অনলাইন ডেস্ক : করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আগামী শুক্রবার থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও পেরু থেকে সব বিদেশি নাগরিকের জাপান প্রবেশে কঠোর পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। এর আগে গত শুক্রবার জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে যে, এই চারটি দেশ থেকে জাপানের স্থায়ী বসতিকারী, দীর্ঘ মেয়াদে ভিসাধারী, তাদের স্বামী বা স্ত্রী অথবা সন্তানের যদি স্থায়ী আবাসন অনুমোদন থাকে অথবা এমন মর্যাদা সম্পন্ন জাপানি নাগরিক হন, শুধু তারা জাপানে ফিরতে সক্ষম হবেন। তবে জাপান ফেরার পূর্বে তাদের করোনা নেগেটিভ এমন প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। এ বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছিল আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে জাপানি নন এমন অধিবাসীদের ক্ষেত্রে। কিন্তু সরকার বলেছে, এই বিধিনেষেধ আগেভাগেই এই চারটি দেশের ক্ষেত্রে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণ, এসব দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। এর আগে এসব দেশ থেকে যাওয়া মানুষকে বিমান বন্দরে স্ক্রিনিং করে করোনা পজেটিভ পাওয়া গিয়েছিল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জাপান টাইমস।
এখন নতুন ও পরিবর্তিত নীতি কার্যকর হচ্ছে আগামী শুক্রবার থেকে। এর অধীনে এই চারটি দেশ থেকে জাপানের অভিবাসী কোন বিদেশি গেলে তাকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। সে রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বাংলাদেশ বা এই চারটি দেশ ত্যাগের ৭২ ঘন্টার মধ্যে হতে হবে। এ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট জাপান দূতাবাস ও কনস্যুলার অফিস থেকে পাওয়া যাবে।
করোনা মহামারির কারণে গত ৩রা এপ্রিল থেকে আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে হাজার হাজার মানুষ বিদেশে আটকে পড়েন। তাদের জন্য জাপান যখন তার দরজা খুলে দিচ্ছে তখনই এই পরিবর্তিত ঘোষণা এলো। জাপানের আরোপিত ওই বিধিনিষেধ এখন বলবৎ আছে ১৪৬টি দেশ ও অঞ্চলের জন্য। এমন কঠোরতার কড়া সমালোচনা করেছেন জাপানের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ব্যবসায় সংক্রান্ত লবিগুলো। তারা কয়েক মাস ধরে জাপানে শিথিলতা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। এক্ষেত্রে জাপানি নাগরিকরা সুবিধা পাচ্ছেন। তারা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ছাড়াই প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন।
৩রা এপ্রিলের আগে যেসব বিদেশি জাপান ছেড়ে গিয়েছিলেন তাদেরকে আগামী বুধবার থেকে জাপানে ফিরতে দিতে রাজি হয় সরকার। তবে যেসব মানুষ জাপানে প্রবেশ করছেন তাদেরকে পৌঁছামাত্র পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। রাখা হবে ১৪ দিনের আইসোলেশনে। এ সময়ে তাদেরকে গণপরিবহন ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। তবে যেসব বিদেশি বর্তমানে জাপানে আছেন এবং বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের ক্ষেত্রে রিভাইজ করোনা নীতি প্রযোজ্য হবে না।