অনলাইন ডেস্ক : জুন মাসে শিশু নির্যাতনের হার গত এপ্রিল ও মে মাসের তুলনায় বেড়েছে। বিশেষ করে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বাল্যবিবাহের সংখ্যা। জুনেই ৪৬২ জন কন্যাশিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে। ২০৭টি বাল্যবিবাহ বন্ধ সম্ভব হয়েছে। বাল্যবিবাহ মে মাসে ছিল ১৭০টি এবং বন্ধ করা হয়েছে ২৩৩টি। তাই এক মাসে বাল্যবিবাহ বেড়েছে ২৯২টি।
গতকাল মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এম জে এফ) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য তুলে ধরে। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন এম জে এফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। এসময় তিনি বলেন, সরকারের উচিত স্থানীয় সরকার পর্যায়ে বিশেষ সার্কুলার দিয়ে জরুরিভিত্তিতে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া। স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটিকে কার্যকর করে তুলতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮-৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ নিরোধ সংক্রান্ত ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে এবং করোনার কারণে কন্যাশিশু ও কিশোরী মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে চলতি অর্থবছরে কোনো নির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা হয়নি। যদিও বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ এবং জোর করে বিয়ে বন্ধ করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ।
একই সময়ে ২ হাজার ৮৯৬ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মে মাসে নির্যাতনের এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১৭১ জন। জানা গেছে, এ সময়ে দেশের ৫৩টি জেলায় ১২ হাজার ৭৪০ জন নারী ও শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছেন। মে মাসে নির্যাতিতের এই সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৪৯৪ জন। নারী ও শিশুর ওপর মোট নির্যাতনের হার মে মাসের তুলনায় কমলেও, শিশু নির্যাতনের হার বেড়েছে। করোনাকালে নারী ও শিশুরা কেমন আছে তা জানার জন্য এম জে এফ এপ্রিল থেকে প্রতি মাসে ধারাবাহিকভাবে টেলিফোনের মাধ্যমে তাদের কর্ম এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করেছে।