিত্র কোরান পোড়ানো হলো ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্কে! একের পর এক কোরান পোড়ানোর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গোটা মুসলিম বিশ্ব। যে ইউরোপকে বলা হয় সভ্যতার মানদণ্ড, রাজনীতির নামে সে ইউরোপেই চলছে সা¤প্রদায়িক উস্কানি? (PROTHOM ALO 28 JANUARY 2023)! সত্য কখনো চাপা থাকে না! ইতিহাস কিন্তু বড় নির্মম! ইউরোপে কোরান পোড়ানোর (২০২৩) ঘটনায় বাংলাদেশে ১২ বছরে ও কোরান নিয়ে MADE THE FALSE CASE রামু বৌদ্ধ বিহারে ধ্বংসযজ্ঞ বিচার কাজ EVEN TODAY শেষ হয়নি! বাংলাদেশে ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তির আগ্রাসন ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও মানবাধিকার মানবাধিকার মানবাধিকার! কিসের আশায়,কার আশায় এ জীবন? অথচ,কত স্বপ্ন নিয়ে, কত গল্প নিয়ে সাজিয়ে রেখেছে তারা তাদের প্রবাস জীবন। এক এক মুহূর্ত তার কাছে এক এক বিভীষিকাময় প্রহর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে অমুসলমান হয়ে জন্ম গ্রহন করা অপরাধ কেন?

ধর্ম নিয়ে ধান্দাবাজি! স¤প্রতি দেশে বেশ কিছু সা¤প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ১৮ বিশিষ্ট নাগরিক। তারা এসব ঘটনাকে জাতির জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই শঙ্কার কথা জানান তারা। ১৮ বিশিষ্টজনের উদ্বেগ: সা¤প্রদায়িকতার মূলোৎপাটনের এখনই সময় (BHORER KAGOJ এপ্রিল ৬, ২০২২)!

চার্টার অব রাইটস’ সবারই অধিকারকে রক্ষা! দেশটা দু’ভাগ হয়েছিল ধর্মের নামে। কিন্তু ধর্মের চাদরে বাঙালিকে মুড়ে রাখতে পারেনি পশ্চিমের শাসকেরা। তাদের শোষণের পেষাইকল থেকে বেরিয়ে আসতে পুবে মুক্তির লড়াই চালিয়েছে। বাংলা ভাষা সে লড়াইয়ের প্রথম অস্ত্র। কিন্তু তার পরে কোন পথে কতটা এগােল ও – পার বাংলা? দিল্লির মসনদের হাজারো বঞ্চনার বিরুদ্ধে। লড়াইয়ে এ – পারের বাংলাই বা কতটা এগিয়েছে, পিছিয়েছে কতটা?
বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশের ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন (৬ মাসের) হিন্দু নির্যাতনের রেকর্ড প্রকাশ করেছিলো। উক্ত ৬ মাসের রেকর্ড আপনি দেখলে আতকে উঠবেন। এতটাই হিন্দু নির্যাতনের ভয়াবহ রেকর্ড সেখানে তুলে ধরা হয়েছে! ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২২ এর (৬ মাসের) হিন্দু নির্যাতনের রেকর্ড নিম্মে দেওয়া হলো হত্যাঃ ৭৯ জন। হত্যা হুমকিঃ ৬২০ জন। হত্যার চেস্টাঃ ১৪৫ জন। চাঁদাবাজিঃ ২৭ কোটি ২ লাখ ৮৩ হাজার। মন্দির লুটপাটঃ ১৫৬টি। বসতবাড়ি ভাঙচুরঃ ৬৬৮টি।

অ’গ্নিসংযোগঃ ৩৪৩টি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাঃ ৯৩টি। ভ‚মি দখলঃ ২ হাজার ১৫৯ একর ৬৩ শতাংশ। ঘরবাড়ি দখলঃ ১৭টি। মন্দিরের জমি দখলঃ ২৯টি। বসতবাড়ী উচ্ছেদ পরিবারঃ ১৩২টি। / উচ্ছেদের চেস্টা করা হয়েছেঃ ৭১৭টি পরিবারকে। উচ্ছেদের হুমকিঃ ৮৯৪৩ দেশ ত্যাগে বাধ্যঃ ১৫৪টি পরিবার। দেশ ত্যাগে হুমকিঃ ৩৮৯৭টি পরিবার। নি’রাপত্তাহীনতাঃ ১লাখ ১৫ হাজার ৪ শত ২৯টি পরিবার। সঙ্গবদ্ধ হামলাঃ ৫০১টি। মন্দিরে হামলা, অগ্নিসংযোগঃ ৫৬টি। প্রতিমা ভাঙচুরঃ ২১৯টি। প্রতিমা চুরিঃ ৫০টি। অপহরণঃ ৭৭ জন। গনধর্ষণঃ ১৩ জন। ধর্ষণের পর হত্যাঃ ৩ জন। ধর্ষনের চেস্টাঃ ১৯ জন। ধর্মান্তরিতঃ ৯৫ জন। ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাতঃ ৮৫৬৩ মি’থ্যা মামলার আসামিঃ ৯৬টি।

বাঙালি জাতির মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে, পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তিকমিটি ও স্বাধীনতা বিরোধীরা ধর্মীয় রং লাগিয়ে যে বর্বর হত্যাযজ্ঞ, মানুষিক, শাররীক ও ধর্মীয় নির্যাতন করেছেও যা বাঙালীজাতি কখনো ভুলার নয়! জামায়াতে ইসলামী জঙ্গীদের ধর্মান্ধ ইসলাম ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অভিশাপে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন! চিটিংবাজ ধর্মান্ধ মুসলমান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আয়না! বাঙালি এনলাইটেনমেন্ট যুগে জনৈক জনপ্রিয় কবির ভাষায়, “বিশ্বমানব হবি যদি শাশ্বত বাঙালি হও, সম্পূর্ণ বাঙালি হও।”

আমার লেখা ইংরেজি বই “ধর্ম ও বিজ্ঞান (রিলিজিয়ান এ্যান্ড সায়েন্স) এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে নিয়ে আমেরিকার পররাষ্ঠ্র দফতরে (U. S. STATE DEPARTMENT)! সর্ব ধর্মে হারানো মানবতার খোঁজে দীপ জ্বেলে যাই! মানবাধিকার বাদ দিয়ে ধর্ম হয়, না! সভ্যতার ইতিহাসে মানবজাতি অন্যায়কে পরাভ‚ত করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছে, তেমনি অসত্যকে পরাভ‚ত করে সত্য, অকল্যাণকে পরাভ‚ত করে কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছে। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা নিউ ইয়র্কে ঐক্য পরিষদের একটি শাখা খোলেন। নিউ ইয়র্কে ঐক্য পরিষদের (MEMBERS) একটি শাখা ও টরন্টোর ঐক্য পরিষদের (MEMBERS) একটি শাখা UNITEDLY বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আমেরিকার পররাষ্ঠ্র দফতরে (U. S. STATE DEPARTMENT) DATED 2 JULY 2004 AND MET WITH Ms. CHRISTINA ROKA , DEPUTY FOREIGN SECRETARY.

বৌদ্ধ বিহার ও বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ, শ্মশান দখলের প্রতিবাদ-বিচার দাবিতে বিক্ষোভ ও ঐক্যসমাবেশ সমাবেশ করেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে হাজারো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এই সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার প্রতি-বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও শ্মশান দখলের বিচার দাবি করা হয়। পাশাপাশি বৌদ্ধদের নিরাপদ ও শান্তি বজায় রাখতে সমাবেশে সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।

সমাবেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে-চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার মছদিয়া গ্রামে শত বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ শ্মশান গত ৬ আগস্ট অবৈধভাবে দখল করেছে; অবিলম্বে সেই শ্মশান দখলমুক্ত করা, চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালী, হাঁটহাজারী, কক্সবাজারের উখিয়া, কুমিল্লা, খাগড়াছড়িসহ যেই সকল বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্চুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা, নিরাপদ ও শান্তি রক্ষার জন্য বাংলাদেশের সমগ্র বৌদ্ধ পল্লীতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা, স¤প্রতি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার ধুতাঙ্গসাধক ড. এফ দীপংকর মহাথেরোর হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি, সংসদে ১০ শতাংশ সংখ্যালঘুর আসন বরাদ্দ, আইনগত মাইনোরিটি ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং বাংলাদেশ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ COUNCIL।

মানবাধিকার বাদ দিয়ে ধর্ম হয়, নষ সভ্যতার ইতিহাসে মানবজাতি অন্যায়কে পরাভ‚ত করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছে, তেমনি অসত্যকে পরাভ‚ত করে সত্য, অকল্যাণকে পরাভ‚ত করে কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছে। এ প্রক্রিয়ায় মূর্খতা ও অজ্ঞতাকে পরাভ‚ত করেই জ্ঞানকে জয়ী হতে হয়েছে। মানবজাতি আদিম যুগ থেকেই প্রকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে পর্যায়ক্রমে নিজেদের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। প্রকৃতিতেই সৃষ্টি এবং প্রকৃতিতেই বেড়ে উঠেছে বিধায় অন্যান্য প্রাণিক‚লের মতোই মানবপ্রজাতিও বেঁচে থাকার জন্য প্রকৃতি নির্ভরশীল ছিল। ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য গাছের ফলমূল, ক্ষুদ্র প্রাণী, পশুপাখি, পানি, মাছসহ জলজপ্রাণী আহরণ ও ভক্ষণই ছিল আদি মানুষের প্রধান কাজ। / চর্যাপদে আমরা দেখতে পাই সেন আমলে গায়ের জোরে উচ্চবর্ণের হিন্দু শাসকগণ বৌদ্ধগণকে দলিত বানিয়েছিলেন এবং বাঙালী সমাজের এই করুণ ছবি দেখতে পাই ৩৩ নং চর্যায়। ”টালত মোর ঘর নাঁহি পড়বেসী। হাড়ীতে ভাত নাঁহি নিতি আবেশী। এর মানে, নিজ টিলার উপর আমার ঘর। প্রতিবেশী নেই। হাঁড়িতে ভাত নাই, অথচ নিত্য ক্ষুধিত।”

৭১-এর গণহত্যার ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তির আগ্রাসন ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও! রাজাকার ভন্ডদের ‘ইসলামধর্ম অপব্যবহারের’ বীজ আজ মহীরূহ হয়ে জামাতী কুলাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধাকে লাথি মারছে।লোভের লোলা সহ হিংসা বিদ্বেষ ও মোহ চরিতার্থ করার নাম ইসলাম ধর্ম নয়। আমাদের মন বলে, “বিধির বিধান কাটবে তুমি, / তুমি কি এমনি শক্তিমান? একাত্তরের পরাজিত শক্তি, ঘাতক, দালাল, নারী নির্যাতন কারী জামাত বর্তমান সরকারের পথপ্রদর্শক নয়। মিলিটারি শাসকগণ তো আজ পাকিস্তানের গোলাম নয়।পাকিস্তান ও বাংলাদেশে ধর্মের অপব্যাখ্যা বন্ধ করতে একুশের আলোর প্রতিষ্ঠা এবং বার শত মাইল দূরের পাকিস্তানী সেনাশাসক ইয়াহিয়া খান ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা করে গোলাম আজমের জামাত এবং মুসলিম লীগের যুদ্ধাপরাধীরা অসহায় ৩০ লক্ষ বাঙালি হত্যায় একসাগর রক্তের বিনিময়ে সর্বকালের বাংলাদেশের আবির্ভাবে অবাক পৃথিবী তাকিয়ে রয়। বাংলাদেশে অমুসলমান হয়ে জন্ম গ্রহন করা অপরাধ কেন? ৭১-এর গণহত্যার বিচারের বানী নিরবে নিভৃতে কাঁদে! বাংলাদেশের সরকারি OFFICERS হিন্দু ও বৌদ্ধদেরকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছেঃ

১। গীতাঞ্জলি বড়ুয়া, অধ্যক্ষ, আজিমপুর স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা!
২। গৌতম চন্দ্র পাল, রসায়ন বিভাগ, আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, আজিমপুর, ঢাকা।
৩। ভবেশ চন্দ্র রায়, অধ্যক্ষ, পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ, ঠাকুরগাও
৪ । সোনালী রানী দাস, সহযোগী অধ্যাপক (নার্সিং) বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, মগবাজার ঢাকা
৫ । অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, উপাচার্য, বুয়েট
৫। অধ্যাপক ডা.বঙ্গ কমল বসু, অধ্যক্ষ, গাজী মেডিকেল কলেজ, খুলনা।
৬। অধ্যাপক ডা.কান্তা রায় মিমি, অধ্যক্ষ (সাবেক) এবং বিভাগীয় প্রধান, এনাটমি বিভাগ, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ, দিনাজপুর।
৭। অদ্রীশ আদিত্য মন্ডল, অধ্যক্ষ, কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়, কয়রা, খুলনা।
৮। অধ্যাপক অমিত রায় চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৯। সুবেন কুমার, আবাসিক শিক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১০। দিলীপ কুমার, আবাশিক শিক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১১। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী, ভিকারুননিসা স্কুল এন্ড কলেজ, বেইলী রোড।
১২। অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয়
১৩। প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার, উপাচার্য, খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)
১৪। অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর, উপাচার্য, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের , ত্রিশাল,
১৫। রাধা গোবিন্দ, প্রধান শিক্ষক, কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের আশরাফ আলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়।
১৬। দীপন দত্ত, অধ্যক্ষ, কিশোরগঞ্জ নার্সিং কলেজ
১৭। বিউটি মজুমদার, অধ্যক্ষ, ফেনি নার্সিং কলেজ
১৮। আলপনা বিশ্বাস, অধ্যক্ষ, জহরুল হল নার্সিং ইন্সটিটিউট
১৯। খুকু বিশ্বাস, অধ্যক্ষ, যশোর নার্সিং ইন্সটিটিউট
২০। তাপসী ভট্টাচার্য, অধ্যক্ষ, আনোয়ার খান মর্ডান নার্সিং কলেজ
২৩ । প্রফেসর বেনু কুমার দে, উপ-উপাচার্য, চবি ! দীপ্ত দে, রুদ্র সেন এই বৈষম্যর জন্য জীবন দেননি!

