অনলাইন ডেস্ক : ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের কংগ্রেস নেত্রী হিমানী নারওয়ালকে খুনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্যটির পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ওই যুবকের সঙ্গে হিমানীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
দিন দুয়েক আগে একটি ট্রলিব্যাগ থেকে হিমানীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপরই তদন্তে নেমে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, গত শুক্রবার হরিয়ানা রাজ্যের রোহতকের সাম্পলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে হাইওয়ের পাশ থেকে একটি ট্রলিব্যাগ থেকে হিমানীর মরদেহ উদ্ধার হয়। তারপরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনার দুদিন পরে অবশেষে এক অভিযুক্ত গ্রেপ্তার করা হলো।
সোমবার হরিয়ানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোববার গভীর রাতে দিল্লি থেকে দু’জন যুবককে আটক করে হরিয়ানার রোহতকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয় আর অপরজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত যুবকের সঙ্গে হিমানীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হিমানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ওই যুবককে ব্ল্যাকমেইল করে কয়েক লাখ রুপি নিয়েছিলেন। সেই রাগেই ওই কংগ্রেস নেত্রীকে খুন করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে যে ট্রলিব্যাগ থেকে হিমানীর মরদেহ উদ্ধার উদ্ধার হয়, সেটি কংগ্রেস নেত্রীর বাড়ি থেকেই নেওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। এই সূত্রেই তদন্তকারীদের অনুমান, হিমানীকে তার নিজের বাড়িতেই খুন করা হয়েছে।
হিমানীর মা সবিতা সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, “আমি নিশ্চিত অভিযুক্ত পরিচিত কেউ। তিনি হয় দলের (কংগ্রেস) কেউ, অথবা তিনি আমাদের আত্মীয়। হিমানীর বন্ধুও কেউ হতে পারেন। কারণ তারাই বাড়িতে আসতে পারেন। আমি নিশ্চিত কেউ আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কিছু করতে চেয়েছিল। তাই মেয়ে প্রতিবাদ করে। আর সেই কারণেই এই ঘটনা।”
অভিযুক্তকে ফাঁসি দেওয়ার দাবিও তুলেছেন হিমানীর মা। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হত্যার আগে হিমানীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তার হাড়গোড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। গলায় স্কার্ফ জড়ানো ছিল হিমানীর। এটা থেকে পুলিশের সন্দেহ শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তাকে।
প্রসঙ্গত, হিমানী নারওয়াল হরিয়ানার কংগ্রেস নেত্রী। রাজ্যটিতে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় রাহুল গান্ধীর সঙ্গী ছিলেন তিনি। কংগ্রেসের একটি সূত্রের দাবি, হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র এবং তার ছেলে দীপেন্দ্র হুডার ঘনিষ্ঠ ছিলেন ওই তরুণী।