অনলাইন ডেস্ক : ভারত সরকার ঈদের উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (রেল ইঞ্জিন) উপহার দিয়েছে। ফুল দিয়ে বর্ণিলভাবে সাজানো ইঞ্জিনগুলো আজ সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছালে উপস্থিত হাজারো মানুষ করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে রেল ইঞ্জিনগুলো সরাসরি গ্রহণ করেন। এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী কুদরত-ই-খুদা ও ভারতীয় রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অশোক কুমার বিশ্বাস দুই দেশের পক্ষে হস্তান্তরপত্রে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রেল ইঞ্জিনগুলোর আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ঢাকা থেকে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, দিল্লি থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং রেল, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন।
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনে বাংলাদেশ রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাংসদ আলি আজগার টগর। অন্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত পরিচালক (রোলিং স্টক) মনজুরুল আলম চৌধুরী, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ, চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট শহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।
মনজুরুল আলম চৌধুরী বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন। সফরকালে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃক বাংলাদেশ রেলওয়েকে লোকোমোটিভ ‘গ্রান্ট’ (অনুদান) হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী গত ২১ জুলাই উভয় দেশের রেলওয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তারই অংশ হিসেবে আজ গেদে-দর্শনা ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্টের মাধ্যমে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ দিল ভারত।
মনজুরুল আলম চৌধুরী দাবি করেন, ২০১২ থেকে ২০১৫ সালে নির্মিত এসব রেলইঞ্জিনের মান অনেক ভালো, যা কমপক্ষে আগামী ২০ বছর ব্যবহার করা যাবে। ইঞ্জিনগুলো পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভিন্ন পথে চলাচল করবে।