অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচন নিয়ে নোংরা খেলা খেলে। তারা ক্ষমতায় গেলে মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে এবং দেশকে পিছিয়ে দেয়।’ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলাটা বিএনপি’র চরিত্র। কারণ একটাই ওরা গণমানুষের দল নয়, ওরা মানুষকে পরোয়া করেনা। ক্ষমতা ওদের কাছে ভোগের বস্তু লুটের সুযোগ, লুটের মাল। আর বাংলাদেশের মানুষতো তাদের কাছে কিছুই না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তো কথা হয়নি। জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে কেউ তো সে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। ৩০০ সিটের নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছে। জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টা সিট। জাতীয় পার্টি আর কয়েকটা সিট পেলে খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হতে পারতেন না।’
শেখ হাসিনা বলেন, যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে, তখন দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগই দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারে। বিএনপিসহ যারাই আগে ক্ষমতায় ছিল, দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। ২১ বছর এ দেশের মানুষ নির্যাতিত, শোষিত ও বঞ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা ভুলে গেছেন, ২০০১ সালে দক্ষিণাঞ্চলে কোনো সাংবাদিক ঢুকতেই পারতেন না। সে অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছিল। গৌরনদী থেকে ২৫ হাজার মানুষ এসে কোটালিপাড়ায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় ৭১’ এর মতো।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সম্মেলন সঞ্চালনা করেন ও সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন।
কাউন্সিলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধ এবং সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
২০০২ সালের ৬ জুলাই গঠিত হয় যুব মহিলা লীগ এবং নাজমা আক্তার ও অপু উকিল নেতৃত্বে আসেন। ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ যুব মহিলা লীগের সর্বশেষ সম্মেলনেও পুনরায় নাজমা আক্তার ও অপু উকিলই নেতৃত্বে আসেন।