অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের যে উন্নয়ন কাজ করেছে তার জন্য বিএনপির আন্দোলন হালে পানি পাচ্ছে না। শত চেষ্টা করেও তারা জনগণের সাড়া পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের কোনো ইস্যু নেই। তারা বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে আন্দোলন করতে চেয়েছিল। এর আগে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং কোটা আন্দোলনকে ইস্যু করতে চেয়েছিল। ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ, ভোলায় গুজব ছড়িয়ে আন্দোলনের চেষ্টা করছে। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি হোটেলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সহ-সভাপতি আসলামুল হক আসলাম, নাজিম উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,এখন তারা বলছে,ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেই তারা চাঙ্গা হয়ে যাবে। আমি একটা জিনিস বুঝলাম না,যারা তাদের নেত্রীর কারাবরণের পর পাঁচ হাজার লোক নিয়ে একটা আন্দোলন করতে পারলো না, কামাল সাহেব দেখা করলেই কীভাবে চাঙ্গা হয়ে যাবে। এটা হাস্যকর। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভোলায় সহিংস ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস-দুর্নীতি, মাদক ও চাঁদাবাজি বিরোধী অভিযানে নিজ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নজির সৃষ্টি করেছেন। এর আগে অন্য কোনো প্রধানমন্ত্রী তার দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। তিনি বলেন, সে কারণে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একজন জনপ্রিয় নেতা। ১৯৭৫ সালের পরে তার মতো জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী নেতা বাংলাদেশে দেখা যায়নি। সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে অন্যায় করে কেউ পার পাবে না। অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেকে নজরদারি করা হচ্ছে। তিনি যতবড় নেতাই হোন পার পাবেন না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আপনজন হারিয়েছেন। দেশের মানুষ এখন তার আপন। দেশ ও জনগণের জন্য তিনি কাজ করে যাবেন। মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,পকেট ভারি এবং নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে কোনো অপারাধীকে দলে আনবেন না। দলে অনুপ্রবেশকারী থাকলে তাদেরকে বের করে দিতে হবে। কারণ ওরা দেশ ও দলের ক্ষতি করবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে খারাপ লোকের প্রয়োজন নেই। ২০-২১শে ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের আগে সহযোগী সংগঠন এবং তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলন করে দলকে আরও শক্তিশালী এবং আগাছামুক্ত করা হবে। সেটি শুরু হয়ে গেছে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এর বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন,আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল একটি শক্তিশালী জোট। এই জোট থেকে একজন বেরিয়ে গেলে জোট ভেঙ্গে যাবে না। কোনো ধরনের খারাপ প্রভাব পড়বে না। তবে রাশেদ খান মেনন এখন তার বক্তব্য ভুলভাবে প্রকাশ করা হয়েছে বলে বলছেন।