অনলাইন ডেস্ক : বন্ধুর জন্মদিন উদ্যাপন করতে আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের একটি বারে গিয়েছিল ১৬ জন বন্ধুর একটি দল। এক রাতে কয়েক ঘণ্টার জন্য আয়োজিত পার্টিতেই ওই ১৬ বন্ধুসহ বারের ৭ জন কর্মী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।
সিএনএন ও নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬ জুন রাতে ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলে বিচের লিঞ্চ’স আইরিশ পাবে জন্মদিন উদ্যাপন করতে গিয়েছিল ওই ১৬ বন্ধুর দলটি। এরিকা ক্রিপস নামের ওই দলে ৪০ বছর বয়সী একজন স্বাস্থ্যকর্মীও ছিলেন। এক মাসের কোয়ারেন্টিন শেষ করে তাঁরা সবাই বারে গিয়েছিলেন।
এরিকা ক্রিপস নামের ওই স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, ‘কোয়ারেন্টিন শেষ করে তাঁরা কেবল ওই রাতেই বারে গিয়েছিলাম। এক রাতেই আমরা সবাই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলাম।’
লিঞ্চ’স আইরিশ পাবের মহাব্যবস্থাপক কেইথ দোহার্টি বলেন, বারে আসা ওই ক্রেতাদের করোনা পজিটিভ আসার খবর পেয়ে জীবাণুমুক্ত করতে বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বারের সব কর্মীর করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। সাতজন কর্মীর করোনা পজিটিভ এসেছে। বার জীবাণুমুক্ত করতে সাত হাজার ডলার ব্যয় করা হয়েছে। এখন চালু করা হবে। তবে এবার কর্মী ও ক্রেতাদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে তারপর ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে।
এরিকা ক্রিপস বলেন, ‘আমাদের অসতর্কতার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের জনসমাগমস্থলে যাওয়াই উচিত হয়নি। আমরা কেউই মাস্ক পরে যাইনি। আমাদের মনে হয়েছে, রাজ্যের সব খুলে দেওয়া হয়েছে এবং সবাই ভালো আছে। এই সুযোগটাই আমরা নিতে চেয়েছিলাম, যা ছিল আমাদের ভুল। আমাদের মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা উচিত ছিল।’
বন্ধুদের দলে থাকা কেট লাইটন বলেন, ‘অসতর্ক থাকায় আমরা করোনায় সংক্রমিত হয়েছি। শুধু আমরা না, এখন আমাদের কমিউনিটিকেও বিপদে ফেলেছি। আমাদের মাধ্যমে এখন তারাও সংক্রমিত হতে পারে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার ফার্নান্দো মেজা নামের এক ব্যক্তির তাঁর মালিকানাধীন দুটি বার বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মী ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করতে চাই। এ কারণে দুটি বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউন তুলে ফ্লোরিডা খুলে দেওয়ার পর রাজ্যে আবারও আশঙ্কাজনকভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।