অনলাইন ডেস্ক : ব্রিটিশ জাহাজ কোম্পানি মারান (ইউকে) লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি পেয়েছেন বাংলাদেশি নারী হামিদা বেগম। প্রতিষ্ঠানটির ইকতা নামের আটতলা সমান উঁচু একটি জাহাজ থেকে পড়ে তার স্বামী মোহাম্মদ খলিল মোল্লাহ (৩২)-এর মৃত্যু হয়েছিল। এ ঘটনায় তাকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মামলার অনুমতি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের আদালত।

এ মামলায় জিতলে হামিদা বেগমের এক লাখ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মারান (ইউকে) লিমিটেড ওই সুপার ট্যাংকারটি বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে তিন লাখ টন ওজনের বিশালাকৃতির ওই জাহাজে কাজ করছিলেন খলিল। কাজ করার সময় এক পর্যায়ে ওপর থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

২০১৯ সালের এপ্রিলে এ নিয়ে ব্রিটিশ আদালতের শরণাপন্ন হন মৃত খলিলের স্ত্রী হামিদা বেগম। সোমবার হাই কোর্টের আদেশে বলা হয়, খলিলকে সুরক্ষা দেওয়া মারান-এর দায়িত্ব ছিল।

এ রায়ের ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত মারান (ইউকে) লিমিটেডের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, মারান (ইউকে) লিমিটেড মূলত গ্রিসের অ্যাঞ্জেলিকোসিস গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। শ্রমিক খলিল মোল্লাহ সরাসরি প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন না। অন্য একটি কোম্পানিকে পুরনো জাহাজটি ভাঙ্গার দায়িত্ব দিয়েছিল মারান। চট্টগ্রামের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে এ কাজ করতে গিয়েই মৃত্যু হয় খলিলের।

সোমবারের রায়ে যুক্তরাজ্যের হাই কোর্ট বলেছেন, দেশটির কোনও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ, ভারত বা পাকিস্তানে তাদের কোনও জাহাজ ভাঙ্গার জন্য পাঠালে, এগুলো ভাঙ্গতে গিয়ে কোনও শ্রমিক হতাহত হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে তার দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। সূত্র: রয়টার্স, দ্য গার্ডিয়ান।