বাংলাদেশ সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে প্যারিসে রিপাবলিক মানবাধিকার চত্বরে পথযাত্রা, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা। মার্গ ডেস্ক রিপোর্ট :- অদ্য বিকাল তিন ঘটিকায় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের প্রান কেন্দ্র প্যালস দ্যা লাস্যাপেল্ থেকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান স¤প্রদায় বিভিন্ন সংগঠনের ব্যনার নিয়ে বিপুল সংখ্য নারী, পুরুষ, শিশু পথযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার ঘুরে রিপাবলিক মানবধিকার চত্বরে এসে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে।

বক্তারা ইসলামিক মৌলবাদী জনগোষ্টি কর্তৃক বাংলাদেশ বিগত দূর্গা পূজায় ৪০ঠির অধিক পূজামন্ডপে ভাংচুর শতাধিক ঘর বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, সংখ্যালঘু মা, বোনদের ধর্ষণ, হত্যা এবং ব্যাবসায় প্রতিষ্টান, ঘরবাড়ি, গবাদি পশু লুট করে, এই হামলা একটি ষড়যন্ত্রমুলক হামলা বলে দাবী করে, একটি কুচক্র মহল বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু স¤প্রদায় নির্মূল করার ষড়যন্ত্র মাত্র।
বিক্ষোভকারীরা উক্ত হামলার তীব্র নিন্দা ও দুষ্কৃতী কারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রানহুনীয়া ফলাহারিয়া গ্রামের অধীনে জ্ঞানশরন মহারন্য, জ্ঞানশংরন বুদ্ধ মন্দির ও অনাথালয় ধ্বংস, লুট ও পূজনীয় ভিক্ষুকে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার, নিজ প্রতিষ্ঠান পূর্নারায় পূর্নবাসন করার জোড় দাবী করে।

তাছাড়া রামু,নাসিন নগর ও শাল্লায় হামলার সুষ্ট বিচার না হওয়ার কারনে স্বাধীনতা বিদ্রেষী এই কুচক্র মহল, মৌলবাদী হায়না দলরা প্রতি নিয়ন সংখ্যালঘুদের ঊপর নির্যাতন করতে সাহস পায় বলে মনে করে।বক্তারা মাননীয় প্রধান মন্ত্রির প্রতি আহ্বান জানান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টানদের রাষ্ট্রি নাগরিক অধিকার চায় এবং ১৯৭১ সনের বংগবন্ধুর ডাকে, মুক্তিযাদ্ধের চেতনা বুকে ধারন করে, মুক্তিযাদ্ধে গিয়েছিল সকল ধর্মের বাংগালিরা।

হিমালয়ের একই ধারা, একই সাগরে শেষ। মাঝে শুধু ভাগীরথীতে সে জল, পদ্মায় পানি। এক পারে আমার দেশ। আর এক পারে আমার দ্যাশ। কতটা কাছাকাছি, কতটাই বা দূর দিয়ে পাশাপাশি বয়ে চলেছে বাঙালি। কুয়াে ভাদিস, কোথায় চলেছে সে? কাচঘরে বসে নয়, চার দশকের বেশি সময় ধরে নিরন্তর অনুসন্ধানের ফসল এই বই। আরও অনেককে সেই অনুসন্ধানে প্রেরণা জোগাতে পারলেই সার্থক হবে এই পথ চলা। আমার দেশ আমার দ্যাশ!
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে সরকার পূর্ববর্তী শাসকদের মতো দমন-পীড়নের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে বিগত ২৩ বছরেও পার্বত্য সমস্যার কাক্সিক্ষত সমাধান হওয়া তো দূরের কথা, সমস্যা আরও জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে। ইসলামীকরণ নীতি বাস্তবায়ন করে চলেছে এবং অপরদিকে জুম্ম জনগণের জাতীয় পরিচিতি একেবারে বিলুপ্ত করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম সামরিকায়ন জোরদার করেছে। চিটিংবাজ ধর্মান্ধ মুসলমান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আয়না!

বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!