স্পোর্টস ডেস্ক : তিন নম্বরে ব্যাট করলে মহেন্দ্র সিং ধোনি হতেন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। অনেক রেকর্ডই হতো তার। সেটা তিনি করতে পারেননি দলকে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে। এমন মন্তব্য গৌতম গম্ভীরের। বাংলাদেশের বোলিংয়ের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের সাবেক এই ওপেনার । সমালোচনা করেছেন শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিংয়ের। স্টার স্পোর্টসের ‘ক্রিকেট কানেক্টেড’ অনুষ্ঠানে গম্ভীরের কাছে প্রশ্ন ছিল, রান তাড়ার ক্ষেত্রে বিরাট কোহলি ও ধোনির মধ্যে কাকে বেছে নিতেন? জবাব দিতে গিয়ে তিন দেশের বোলিংয়ের প্রসঙ্গ টানেন গম্ভীর। মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে বিরাট কোহলির তুলনা করতে গিয়ে গম্ভীর বলেন. দুজনের তুলনা করা খুব কঠিন।
কারণ, একজন তিন নম্বরে ব্যাট করে, অন্যজন ছয় অথবা সাত নম্বরে। আমি সম্ভবত ধোনিকে বেছে নিতাম। বিশ্ব ক্রিকেটে এখন যে মানের বোলিং আক্রমণ, ফ্ল্যাট উইকেটে ধোনি যদি তিনে ব্যাট করতো তাহলে সম্ভবত বেশিরভাগ রেকর্ডই ভেঙে দিতো। এসময় বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিংয়ের সমালোচনা করেন গম্ভীর। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়েছিল ধোনির। প্রথম চার ইনিংসে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল একবার। ২০০৫ সালে প্রথমবার তিন নম্বরে সুযোগ পেয়েই করেন সেঞ্চুরি, বিশাখাপত্তমে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ১৪৮। সে বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ১৮৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসও খেলেন তিন নম্বরে নেমেই। তবে টপ অর্ডারে আর তেমন একটা ব্যাটিং করা হয়নি তার। পরবর্তীতে মিডল অর্ডারে হয়ে ওঠেন দলের বড় ভরসা। পরিচিত পান সব সময়ের সেরা ফিনিশারদের একজন হিসেবে। এই সংস্করণে এখন পর্যন্ত ২৯৭ ইনিংসে ১০ সেঞ্চুরিতে করেছেন ১০ হাজার ৭৭৩ রান। সবচেয়ে সফল অবশ্য তিন নম্বরেই। এই পজিশনে ১৬ ইনিংসে ৯৯৩ রান করেছেন ৮২.৭৫ গড়ে। গম্ভীরের ধারণা, তিনে খেললে ধোনি আরও অনেক বেশি রান করতেন। ‘বিশ্ব ক্রিকেট সম্ভবত একটা জিনিস মিস করেছে। সেটা হলো ধোনি তিন নম্বরে ব্যাট করেনি। যদি সে ভারতের অধিনায়কত্ব না করত এবং তিন নম্বরে ব্যাট করত, তাহলে হয়তো পুরো বিশ্ব ক্রিকেট ভিন্ন এক খেলোয়াড়কে দেখত। সম্ভবত সে আরও অনেক রান করতে পারত, অনেক রেকর্ড ভাঙতে পারত’- বলেন তিনি । বিশেষ করে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার মাঝারি মানের বোলিংয়ে বিরুদ্ধে টপ অর্ডারে ব্যাট করতে পারলে ধোনি অনেক রেকর্ড নিজের করে নিতো বলে মনে করেন গম্ভীর। কারণ এই তিন দলের কোনটিতে এই মুহূর্তে বিশ্বমানের কোনো পেস বোলার নেই। যারা মুহূর্তের মধ্যে দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারেন।