অনলাইন ডেস্ক : দেশে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা।

করোনা ভাইরাস মহামারিকালে জুলাই মাসের মানবাধিকার লংঘন ও সহিংস ঘটনা পর্যালোচনা করে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে, দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক নির্যাতন, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা, গ্রেফতার, হয়রানি, সীমান্তে হত্যা-নির্যাতন, নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা লাভের অধিকারের লংঘন, দুর্নীতি এবং সর্বোপরি নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে ঘটে চলেছে।

বিগত সময়ের ধারাবাহিকতায় জুলাই মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৪১টি। যার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে কথিত ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনে থানা হাজতে একজনের মৃত্যুসহ আটটি ঘটনা ঘটেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা হাজতে একজনের আত্মহত্যা করার কথা বলা হলেও নিহতের পরিবারের অভিযোগ, রিমান্ডে এনে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও করোনা মহামারিকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছে। জুলাই মাসে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন, যেমন-ধর্ষণ, হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ে ১৭২টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৯৫টি, গণধর্ষণ ১৫টি।

এছাড়াও জুলাই মাসে ৩৩ জন নারী ও শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। যার মধ্যে ১৭ জন শিশু, ১৬ জন নারী। গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিশোধ, যৌতুক, তালাক, পরকীয়া ইত্যাদি কারণে হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে। মতপ্রকাশের অধিকারের ক্ষেত্রেও এ সময়ের চিত্র ছিল উদ্বেগজনক। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে ১২ জন সাংবাদিক নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

জুলাই মাসে এ পর্যন্ত পাঁচ জন নাগরিককে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস মহামারির এ সংকটকালে সরকারের কাছে জনগণের স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানবাধিকার সুরক্ষা, ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানানো হয়েছে ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে।