মণিজিঞ্জির সান্যাল : যারা প্রাণ খুলে কাঁদতে পারে তারা কিন্তু খুব সুখী মানুষ, কারণ সবাই পারে না কাঁদতে। মনের মধ্যে সব যন্ত্রণা, ব্যথাকে তারা নীরবে একাই বহন করে। খেয়াল করে দেখবেন খুব কষ্ট বা আঘাত পাওয়ার পর কাঁদতে না পারলে বুকের মধ্যে মনে হয় একটা পাথর আটকে আছে। শ্বাস নিতে তখন কষ্ট হয়। প্রচন্ড বুকে ব্যথা করে। আসলে বুকের মধ্যে জমে থাকা ব্যথা হলো ঐ আকাশের গায়ে জমে থাকা ঐ কালো কালো পুঞ্জীভূত মেঘের মতো। ঐ মেঘগুলো আকাশের কোলে জমে থাকলে পরিবেশটা কেমন গুমোট হয়ে থাকে তাই না? কিন্তু খেয়াল করুন যখন অঝোরে বৃষ্টি পড়ে, তখন আকাশটা পরিস্কার হয়ে চারপাশটা কেমন ঝকঝকে হয়ে ওঠে।
তেমনি আমাদের মনের মধ্যে জমে থাকে যে মেঘ, তাকে সরাতে চাইলে আমাদের প্রাণ খুলে কাঁদতে হবে।

আমরা যখন কাঁদি তখন আমাদের চোখ থেকে জল পড়ে। এই চোখের জলের কোনও রঙ নেই। এই কান্না দেখতে একই রকম হলেও, কান্না দু’রকমের এবং এর কাজও দু’ রকমের। আবেগের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশের একটি হচ্ছে চোখের জল , আর স্বাভাবিক ভাবে সেটাই হওয়া উচিত। আনন্দের আতিশয্যে কিংবা গভীর শোকে চোখ থেকে বেরিয়ে আসে লোনা জল। এরপরই শরীর আর মনটা কিছুটা যেন হালকা হয়।
পেঁয়াজ কাটতে গিয়েও আমাদের চোখ থেকে জল বেরিয়ে আসে, এই চোখের জল কিন্তু আলাদা।
পেঁয়াজ কাটার সময় চোখের যে জল বের হয়, তা কিন্তু আবেগে কান্নাকাটি করার সময়ের যে চোখের জল তার তুলনায় একেবারেই আলাদা।

পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি কান্নাকাটি করেন। এর কারণ পুরুষ মানুষের মানসিক গঠন। আবেগাপ্লæত হলেও, তাদের চোখে সহজে জল আসে না। বরং, সে বহিঃপ্রকাশটা অনেক সময় রাগের মাধ্যমে ঘটে। কারণ, তারা ভেতরের অনুভূতি প্রকাশে নারীদের মতো সাবলীল নন। তবে মাঝে-মাঝে পুরুষদেরও উচিত ভেতরের এই আবেগকে বা কষ্ট- যন্ত্রণাকে চোখের জলের মাধ্যমে একটু হালকা করে নিতে।
সদ্যজাত কোনও শিশু কাঁদলেও তার চোখে তেমন কোনো জল থাকে না। এর কারণ, ভূমিষ্ঠ হওয়ার এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত নবজাতকের চোখে অশ্রæবিন্দুর মৌলিক গঠনটি সম্পন্ন হয় না।

সবচেয়ে মজার তথ্যটি হচ্ছে, যখন কেউ কাঁদেন তখন তার চোখ দিয়ে যে জল পড়ে সেই জল প্রথম ডান চোখ থেকেই গড়িয়ে পড়ে। গবেষকরা এখনও পর্যন্ত এর কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ খুঁজে পাননি।
একজন ডাচ গবেষক সমীক্ষা করে দেখেছেন, পাশ্চাত্য দেশগুলো, যেখানে মহিলারা সমাজের উঁচু তলায় বাস করেন এবং যাদের মানবাধিকার তৃতীয় বিশ্বের দেশে বসবাসকারী মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি, তারাও কিন্তু আবেগে বা কষ্টে চোখের জল ফেলেন।
কান্না তিন রকমের হয়।

