সোনা কান্তি বড়ুয়া : অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের মতে “ধর্মহীন বিজ্ঞান খোঁড়া, বিজ্ঞানহীন ধর্ম অন্ধ।” বুদ্ধভূমি পুন্ড্রবর্দ্ধনে (বগুড়া) গৌতমবুদ্ধের বাংলাদেশ! সেইদিনের (2600 years ago) বাংলাদেশের বগুড়ায় মহাস্থানগড়ে ঐতিহাসিক স্মৃতিখন্ড পবিত্র বুদ্ধ তীর্থভূমি যেখানে গৌতমবুদ্ধ তাঁর অমৃতময় ধর্ম প্রচার করেছিলেন, সম্রাট অশোক সেই মহান পুণ্যভূমিকে স্মরণীয় করার জন্যে বৌদ্ধবিহার (বাসু বিহার) ও বুদ্ধচৈত্য নির্মাণ করেছিলেন এবং আজও সম্রাট অশোকের “প্রাচীন বাংলা ভাষায়” (ব্রাহ্মী লিপিতে) শিলালিপিটা কলকাতা জাদুঘরে বিরাজমান। বিশ্বসমাজ সুখী হও সুখী হও / এ মৈত্রী ভাবনা। / দিবা নিশি হিত সুখ করিনু প্রার্থনা।
বিংশ শতাব্দীর সেরা মানুষ (টাইম ম্যাগাজিন মতে) অ্যালবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯-১৯৫৫), “Science and Religion” ২২৫ নম্বর প্রবন্ধ (১৯৪১) নিউইয়র্কে বিজ্ঞান, দর্শন ও ধর্ম বিষয়ক সম্মেলনে উক্তি, “ধর্মহীন বিজ্ঞান খোঁড়া, বিজ্ঞানহীন ধর্ম অন্ধ।” SCIENCE without RELIGION is lame, Religion without Science is blind” সূত্র: আইনস্টাইনের কাল, প্রদীপ দেব, পোষ্ট ডক্টরেল, RMIT (Royal Melbourne Institute of Technology, Melbourne, Australia)! GREAT POET কাজী নজরুল ইসলামের মতে,
“মানুষেরে ঘৃণা করি
ও’ কারা কোরান, বেদ, বাইবেল
চুম্বিছে মরি মরি!
ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর
করে কেড়ে
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই
মানুষেরে মেরে।
পুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল! মুর্খরা সব শোনো
মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ
কোনো।
আদম দাউদ ঈসা মুসা ইব্রাহিম মোহাম্মদ
কৃষ্ণ বুদ্ধ নানক কবীর, বিশ্বের সম্পদ,
আমাদেরি এরা পিতা পিতামহ,
এই আমাদের মাঝে!”
In the Buddhist book Visuddhi Magga explaines the Teaching of Lord Buddha,
No God No Brahma can be found
No matter of this Wheel of life,
Just bare phenomena roll
Dependent on conditions all.”
জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানব সভ্যতায় বৌদ্ধধর্মের ধ্যান পদ্ধতির দুর্লভ অবদান নিয়ে টাইম ম্যাগাজিন চলমান আমেরিকান সমাজে বৌদ্ধদর্শনের মূল্যায়ণ করেছেন। অ্যালবার্ট আইনস্টাইন (19 May 1939, at Princeton Theological Seminar, New Jersey), চলমান আমেরিকান সমাজে বৌদ্ধদর্শনের মূল্যায়ণ করেছেন “Among religions, only Buddhism emphasized the importance of the scientific outlook in dealing with problems and religion. In his ‘Out of my Later Years’ Albert Einstein explained, ‘The religion of the future will be a cosmic religion. It should transcend a personal God and avoid dogma and theology. Covering both the natural and the spiritual, it should be based on a religious sense arising from the experiences of all things, natural and spiritual, as a meaningful unity. Buddhism answers this description. (Out of my later years by Albert Eienstein).”
জীবন মানে রুপ, (Matter and Anatomy like a lump of foam) ও মন! Mind means (১) বেদনা (Feelings like a water bubble) (২) সংজ্ঞা (Perception like a void mirage) (৩) সংস্কার (Formation like a plantain tree) and (4) Consciousness (Vinnan) or মানসিক ব্রহ্মান্ড (কনসিয়াসনেস like jugglery) বিরাজমান! বৌদ্ধ তান্ত্রিক এবং চর্যাপদ মতে, “গুহ্য নাভি মূলকে বলা হয় নির্মাণচক্র, হদয়ে ধর্মচক্র, কন্ঠে সম্ভোচক্র, মস্তিষ্কে মহাসুখচক্র। দেহের নাড়িকে সংযত করার সাধনা তান্ত্রিক সাধনা। কারণ, স্থান কাল পাত্র এবং মহাযান বৌদ্ধধর্মসহ সাইকোলিজি বা রুপ, বেদনা, সংজ্ঞা, সংস্কার, মানসিক ব্রহ্মান্ড (কনসিয়াসনেস) চিত্ত, চৈতসিক অভিধর্ম মনস্তত্তে¡র বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার নানা কঠিন বিষয় অবতারণা করেছেন। দেহে বামে ইড়া, ডানে পিঙ্গলা, মাঝে সুষুস্না নাড়ি। সুষুস্না নৈরাত্মা, বোধিচিত্ত, অবধূতী বা যোগীনির প্রতীক। ইড়া পিঙ্গলাকে যথাক্রমে শক্তি ও শিবের প্রতীক। ইড়া পিঙ্গলাকে সাধনার মাধ্যমে সুষুস্নাতে মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর সাধনায় সষুস্না পরিণত হবে সহস্রায় বা মহাসুখ চক্রে।
সেখানেই আছে মহা সহজানন্দ।
গৌতমবুদ্ধের উপদেশ ছিল (KALAMA SUTTA):
প্রত্যাখ্যানের মানদণ্ডে যে বিষয়সমূহ পড়ে-
ক) কোন মতবাদ জনশ্রুতি (লোকের বলাবলি) আছে বলে
গ্রহণ করবেন না।
খ) বংশ পরম্পরাগত বা ঐহিত্যগত বলে বিশ্বাস করবেন না।
গ) এটি সেরূপ না ওইরকম (গুজবে) তা অন্ধভাবে বিশ্বাস
করবেন না।
ঘ) শাস্ত্রে উল্লেখ বা লিপিবদ্ধ হয়েছে বলে মেনে নিবেন না।
ঙ) অনুমান নির্ভর বা ভাসাভাসা কোনকিছু গ্রহণ করবেন না।
চ) তর্কপ্রসূত কোন মতবাদের প্রতি আস্থা স্থাপন করবেন না।
ছ) নিজের মতের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ও সত্য বলে গ্রহণ করবেন
না।
জ) গুরুজনের প্রতি অন্ধভক্তিতে তাঁর প্রদত্ত মতবাদকে
বিশ্বাস করবেন না।
# বর্জনীয় উপায়: যখন নিজেরা জানবেন এগুলি অশুভ, অকুশল, অহিতকর ও নিন্দনীয় সেগুলি বর্জন বা পরিত্যাগ করবেন।
ক) এই বিষয়সমূহ অকুশল (খারাপ) তা বর্জন করবেন।
খ) এই বিষয়সমূহ অহিতকর তা বর্জন করবেন।
গ) এই বিষয়সমূহ বিজ্ঞ ও পণ্ডিত দ্বারা নিন্দনীয় তা বর্জন করবেন।
ঘ) এই বিষয়সমূহ সম্পাদন, গৃহীত হলে যা অহিতকর ও দু:খ উত্পন্ন হবে তা বর্জন করবেন।
# গ্রহণ বা আচরণীয় উপায়: যখন নিজেরা জানবেন এইগুলি শুভকর, বিজ্ঞ-পণ্ডিতগণের প্রশংসনীয়, হিতকর তা গ্রহণ বা আচরণ করবেন।
ক) যে বিষয়সমূহ কুশল বা ভালো তা গ্রহণ করবেন।
খ) যে বিষয়সমূহ হিতকর তা গ্রহণ করবেন।
গ) যে বিষয়সমূহ বিজ্ঞ-পণ্ডিত দ্বারা প্রশংসনীয় তা গ্রহণ করবেন।
ঘ) যে বিষয়সমূহ সম্পাদন, গৃহীত হলে হিতকর ও সুখ উত্পন্ন হয় তা গ্রহণ করবেন।
ূ মহামানব গৌতমবুদ্ধ।
“Do not believe in anything simply because you have heard it. Do not believe in anything simply because it is spoken and rumored by many. Do not believe in anything simply because it is found written in your religious books. Do not believe in anything merely on the authority of your teachers and elders. Do not believe in traditions because they have been handed down for many generations. But after observation and analysis, when you find that anything agrees with reason and is conducive to the good and benefit of one and all, then accept it and live up to it.’ – Gautama Buddha.
মনে মৈত্রী করুণ রস, বাণী অমৃত পদ। জনে জনে হিতের তরে, পড়েন গৌতমবুদ্ধের জীবনী এবং চর্যাপদ। যা এখানে লিখবো, তার বিষয়বস্তুর নির্মাণ ও বিনির্মাণ সমপরিমাণে আকর্ষণীয়- জটিল, কুটিল, খুদিত পাষাণের ইতিবৃত্তের মত অধরা। তবে কেন এই প্রয়াস। কারণ অনুসন্ধানী গবেষকের কাজই হল সত্য ইতিহাস নির্মাণের পথকে সুগম করা। এবার ঝুলি থেকে বেড়ালটাকে বের করা যাক। লেখনীর বিষয়- বৌদ্ধদর্শনে বিজ্ঞান ও ধর্ম প্রসঙ্গ! “Since wars begin in the minds of men, it is in minds of men peace must be constructed ( UNESCO pre-amble).”
বৌদ্ধ দর্শনের শূন্যবাদের “শূন্য IN COMPUTER SCIENCE! The Paticca Samuppada or Dependant Origination theory of Lord Buddha in বৌদ্ধ দর্শনের শূন্যবাদের “শূন্য (Pattana or Gignatic treatise and Abhidhamma explains detailed studz of the doctrine conditionality, based on twenty four causes, condition or relations; নিয়ে Mathematical “শূন্য “Zero 0 And from this Zero TECHNOLOGISTS AND SCIENCETISTS made COMPUTER SCIENCE. একটি বৃহত প্রশ্ন বটে! এই ভাবেই ধর্ম-বর্ণের গণ্ডি অতিক্রম করে Computer Science বহুবর্ণ শামিয়ানাটি রচনা করেছেন। কারণ, যাঁহারা বর্তমানকে নিয়ন্ত্রণ করেন, অতীতের নিয়ন্ত্রণ তাঁহাদেরই হাতে; আর অতীত যাঁহাদেরই দখলে, ভবিষ্যতকে তাঁহারাই নিয়ন্ত্রণ করবেন। কারণ, যাঁহারা বর্তমানকে নিয়ন্ত্রণ করেন, অতীতের নিয়ন্ত্রণ তাঁহাদেরই হাতে; আর অতীত যাঁহাদেরই দখলে, ভবিষ্যতকে তাঁহারাই করিবেন। OF BUDDHIST PHILOSOPHYÕS NUMEROUS GIFTS TO WORLD , NONE GREATER THAN THE ZERO OR EMPTINESS IN COMPUTER SCIENCE. বুদ্ধের উপদেশ ছিল, “যে আমার দেহকে দেখে সে আমাকে দেখে না, যে আমার উপদেশ মেনে চলে সে আমাকে দেখে ও মেনে চলে।”
THE GREAT PHILOSOPHER BUDDHIST MONK পণ্ডিত নাগার্জুনকে বৌদ্ধ দর্শনের অন্যতম পণ্ডিত ব্যক্তি ধরা হয়। তিনি বৌদ্ধ মহাযানী শাখার প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। জন্ম হয়েছিল এক ব্রাহ্মণ পরিবারে। যৌবনেই তিনি সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন। তিনি শূন্যতা (এম্পটিনেস) দর্শনের প্রধান প্রবক্তা। তাঁর মূলামাধ্যমিকাকরিকা বা মধ্য পন্থার মৌলিক শ্লোকগুলোর একটি খুব বিখ্যাত : — শূন্যতা ধরা গেলে সব ধরা গেল কিছুই ধরা গেল না যদি শূন্যতা না ধরা যায়। তাঁকে প্রজ্ঞাসূত্রেরও আবিষ্কারক বলা হয়। সূত্রগুলোর মধ্যে হৃদয় সূত্র বা মহাপ্রজ্ঞাপারমিতা এবং হীরক সূত্র বা বজ্রচেদিকা সূত্র উল্লেখযোগ্য। সূত্রগুলো পেয়েছিলেন নাগদের কাছ থেকে!
প্রজ্ঞাপারমিতার সূত্রগুলো Lord BuddhaÕs Teaching! নাগার্জুনার নিজের লেখা নয়। গবেষকরা বলছেন তিনি এগুলো গ্রন্থণা করেন এবং অনেকগুলোকে নতুন ভাব দেন। লোকশ্রুতি তিনি এগুলো পেয়েছিলেন নাগদের কাছ থেকে। পুরাণে আছে বুদ্ধের শিক্ষা সূত্রগুলো নাগরা (সাপ) পাহারা দেয়। নাগরাই সূত্রগুলো নাগার্জুনাকে দিয়েছে এবং তিনি সেগুলো মানব জগতে ফিরিয়ে এনেছেন। (কালের কন্ঠ! মোঃ রিয়াজ)।
Mr. Kamal Pasha লিখেছেন, “পৃথিবীতে ১৩% লোক নাস্তিক। চীনের ১৫০ কোটি লোকের মধ্যে দুই কোটি মুসলমান। কে আস্তিক বা নাস্তিক তা আল্লাহ ভাল করে জানে। আল্লাহ সবাইকে সৃষ্টি করে খাওয়ায়, সংরক্ষণ করে। বরং যারা নাস্তিক তারা পৃথিবীর সভ্যতা সমৃদ্ধশালি করেছে। আধুনিক সভ্যতার যত ইন্সট্রুমেন্ট ডিজিটালাইজেশন মোবাইল, বিদ্যুত শক্তি, যানবাহন, সৌর শক্তি, উপগ্রহ তৈরি করে কখন বৃষ্টি হবে, অনাবৃষ্টি, ঝড়, তুফান, আকাশের কি আছে, না আছে সবই নাস্তিকেরা আবিষ্কার করেছে। বাবুনগরীর পকেটে নাস্তিকের মোবাইল, যে ফ্যানের নীচে বসে লম্বা লম্বা বয়ান মারে, বিদ্যুতটাও আবিষ্কার করেছে কাফেরা, ইহুদিরা, হ্সপাতালে (Hospital) জম্মের সময় ডেলিভারির সব যন্ত্রপাতি নাস্তিক, কাফের, ইহুদিদের বানানো। কেন ব্যবহার করে নাসারা কাফেরদের আবিষ্কার?”
টাইম ম্যাগাজিনে সর্ব প্রধান গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ছিল : “আমেরিকানদের সাথে বৌদ্ধধর্মের আন্তরিক হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক” (আমেরিকানস ফ্যাসসিনেশান উইথ বুড্ডিজম) এবং মহামান্য দালাইলামর নিকট সশ্রদ্ধ চিত্তে আমেরিকান স্ত্রী ও পুরুষ দলে দলে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছেন (টাইম, ১৩ অক্টোবর ১৯৯৭ সাল)।”
তিব্বতে সাত বছর” শীর্ষক সিনেমায় অভিনয় করেছেন হলিউডের বিখ্যাত নায়ক ব্রাড পিট। আন্তরীকভাবে হলিউডের বিভিন্ন কোম্পানি তিব্বত এবং বৌদ্ধসংস্কৃতিকে নিয়ে সিনেমার গল্প ও প্লট লেখা শুরু করেছেন।
সমাজে ‘সাম্য ও মৈত্রী প্রতিষ্ঠার’ জন্যই BUDDHIST MONKS নাটক চর্চা করতেন এবং চর্যাপদের ১৭ নম্বর কবিতায় (চর্যায়) আমরা পড়েছি, “নাচন্তি বাজিল গান্তি দেবী / বুদ্ধ নাটক বিসমা হোই অর্থাত দেবী গাইছেন, বজ্রাচার্য নাচছেন, এভাবে বুদ্ধ নাটক শেষ হলো। সংসারের দুঃখ থেকে নির্বানলাভ বা বিমুক্তি সুখই ত্রিপিটক ও চর্যাপদে মানব জীবন নিয়ে সাধনা। “মনে মৈত্রী করুণ রস, বাণী অমৃত পদ। জনে জনে হিতের তরে, পড়েন গৌতমবুদ্ধের জীবনী এবং চর্যাপদ।”
নাদিয়া সুলতানা পুরবী! প্রসঙ্গ কথন: ইসলাম ধর্মে অমুসলিমরা সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব অথচ বিশ্বায়ণের একুশ শতকে গৌতম বুদ্ধের বানী আরও বেশি প্রাসঙ্গিক! লিখেছেন- নাদিয়া সুলতানা পুরবী!
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি, ধম্মং শরনং গচ্ছামি, সংঘং শরণং গচ্ছামি।
গৌতম বুদ্ধ প্রার্থণা করেছেন- “সর্ব্বে সন্তা সুখিতা ভবন্তু, সর্ব্বে সন্তু নিরাময় (বিশ্বের সকল প্রাণী সুখী হোক, নিরাময়ে থাকুক)”। গৌতুম বুদ্ধের এ প্রাথর্ণায় শুধু বৌদ্ধদের সুখ কামনা করা হয়নি, সকল প্রাণী বলতে কীটপতঙ্গ থেকে ধর্ষক ও অসভ্য মানুষ জবাই করা মুমিন মুসলমানও রয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের বানী:
১। আত্মনির্ভরশীল হও। আত্মপ্রত্যয়ী হও, আত্মশরণই শ্রেষ্ঠ শরণ।
২। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। তারপর অন্যকে অনুশাসন কর। নিজে নিয়ন্ত্রিত হলে অন্যকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
৩। প্রাজ্ঞ ব্যক্তি কখনো নিন্দা বা প্রশংসায় প্রভাবিত হয় না।
৪। চিন্তার প্রতিফলন ঘটে স্বভাব বা প্রকৃতিতে। যদি কেউ মন্দ অভিপ্রায় নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে দুঃখ তাকে অনুগমন করে। আর যদি কেউ সুচিন্তা নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে সুখ তাকে ছায়ার মত অনুসরণ করে।
৫। কাউকে কটু কথা বলবে না। কারণ সেও কটু প্রতুত্তর দিতে পারে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় তোমার জন্য কষ্ট দায়ক হবে। দন্ডের প্রতিদন্ড তোমাকে স্পর্শ করবে।
৬। মুক্তির জন্য ইশ্বর বা পরনির্ভরশীল না হও এবং আত্মনির্ভরশীল হও।
বুদ্ধের এই বানীগুলো পৃথিবীর যে কোনো জাতী, ধর্ম, স¤প্রাদায়ভুক্ত মানুষের জন্য কি প্রযোজ্য নয়? আমি বৌদ্ধ ধর্ম পালন করি না, সেজন্য গৌতম বুদ্ধের এই অমীয় বানীগুলো গ্রহণ করতে সমস্যা থাকবে কেন? যে কোনো ধর্মের বানী যদি মানুষের কল্যাণকর হয় তো সেটা গ্রহণ করুন এবং যা ক্ষতিকর তা বর্জন করুন। কিন্তু ধর্মের নীতি হল কল্যাণকর হোক অথবা কষতিকারক হোক তা নির্দ্বিধায় গ্রহণ করতে হবে এবং অন্য ধর্ম সে যতই ভাল বিষয় থাকুক তবুও তা ঘৃণা করতে হবে, এটাই কি ধর্মের নীতি হওয়া উচিত?
ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে অমুসলিমরা সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব, তা-ই যদি হয় তবে গৌতম বুদ্ধ এই বানীগুলো লিখলো কিভাবে এবং বিশ্বে মোট জনসংখ্যায় দ্বিতীয়তম (Second largest Religious Community in the World) ধর্মালম্বী হতে পারল কিভাবে?
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!