অনলাইন ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘মাস্টারশেফ’ এর ৫৭ টি পর্ব অতিক্রম করে গ্র্যান্ড ফিনালে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নারী কিশোয়ার চৌধুরী। প্রবাসে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করায় সিডনি প্রেস এ্যান্ড মিডিয়া কাউন্সিলের পক্ষ থেকে তাকে থেকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।

কাউন্সিলের সভাপতি মোহাম্মাদ আবদুল মতিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদ ফয়সাল আহমেদ জানান, সিডনি প্রেস এ্যান্ড মিডিয়া কাউন্সিলের আসন্ন অভিষেক সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে কিশোয়ার চৌধুরীকে এই সম্মাননা প্রদান করা হবে। কাউন্সিলের কার্যকরী পরিষদের পক্ষ থেকে এই সিদ্বান্ত গ্রহণ করা হয়

সাহস, পরিশ্রম, রুচি আর মেধা দিয়ে বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তাভাত, শুকনা মরিচ পোড়া, ভাজা মাছ, আলু ভর্তা ও নানা রকম বাঙালী পরিবেশন করে এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অন্য এক বাংলাদেশকে পরিচিত করিয়েছেন কিশোয়ার। স্থানীয় সময় ১৩ জুলাই (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় চ্যানেল ১০ এ মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম আসরের গ্র্যান্ড ফিনাল অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়।
ফাইনাল ডিশ রান্না নিয়ে কিশোয়ার বিচারকদের বলেন, “প্রতিযোগিতায় এমন রান্না সত্যিই চ্যালেঞ্জের। সাধারণ রেস্টুরেন্টে এমন রান্না হয় না। কিন্তু বাঙালির কাছে এটা পরিচিত রান্না।” আর ফাইনাল ডিশ হিসেবে এটা রেঁধে নিজের তৃপ্তির কথাও জানান কিশোয়ার। এই রান্না দেখে ও খেয়ে বিচারকরা রীতিমতো অভিভূত হয়ে পড়েন। তবে মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’র ফাইনাল রেজাল্টের আগেই লাখ লাখ বাঙালির মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রামসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত – এবং একই সঙ্গে প্রচণ্ড জনপ্রিয় – কয়েক পদের রান্নার ভিডিও, আর সঙ্গে পরিচিতি পেয়ে যান এসবের রাঁধুনি। লাউ চিংড়ি, বেগুন ভর্তা, খিচুড়ি, মাছভাজা, আমের টক, খাসির রেজালা- মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় একের পর এক এমন মুখরোচক খাবার রান্না করে বিচারকসহ বিভিন্ন ভাষাভাষীর দর্শকের নজর কাড়েন এই শেফ।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশে প্রচলিত নানা ধরনের খাবারকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার কারণেই ৩৮ বছর বয়সী এই শেফকে অন্যসব প্রতিযোগী থেকে আলাদা করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবা কামরুল চৌধুরী ও মা লায়লা চৌধুরীর কন্যা কিশোয়ার চৌধুরী অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বসবাস করেন। দুই সন্তানের গর্বিত জননী কিশোর পেশায় একজন বিজনেস ডেভেলপার।