গত ২২শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সেন্টার অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিসেস (বিসিসিএস) আয়োজন করেছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান “দুঃখিনী বর্ণমালা”। বিসিসিএস-এর সভাপতি হাসিনা কাদেরের শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। একুশে ফেব্রুয়ারি এবং বাংলা ভাষা নিয়ে কথা বলেন কবি দেলোয়ার এলাহী এবং শফিক আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টের সদস্য ডলি বেগম। মার্জিয়া মৌ’র পরিচালনায় গান কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছিল “এ প্রজন্মের কথা”।
কবি দেলোয়ার এলাহী রচিত এবং সাইদা বারির পরিচালনায় গীতি নৃত্য আলেখ্য “শেকড়ের সন্ধানে” অনুষ্ঠিত হয় । কি করে বাংলা ভাষা অর্জন হোল তারই কথা। অংশগ্রহণ করে মোহনা, চৈতন্য নাজমুল, মার্জিয়া মৌ, নুসাইবা, অর্নী এবং নুসরাত উর্মী। সুকন্যা নৃত্যাঙ্গনের তাসনিম, শ্রেয়া, নাজিয়া, রচনা, প্রার্থনা রীদা, রায়না, পারিসা এবং অপলা’র অসাধারণ নাচ হল ভর্তি দর্শকদের মন মাতিয়ে দেয়। এছাড়াও নেপাল ভাষায় মন মাতানো যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করে টরন্টোর স্থানীয় নেপালের একটি দল এবং চাইনিজ দল ক্যান্টনিজ ও ম্যান্ডারিন ভাষায় গান ও ইরানী মেয়ে জাহরা তার নীজ ভাষায় আবৃত্তি করে বিখ্যাত কবি হাফেজ এর একটি কবিতা।
ইন্টারন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে মনুমেন্ট ইঙ্ক এর জেনারেল সেক্রেটারী রিজুয়ান রহমান উপস্থিত দর্শকের স্থায়ী মনুমেন্ট সম্বন্ধে তথ্য দিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। সবশেষে থাকে গান ও কবিতা পর্বের অনুষ্ঠান। “বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে, অন্ধ বাউলের একতারা বাজে” কবিতা আবৃতি করেন ম্যাক আজাদ, সুমী রহমান, মেরী রাশেদীন, নাসরীন ইভা, সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফারহানা শান্তা এবং সুমন মালিক। উপস্থিত সকল শিল্পী ও দর্শকদের সম্মিলিত কণ্ঠে আব্দুল গাফফার চৌধুরী রচিত “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি” গান দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান। পুরো অনুষ্ঠানে তবলা ও শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন মামুনুর রশীদ এবং অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ সেন্টারের পরিচালক ম্যাক আজাদ এবং সুমী রহমান।