অনলাইন ডেস্ক : ২২.৫% বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কানাডার লক্ষাধিক সরকারি কর্মচারি ১৯ এপ্রিল বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন। ‘পাবলিক সার্ভিস এলায়েন্স অব কানাডা’ তথা পিএসএসির এই ধর্মঘটের কারণে ট্যাক্স রিটার্ন, ভিসা প্রসেসিং, সীমান্ত পাড়াপাড়, ইন্স্যুরেন্সের আবেদন ইত্যাদি অত্যাবশ্যকীয় কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দেয়ার আশংকা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১ মে হচ্ছে চলতি মওসুমের ট্যাক্স রিটার্নের শেষ দিন। কানাডা রেভিনিউ এজেন্সি (সিআরএ) অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা ট্যাক্স রিটার্নের সময় বাড়াবে না।

অপরদিকে, কানাডিয়ান ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড্যান কেলী বলেন, ধর্মঘট যদি ২/৩ দিন ধরে চলে তাহলে তেমন কোন সমস্যা হবে না। তবে এর বেশি স্থায়ী হলে কঠিন সংকটে পড়তে হবে সকলকেই। ড্যান কেলী উল্লেখ করেছেন যে, সোমবারের মধ্যে যদি কর্মচারিরা কাজে না ফেরেন তাহলে টাক্স ফাইলিংয়ের সময়ও বাড়াতে হবে। উল্লেখ্য, পিএসএসির সদস্য সংখ্যা এক লাখ ৬০ হাজারের মত। এরমধ্যে ৪০ হাজার হলেন রেভিনিউ এজেন্সির কর্মচারি। এক লাখ ২০ হাজার হচ্ছে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের কর্মচারি।

আরো উল্লেখ্য, মোট কর্মচারির ৪৬ হাজার জনকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ কাজের জন্যে ধর্মঘটের বাইরে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ তারা কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষের সাথে দেন-দরবার অব্যাহত রয়েছে। ২২.৫% এর স্থলে ৯% বেতন বৃদ্ধিতে সম্মতি দিয়েছে কানাডা সরকার। কিন্তু শ্রমিক-কর্মচারিরা সম্মত হননি। তারা বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ২২.৫% বৃদ্ধির দাবিতে অনড় রয়েছেন।

কানাডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট পেরিন বিয়েটি গণমাধ্যমে বলেছেন, এই ধর্মঘট কানাডার অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কানাডার ব্যবসা হচ্ছে আখেরী অবলম্বন অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার। তাই উভয় পক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি অবিলম্বে উদ্ভ’ত পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ অবসানে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে।