অনলাইন ডেস্ক : নিউইয়র্কের আদালতেই পর্নস্টারকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই মামলা তুলে নেওয়ার আর্জি ট্রাম্পের। আমেরিকার আগামী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবীরা মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিউইয়র্কের আদালতে আর্জি জানিয়েছেন যে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্নস্টারকে ঘুষ দেওয়ার যে মামলা আছে, যাতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তা ফিরিয়ে নেওয়া হোক। অর্থাৎ, ট্রাম্পকে ওই মামলা থেকে রেহাই করা হোক। বস্তুত, ছেলে হান্টার বাইডেনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমা করে দেওয়ার পরেই এই রাস্তায় হাঁটলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা আদালতকে জানিয়েছেন, ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন ট্রাম্প। এরপর তিনি প্রেসিডেন্টের অফিসে বসে কাজ করবেন। তার মাথার ওপর এই মামলাটি ঝুলে থাকলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার কাজের ক্ষতি হতে পারে। সে কারণেই মামলাটি সরিয়ে নেওয়া উচিত।

ট্রাম্পের বিরোধী আইনজীবীরা অবশ্য এই যুক্তির সঙ্গে সহমত হতে পারেননি। তাদের বক্তব্য, ট্রাম্পের আইনজীবীরা যে যুক্তি দিয়েছেন, তার কোনো বাস্তবতা নেই।

ম্যানহাটনে গত মাসে বিচারপতি জুয়ান মারচান বলেছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে শাস্তি ঘোষণা হবে, তা আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। কারণ, প্রেসিডেন্ট হয়ে অফিস গুছিয়ে নিতে তার সময় লাগবে।

আইনজীবীরা আবেদন করেছেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় টার্ম শেষ হলে তাকে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু ট্রাম্পের আইনজীবীরা চাইছেন মামলাটিই খারিজ করে দেওয়া হোক। ট্রাম্পের আইনজীবীরা হান্টার বাইডেনের প্রসঙ্গ তাদের সওয়াল-জবাবে তুলে ধরেছেন।

তাদের বক্তব্য, অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরেও জো বাইডেন তার ছেলেকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ব্যবহার করে ক্ষমা করে দিয়েছেন। একইভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য ট্রাম্পের মামলাটিও খারিজ করে দেওয়া উচিত।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল পর্নস্টার স্টরমি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ করার জন্য তিনি এক লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে এ কাজ তিনি করেছিলেন। ড্যানিয়েলের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের। সে কথা ড্যানিয়েল যাতে প্রকাশ্যে না বলেন, সে জন্যই ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। আদালত এই ঘটনাকে অপরাধ হিসেবেই দেখেছিল এবং ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।