বেসাল টিয়ার : যেটা আপনার চোখকে পরিষ্কার রাখে এবং চোখের লুব্রিকেশনের মাত্রা ঠিক রাখে।
রিফ্লেক্স টিয়ার : পেঁয়াজ কাটার সময় বা চোখে কিছু একটা হঠাৎ? ঢুকলে এই কান্না বের হয়।
ইমোশনাল টিয়ার : মানুষ যখন আবেগে কাঁদে।
গবেষণায় দেখা যায়, কিছু মানুষ স্বাভাবিক কারণেই অন্যদের তুলনায় বেশি কাঁদেন।
অনেক সময় স্নায়বিক কারণে কান্না বা হাসি থামতে চায় না। যদি এমনটা হয়, তবে চিকিৎ?সকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। এটা স্ট্রোক, অ্যালঝাইমার্স, মাল্টিপল সেক্লরোসিসের লক্ষণ হতে পারে। আমরা অনেক সময় অনেককেই দেখেছি কথায় কথায় কেঁদে ফেলেন। আবার অনেকেই আছেন কান্না কিছুতেই থামাতে পারেন না। আবার অনেকেই আছেন কাঁদতে পারেন না। সমস্ত যন্ত্রণা বুকের মধ্যে দলা পাকিয়ে থাকে। কেমন দমবন্ধ লাগে নিজের কাছে নিজেকেই।

তবে কষ্ট বা মন খারাপকে বুকের মধ্যে চেপে রাখার চেয়ে কেঁদে হালকা হয়ে যাওয়া উচিত।
কাঁদলে স্ট্রেস হরমোন শরীর থেকে বেরিয়ে যায় এবং এন্ডরফিন বা যেটাকে ‘ফিল গুড’ হরমোন বলা হয় তা শরীরে নির্গত হয়। এ জন্যই বোধ হয় বলে , কাঁদলে মন অনেক হাল্কা থাকে। এখন তো লাফিং ক্লাবের পাশাপাশি উইপিং ক্লাবও হচ্ছে। যেখানে আপনি বিজ্ঞানসম্মতভাবেও কাঁদতে পারবেন।
তবে এপ্রসঙ্গে মনে রাখতে হবে, পুরো জীবনটা শুধু সুখেই কেটে যাবে, এই ভাবনাটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। ছোটখাটো দুঃখ-কষ্ট জীবনে আসবেই, হতাশাও আসবে। আর এরই নাম জীবন।
অবসাদ কাটাতে নিজেকে একা ভাবা বন্ধ করুন।

আমাকে কেউ ভালবাসে না, কেউ আমায় বোঝে না, এই চিন্তাটা মারাত্মক। আপনিই আপনার সব থেকে ভাল বন্ধু। মানুষ নিজেকেই সব থেকে বেশি ভালবাসে। তাই কে ভালবাসল, কে বাসল না, ডোন্ট কেয়ার।
আর বিচ্ছেদ বা ব্রেক-আপকে মেনে নিতে চেষ্টা করুন। সময় নিন, বদল আনুন রোজকার রুটিন। যেটা পেলেন না তার কথা না ভেবে যা পেয়েছেন তাই নিয়ে ভাবুন।
সারাদিনে নিজের জন্য একটু সময় রাখুন। ওই সময়টা শুধু আপনার। ওই সময় আপনার যেটা করতে ভাল লাগে সেটাই করুন। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
খুব বেশি কষ্ট বা মন খারাপ থেকেই হতাশার জন্ম হয়, যাকে আমরা বলি অবসাদ। এই অবসাদ কাটাতে কিছু খাবারেরও ভূমিকা আছে। কিছু খাবার বন্ধুর মতো পাশে এসে দাঁড়ায়। শুনলে অবাক লাগলেও কথাটা কিন্তু সত্যিই। তাহলে একটু আলোচনা করা যাক এই বিষয়টি নিয়ে। আসলে মানুষের জীবনে যে কোনও সময় উঁকি দিতে পারে হতাশা বা অবষাদ। সে জন্য যে আপনাকে জীবনে ব্যর্থ হতে হবে তা নয়। অনেকেই ব্যক্তিগত জীবনে সফল, স্বচ্ছন্দ তবুও তার জীবনেও ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে।

অনেক সময় শিক্ষাক্ষেত্রে অতিরিক্ত নাম্বারের প্রত্যাশা, কখনও কাজের চাপ, আবার কখনও ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন, দাম্পত্যে ছেদ ইত্যাদি নানা কারণে মনের মধ্যে তৈরি হয় একটা যন্ত্রণা। ধীরে ধীরে এই যন্ত্রণায় প্রলেপ পড়তে থাকে। একটার ওপর আর একটা স্তর জমা পড়ে মনের মধ্যে নিজেরই অজান্তে অবসাদের গাঢ় মেঘের সৃষ্টি হয়, যাকেই বলা হয় ডিপ্রেশন।
তাই উত্তেজনা কমিয়ে ঠিকঠিক খাবার গ্রহণ করা উচিত।
কখনও লেখাপড়া, কখনও কাজের চাপ, আবার কখনও সম্পর্কের টানাপোড়েন এসব নানা কারণে হতে পারে ডিপ্রেশন।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডিপ্রেশনের ওষুধ হতে পারে কিছু বিশেষ খাবার। আমাদের প্রকৃতির মধ্যে এমন কিছু জিনিস রয়েছে, সেগুলো নিয়মিত খেলে মন ভালো থাকে। এর ফলে কেটে যেতে পারে হতাশা। ডিপ্রেশনের সঙ্গে একাকীত্বের নিবিড় যোগ রয়েছে।
এক একজনের ক্ষেত্রে ডিপ্রেশনের কারণ এক একরকম। প্রথমেই দেখতে হবে মেজর ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার আছে কি না তা বোঝার জন্য দুটো মুখ্য উপসর্গ আছে। প্রথমত দেখতে হবে, এটা মনখারাপ নাকি ডিপ্রেশন? মনখারাপ দু’-এক দিনে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু মনখারাপ যদি দু’সপ্তাহ বা তার বেশি স্থায়ী হয়, তা হলে বুঝতে হবে তা ডিপ্রেশন দিকে এগোচ্ছে। আর একটা দিকও দেখতে হবে, তিনি সব কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন কি না। হয়তো তিনি সিনেমা-সিরিজ দেখতে ভালোবাসেন, গান ভালোবাসেন, কিন্তু এখন সেটা আর ভালো লাগছে না। বা কেউ হয়তো রান্না করতে, খেতে ভালোবাসেন, সেটাও আর ভালো লাগছে না। এক্ষেত্রে আপনি কিন্তু ধীরে ধীরে অবসাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন । তাহলে কি করবেন আপনি তাই তো?

ডিপ্রেশন কাটাতে কাউন্সেলিং, নিয়মিত শরীরচর্চার সঙ্গে উপযুক্ত খাওয়া দাওয়া করাও অত্যন্ত জরুরি। খাওয়া দাওয়া নিয়মিত ভাবে না করলে হতাশা ও অবসাদ আরও বেশি করে গ্রাস করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে কম-বেশি আমরা সকলেই মনের অসুখে আক্রান্ত। কিন্তু হতাশা ও উদ্বেগ গভীর আকার নিলে তখন তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ডিপ্রেশনে ভোগা ব্যক্তির যেমন কাউন্সেলিং ও ওষুধের প্রয়োজন, তেমনই সঠিক খাওয়া-দাওয়া করাও অত্যন্ত জরুরি। কারণ কোনও কোনও খাবার মুড ভালো করে আবার কোনও খাবার মুড অফ করে দেয়।
অনেক সময় অতিরিক্ত মেদ থেকেও অবসাদ তৈরি হয়। তাই মেদ ঝরাতে খাওয়া দাওয়ার প্রতি সজাগ থাকতে হবে।

অবসাদ কাটাতে এবারে জেনে নেওয়া প্রয়োজন কী কী খাবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে দুগ্ধজাত খাবার, চিনি, বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার, ক্যাফিন বর্জন করতে হবে। একেবারে এই সব খাবার ছাড়তে না পারলে সামান্য পরিমাণ খান। এগুলি আপনি কতটা পরিমাণ খাবেন, তা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করুন।
খাওয়া দাওয়া ছাড়াও অবসাদ কাটাতে ফুলেরও ভূমিকা আছে।
শুনলে অবাক হলেও পরীক্ষা করেই দেখুন জীবনের অবসাদ কাটাতে ফুলের কি অপরিসীম ভূমিকা।
অবসাদ, উৎকণ্ঠা দূরে রাখতে বাড়িতে অবশ্যই ফুল গাছ লাগাবেন। ফুলের সৌন্দর্য মনকে ভাল করে দেয়। যদি জায়গা না থাকে তাহলে দু তিনটে টবেই লাগানো যেতে পারে। বিশেষ করে জুঁই ফুল। এই জুঁই ফুল মনকে ভাল করে দেয়।

ফুলের গাছ অক্সিজেনের জোগান দেয়? তাই বাড়িতে ফুলের গাছ আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে? জুঁই ফুল গাছ ঘরে লাগালে তার বিশেষ উপকার আছে।
জানেন কি জুঁই ফুলের সুগন্ধ আমাদের চিন্তা ভাবনাকে উন্নত করে? মস্তিষ্ককে সজাগ করে তোলে? এই জুঁই ফুলের সুগন্ধ আমাদের মানসিক চাপ কাটিয়ে সুখী বা মন ভাল করা হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়? ফলে আমাদের খুশি থাকতে সাহায্য করে। পরিবারে সম্পর্কের উন্নতি হয়?
জুইঁ ফুল তুলে ঘরে রাখলে এর সুগন্ধ আমাদের শরীরে হরমোন ব্যালান্স করে? তাই সুস্থ যৌনজীবনের জন্য উপকারি এই জুঁই ফুল।
জুঁই ফুল জলে ভিজিয়ে রাখলে সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে সুগন্ধ? এই গন্ধ মানসিক অশান্তি কাটাতে সাহায্য করে। ফলে শোবার ঘরে জুঁই ফুল রাখলে ঘুম ভাল হবেই।
বাড়িতে থাকা জুঁই ফুলের গাছ থেকে বানানো যেতে পারে জেসমিন টি। এই চা নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত করে? অবসাদ, উৎকণ্ঠা দূর হয়।

এছাড়াও অবসাদ কাটাতে প্রকৃতির বিশাল অবদান। মন ভালো করতে ঘুরে আসুন প্রকৃতির মধ্যে কিংবা যেখানে আপনার মন চায়।
ডিপ্রেশনের সঙ্গে একাকীত্বের নিবিড় যোগ রয়েছে। আমরা একা থাকলে অনেক সময়ই হতাশায় ভুগি। বেড়াতে গেলে নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। কতো অজানাকে জানা হয়, কতো অচেনাকে চেনা হয়, মনটা সজীব হয়ে ওঠে।
সব সময় শহুরে জীবনে থাকতে থাকতে আমাদের কাছে একঘেয়ে লাগতে পারে। এর থেকে ছুটি নিয়ে প্রকৃতির মধ্যে ঘুরতে গেলে শরীর আর মন দুটোই ভাল হয়ে যায়। নেচার থেরাপি যে কাউকে ডিপ্রেশন কাটিয়ে চনমনে করে তুলবে।
ডিপ্রেশনের একটা বড় কারণ ইনসমনিয়া। আপনার প্রতিদিনের একঘেয়ে রুটিন থেকে একটু অবসর প্রয়োজন। বাইরে কোথাও আরাম করে ঘুরে আসা উচিত। এতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া যায় এবং ভালো ঘুম হয়।
ঘুরতে গেলে মন ভালো হবেই ।

ডিপ্রেশনের একটি দারুণ ওষুধ হতে পারে এই ঘুরতে যাওয়া। নিজের চেনা গণ্ডীর বাইরে কোথাও ঘুরতে গেলে নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা হয়, নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হয়। এর ফলে কেটে যায় হতাশা বা অবসাদ।
বেড়াতে গেলে ভীষণরকম ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি হয়। এমন বেড়ানোও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। যেমন ট্রেকিং বা অন্য কোনও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্ট। এর ফলে এনডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ হয়। এই হরমোনের সক্রিয়তায় ডিপ্রেশন কাটে। মন ভালো হয়।

তাছাড়া বাইরে কোথাও যাওয়া মানে এই বিশাল পৃথিবীর অসীম সৌন্দর্যের সামনে আপনি উন্মুক্ত। সেখানে আপনার ব্যক্তিগত দুঃখ-সমস্যা সবই খুব ক্ষুদ্র মনে হবে। সমুদ্র বা পাহাড়ে সূর্যোদয় আপনাকে প্রকৃতির বিশালতার সামনে দাঁড় করিয়ে দেবে। যার ফলে আপনি নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আসল মানুষটাকে খুঁজে পাবেন। তাই মন খারাপ হলে একদিন বা দুদিন মনকে প্রশ্রয় দিন, কিন্তু তার বেশি হলেই তার হাল ধরুন শক্ত হাতে নিজেই। কারণ সেটা তখন শুধু মন খারাপ নয়, তাকে বলে মনের গভীর অসুখ। আর সেই অসুখ হলে অবশ্যই ঘরের বাইরে যান এবং সম্ভব হলে আশেপাশে যেখানে সবুজের হাতছানি সেখানে নিজেকে মেলে ধরুন।
মণিজিঞ্জির সান্যাল : কথা সাহিত্যিক
শিলিগুড়ি, দার্জিলিং
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত