অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে সোমবার শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, ঐতিহ্য অনুযায়ী বাইবেলে হাত রেখে শপথ নেওয়ার বদলে ট্রাম্প কেবল ডান হাত উঁচু করেই শপথ নিয়েছেন।

শপথ অনুষ্ঠানে দুটি বাইবেল আনা হয়েছিল—একটি সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের ১৮৬১ সালের শপথ অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত বাইবেল এবং অন্যটি ট্রাম্পের মা মেরি অ্যান ট্রাম্পের দেওয়া একটি পারিবারিক বাইবেল। প্রথা অনুযায়ী, এগুলোর ওপর হাত রেখেই ট্রাম্পকে শপথ নেওয়ার কথা ছিল। তবে, শপথ পাঠের সময় ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া বাইবেলগুলো হাতে ধরে পাশে দাঁড়ালেও ট্রাম্প এগুলোর ওপর হাত রাখেননি।

এই ঘটনা নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বাইবেলে হাত না রাখার কারণে কি তার শপথ কার্যকর হয়েছে? বিষয়টি এতটাই আলোচিত যে, শপথ গ্রহণের পরপরই এটি গুগলে সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান করা বিষয়ের তালিকায় উঠে এসেছে।

এ ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল বিশেষজ্ঞ এবং টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক জেরেমি সুরি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সংবিধানে প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের সময় বাইবেলে হাত রাখার বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। শপথের মূল বিষয় হলো সংবিধানের প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার। বাইবেলে হাত রাখা শুধু একটি ঐতিহ্য, যার সাংবিধানিক কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এমনকি নাস্তিকদের জন্যও শপথ গ্রহণের বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

তবে ট্রাম্পের মুখপাত্রদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্য বনাম সংবিধানের প্রসঙ্গ নতুন করে আলোচনায় এসেছে। অনেকেই বলছেন, বাইবেলে হাত রাখা শুধু ঐতিহ্যের অংশ, তবে শপথের গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে সংবিধান মেনে চলার ওপর।