অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে এই নির্বাচন নিয়ে দেশটির অবস্থান পরিবর্তন না করে তারা ফের বলছে, ‘নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি’।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যু নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে খর্ব করে এবং বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে আটক রেখে রিপোর্ট অনুসারে যে জাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সে বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র? নির্বাচন নিয়ে আপনার দেয়া বিবৃতিতেই উল্লেখ করেছেন যে, নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু এর কোনোটাই হয়নি।’
উত্তরে মিলার বলেন, ‘বিরোধীদলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে যেভাবে জেলে আটকে রাখা হয়েছে তা নিয়ে এখনও আমরা উদ্বিগ্ন। পাশাপাশি নির্বাচনে যেভাবে কারচুপি হয়েছে তা নিয়েও আমাদের উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে। অন্যান্যদের মতো নির্বাচন নিয়ে আমাদের মন্তব্য হচ্ছে- এই নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়নি।’
এসময় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ জানিয়ে মিলার বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে আমরা এর নিন্দা জানাই। সহিংসতার ঘটনাগুলোর বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানাই। প্রকৃত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি আমরা সব রাজনৈতিক পক্ষকে আহ্বান জানাবো, তারা যেনো সহিংসতা পরিহার করে।’
এর পর অন্য এক প্রশ্নে ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়— যখন আপনারা বলছেন, বাংলাদেশে এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য হয়নি, তা হলে যুক্তরাষ্ট্র কি টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বীকৃতি দেবে না? জবাবে ম্যাথিউ মিলার ইংরেজিতে দুটি শব্দ উচ্চারণ করেন। তা হলো—‘নো, নো’।