অনলাইন ডেস্ক : তেল, ছোলা আর চিনিতে অর্থমন্ত্রীর ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণায় রোববার আসতে পারে প্রজ্ঞাপন। এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ঘোষণা দিলেই কাজ হবে না, নিবিড়ভাবে তত্ত্বাবধান করতে হবে। দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দ্রুত সুবিধা পাবেন ক্রেতারা। ক্রেতা এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারের উদ্যোগ ভালো। তবে কঠোর মনিটরিং দরকার।
সামনে রমজান, এর আগেই ভোজ্যতেলের বাড়তি দামে নাভিশ্বাস ওঠে সাধারণ মানুষের। কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছিল না দামের। ক্রেতা ভোগান্তিও চরমে।
একজন ক্রেতা বলেন, আমাদের মতো ছাপোষা মানুষের পক্ষে তেল কেনা সম্ভব না। আমরা এখন তেলের পরিবর্তে পানি দিয়ে তরকারি খাওয়ার চেষ্টা করছি।
বাজার স্থীতিশীল রাখতে অবশেষে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করলেন ভ্যাট প্রত্যাহারের।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জিনিসের দাম যাতে করে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, ভোজ্যতেল, চিনি ছোলা এই জাতীয় আইটেমের ওপর ভ্যাট তুলে নিয়েছি।
এ দেশে কোনো জিনিসের দাম বাড়ার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু কমার ঘোষণা আসলেও বাস্তবায়ন হতে লেগে যায় কয়েক দিন। তবুও মন্ত্রীর ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তির সুর ক্রেতাদের কণ্ঠে। তবে দ্বিধাও আছে।
এক ক্রেতা বলেন, দাম বাড়ার রিউমার আসলে সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায়। কিন্তু যখন কমার ঘোষণা দেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে কমে না। সেটাকে কঠোর নজরদারি করে কমাতে হয়।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, কম দামে পণ্য পেলে তারাও সে রকম দামেই বিক্রি করবেন।
এক বিক্রেতা বলেন- মন্ত্রী বলছেন, কিন্তু কার্যকর হতে সময় লাগে। বললে সঙ্গে সঙ্গে কমে যাবে না। সরকার ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিলে কোম্পানি রেট কমিয়ে দেবে, আমাদের কাছে কম দামে পণ্য আসবে, আমরা ক্রেতাকে কম দামে দিতে পারব। আমরাও কম রেটে খেতে পারব।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই পণ্যগুলোর দামে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রভাব পড়বে।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ঘোষণা হয়েছে-ভোজ্যতেলের ওপর থেকে সব প্রকার ভ্যাট প্রাত্যাহার করা হয়েছে। বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছিল না, সেটা সংকট থাকবে না বলে আমি মনে করি। পাশপাশি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ক্যাব সভাপতি জানান, ক্রেতার স্বার্থ রক্ষায় এটা সরকারের ভালো উদ্যোগ হলেও ক্রেতারা সুফল পাচ্ছেন কি না, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ভ্যাটের ১৫ শতাংশ বাদ খুচরা মূল্য পুনর্নির্ধারিত হয় এবং সে দামে যদি বিক্রি হয় তাহলে ভোক্তারা এর সুফল পাবে। তা না হলে এটা ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাবে না। ভোক্তা পর্যায়ে যে ৫ শতাংশ কমানো হচ্ছে, এটা শুধু সুপার স্টোরগুলোতে যদি ভ্যাট আলাদা করে সংগ্রহ না করে তাহলে ভোক্তারা সুফল পাবে। শুধু ঘোষণা দিলেই হবে না, এটাকে নিবিড় তত্ত্বাবধানের প্রয়োজন আছে।
ভ্যাট প্রত্যাহার করায় চিনি, ছোলা কেজিতে এবং ভোজ্যতেল লিটারে কত টাকা কমবে, তা রোববারে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানা যাবে বলে জানান এনবিআরের কর্মকর্তা।