অনলাইন ডেস্ক : অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রিপাবলিকান নেতাদের তুলনায় ডেমোক্রেটদের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা বেশি। বিশ্ববাসী তুলনামূলকভাবে ডেমোক্রেটদের প্রতি বেশি ইতিবাচক মনোভাব দেখায়। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন, হিলারি ক্লিনটন, মিশেল ওবামার বক্তৃতা বিশ্বব্যাপী নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। অন্যদিকে জর্জ ডব্লিউ বুশ, ডোনাল্ড ট্রাম্প, মাইক পেন্স, রিক পেরি, টেড ক্রুজের মতো শীর্ষ রিপাবলিকান নেতাদের অভিবাসন ও পরিবেশবিরোধী অবস্থান, আগ্রাসী মনোভাব, বিভাজনধর্মী নীতি তাদের নিজ দেশে জনপ্রিয় করে তুললেও বৈশ্বিক নেতা হওয়ার দৌড়ে তারা যোজন যোজন দূরে রয়েছেন।

বেশ কিছু কারণে ডেমোক্রেটদের প্রতি বিশ্বজুড়ে সাধারণভাবে বেশি ইতিবাচক মনোভাব দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে দলটির কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও বহুপাক্ষিকতা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম এই দলটির প্রেসিডেন্টরা সাধারণত বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এগিয়ে নেয়ার পক্ষে কাজ করতে স্বাছন্দবোধ করেন। যেমন জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ ইউরোপের দেশগুলোর রক্ষার্থে মার্কিন নেতৃত্বধান সামরিক জোট ন্যাটোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। প্যারিস জলবায়ু চুক্তির মতো উদ্যোগকে সমর্থন করেন তারা।

বারাক ওবামা এবং বিল ক্লিনটনের মতো নেতারা বৈশ্বিক সহযোগিতা, জলবায়ু কার্যক্রম এবং কূটনীতিকে গুরুত্ব দেন, যা বহু দেশের সঙ্গে সোহার্দপূর্ণ।

অনেক ডেমোক্রেট নেতা এলজিবিটিকিউ প্লাস ব্যক্তিদের অধিকার, বৈচিত্র্য এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের মতো সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দেন, যা পশ্চিমা মিত্র ও উন্নত দেশগুলোর উদারপন্থী মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। বারাক ওবামার জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার এবং সামাজিক সমতার মতো নীতিগুলো বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিল।

ডেমোক্রেট প্রশাসন প্রায়ই তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে আরও স্থিতিশীল বিশ্ব-ব্যবস্থা নিশ্চিতে সক্রিয় হয় এবং একতরফা পদক্ষেপের চেয়ে কূটনীতিকে বেশি প্রাধান্য দেয়।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতীয়তাবাদী এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বিশ্বাসী হওয়ায় ঐতিহ্যগত মার্কিন মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় যা মাঝে মাঝে বিশ্বে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অন্যদিকে, ডেমোক্রেটরা প্রায়শই বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে এমন বার্তা দেন যা তাদের বৈশ্বিক ভক্তদের কাছে আকর্ষণীয়। বারাক ওবামার বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা তার ব্যক্তিত্বের প্রতি আকর্ষণ সংবাদমাধ্যমের কারণে আরও বেড়ে যায়। তবে কিছু রিপাবলিকান নেতা, যারা জাতীয়তাবাদী এবং সুরক্ষাবাদী নীতির ধারক তাদের প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাভারেজ তুলনামূলকভাবে নেতিবাচক হওয়ায় তাদের বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা কমতে থাকে।

ডেমোক্রেটরা সাধারণত জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং শরণার্থী সহায়তার মতো বিশ্বজনীন সমস্যাগুলোর ওপর বেশি গুরুত্ব দেন, যা বিশ্বব্যাপী তাদের ভক্ত মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা বিশ্বব্যাপী বৈষম্য দূরীকরণের জন্য মানবিক সহায়তা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একটি উদারপন্থী ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেন। এদিকে, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের মধ্যে রোনাল্ড রেগান এবং জর্জ ডব্লিউ বুশের মতো নেতারা স্নায়ূযুদ্ধের সময় তাদের কমিউনিজম বিরোধী অবস্থানের জন্য কিছু দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছিলেন। তবে সামগ্রিকভাবে, ডেমোক্রেট নেতারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহযোগিতা, সৌহার্দতা, এবং স্থিতিশীল কূটনীতির ওপর গুরুত্ব দেয়ায় বিশ্বব্যাপী বেশি সমর্থন উপভোগ করেন।

ডেমোক্রেট নেতাদের অনেককে স্থিতিশীলতা ও সাম্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। তারা সাধারণত বৈশ্বিক সংকট বা সহযোগিতামূলক নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন যা তাদের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেয়। রিপাবলিকান নেতাদের মধ্যে অনেকেই নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী এবং বাণিজ্য-সুরক্ষাবাদী নীতি বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকে করেন, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের একক আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে চলে যায়।

মিশেল ওবামার স্বাস্থ্য ও শিক্ষামূলক উদ্যোগ ‘লেটস মুভ’ এবং ‘গার্লস লার্নিং’ প্রোগ্রাম বিশ্বব্যাপী মানুষের হৃদয়কে জয় করতে পেরেছে। এ ধরনের মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে ডেমোক্রেট নেতারা শুধু নিজ দেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছেন।

এই সব কারণে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা সাধারণত বৈশ্বিকভাবে বেশি সমর্থন ও প্রশংসা পেয়ে থাকেন যেখানে রিপাবলিকান নেতারা তুলনামূলকভাবে কম জনপ্রিয় হয়ে থাকেন।

সেই সঙ্গে সব ধর্ম-বর্ণের নারীদের কাছে মিশেল ওবামা, হিলারি ক্লিনটন, কমলা হ্যারিসের গ্রহণযোগ্যতার সঙ্গে তুলনা করা যায় এমন রিপাবলিকান নারী নেতা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প এবং তার মেয়েকে যদি প্রথম সারির রিপাবলিকান নারী হিসেবে ধরা হয়ে থাকে তবে তাদের বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা মাপার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া হলো পাঠকের কাছে।

জনপ্রিয় ডেমোক্রেট নেতা: বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম উল্লেখযোগ্য যারা তাদের নেতৃত্ব, কূটনৈতিক দক্ষতা, এবং মানবিক উদ্যোগের জন্য বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামা তার নেতৃত্ব এবং কূটনৈতিক দক্ষতার জন্য বৈশ্বিকভাবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তার প্রশাসনের নেয়া পরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার (ওবামাকেয়ার) এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতামূলক উদ্যোগ তাকে বিশ্বের অনেক দেশেই জনপ্রিয় করে তুলেছে।

নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন বিল ক্লিনটন। বিশ্ববাণিজ্য চুক্তি এবং মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ক্লিনটন প্রশাসন। ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষায় কাজ করে আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বিশ্বমানের নেত্রী হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে নারীর অধিকার, স্বাস্থ্যসেবা, এবং শিক্ষার জন্য তার প্রচেষ্টা অনবদ্য। তার দুর্দান্ত নেতৃত্বের কারণে তিনি নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। হিলারি ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পপুলার ভোটে প্রায় ২৯ লাখ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের চেয়ে, যা মোট ভোটের প্রায় ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ। তবে, তবুও তিনি ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান। এর মূল কারণ হলো দেশটির জটিল নির্বাচনী পদ্ধতি।

সাবেক ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা তার স্বতন্ত্র সামাজিক উদ্যোগ এবং শিক্ষামূলক কাজের জন্য বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়। তার ‘লেটস মুভ!’ এবং ‘গার্লস লার্নিং’ উদ্যোগ শিশুদের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার লেখা বই ‘বিকামিং’ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাড়া ফেলেছে এবং তিনি একজন অনুপ্রেরণাকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিত।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেয়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ তাকে বৈশ্বিক অঙ্গনে জনপ্রিয় করে তুলেছে। বাইডেন প্রশাসন মানবাধিকার এবং বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।

একই সঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কিছু প্রগতিশীল নেতা বার্নি স্যান্ডার্স এবং আল গোর বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অনবদ্য অবদানের জন্য বিশ্বজুড়ে সম্মান পেয়েছেন। ৮৮ বছর বয়সী আল গোরের পরিবেশ রক্ষার নিরন্তর প্রচেষ্টা সত্যিই অনন্য।

এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ কয়েকজন রিপাবলিকান নেতা আছেন যারা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হওয়ার দৌড়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রে তারা বিতর্কিত নেতা বলে বিবেচিত হয়েছেন। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির ধারক এই ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোয় বিশ্বব্যাপী অনেকের কাছে বিতর্কিত হয়েছেন তিনি। তার অভিবাসনবিরোধী নীতি এবং অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবং উসকানিমূলক বক্তব্য সমালোচনার কারণ হয়েছে।

ইরাক এবং আফগানিস্তানে সামরিক আগ্রাসনের কারণে তার প্রশাসন বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিল। এই দুই যদ্ধে কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষ নিহত হন। এই যুদ্ধগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ও সামরিক হস্তক্ষেপ তাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চরম বিতর্কিত নেতা হিসেবে তুলে ধরেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বেশ কিছু সামাজিক এবং নীতিগত অবস্থান বিশেষত এলজিবিটিকিউ প্লাস অধিকারের বিরোধিতা তাকে আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্কিত করেছে।

টেক্সাসের সাবেক গভর্নর এবং ট্রাম্প প্রশাসনের জ্বালানি সচিব রিক পেরির কয়লা এবং জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর প্রতি সরাসরি সমর্থন, বিশেষত পরিবেশগত বিষয়ে তার অবস্থান তাকে পরিবেশবাদী গোষ্ঠী এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তীব্র সমালোচিত নেতা হিসেবে তুলে ধরেছে।

টেক্সাসের এই সেনেটর অভিবাসনবিরোধী নীতির প্রতি কট্টর অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সংশয়বাদ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক বিতর্কিত নীতির প্রতি সমর্থনের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় অংশের কাছে তিনি বিতর্কিত নেতা হিসেবে বিবেচিত।

এই নেতারা তাদের জাতীয়তাবাদী নীতিমালার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই বিশ্বব্যাপী বিতর্কিত হয়েছেন। বিশেষত প্রগতিশীল ইস্যুগুলোতে প্রতিক্রিয়াশীল অবস্থান এবং জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তারা বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হয়েছেন।

অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড: রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলার সংখ্যা ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টদের তুলনায় ৩৮ গুণের বেশি বলে দাবি করা হয়। পলিটিফ্যাক্ট-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে নিক্সন, রিগান এবং ট্রাম্পের রিপাবলিকান প্রশাসন অধীনে ৩১৭টি অপরাধমূলক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল , এই তিনজনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন জিমি কার্টার, বিল ক্লিনটন এবং বারাক ওবামার নেতৃত্বাধীন ডেমোক্র্যাটিক প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল মাত্র তিনটি।​

মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গ: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান নেতা রিচার্ড নিক্সন (১৯৬৮-৭২) এবং তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জারের বিমাতাসূলভ ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক এখন চলছে। দখলদার পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খানের প্রতি সমর্থন জানায় নিক্সন প্রশাসন। ইয়াহিয়া বাহিনী তখন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানের স্বাধীন বাংলাদেশ) নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্যাতন এবং গণহত্যা চালাচ্ছিল যার পরোক্ষ সমর্থক ছিল নিক্সন প্রশাসন। বাংলাদেশে গণহত্যার সুস্পষ্ট খবর পাওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখেন নিক্সন এবং কিসিঞ্জার।