অনলাইন ডেস্ক : ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ থাকলে খবর ছিল বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ইআরডিএফবি) আয়োজিত ‘আওয়ামী লীগের সফল ও গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিচ্ছু (অর্জন) নেই। আমাদের দেশ থেকে কয়েক লাখ লোক ভারতে সহজে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। সহজে যাচ্ছে বাজার-টাজার করার জন্য, এটাই তো বড় অর্জন। যদি সম্পর্ক খারাপ থাকত, তাহলে কিন্তু খবর ছিল।’
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না থাকলে টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখা যাবে না। এ অঞ্চলে বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধ চায় না। অনেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তবে বাস্তবতা হলো ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি আওয়ামী লীগের অর্জন। এ সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সফল এবং গৌরবময় এই ৭৫ বছরের ইতিহাসে ৪৩ বছর নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের প্রত্যাশাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছেন। তার জাদুকরি নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের তালিকায় নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে জায়গা করে নিয়েছে আরও আগেই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চলিত অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বড় প্রকল্পগুলোর উদ্যোগ নিয়েছে এই সরকার, বাস্তবায়নও প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান হতে চলেছে। ভাবা যায়, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে আখ্যায়িত এই দেশে আজ হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী ট্যানেলসহ অনেক উন্নয়ন প্রকল্প।’
তিনি বলেন, ‘দুনিয়া নিয়ে ভাবার সময় আমাদের এখন এসেছে। আমরা তাদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই। এ জন্যই আমাদের প্রয়োজন আছে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের।’
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া এবং রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার প্রমুখ।
সভায় মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।