সোনা কান্তি বড়ুয়া : চর্যাপদের বৌদ্ধ বাংলায় উদ্ভাসিত বিশ্বমানবতা! বর্তমান বাংলাদেশে হাজার বছর ধরে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, চাকমা, সাঁওতালসহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এক সঙ্গে স¤প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছে বলেই সব স্রোত এক ধারায় এসে মিলিত হয়ে বাঙালি সংস্কৃতিকে করেছে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী। বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বাংলাদেশে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন!
১২০২ সালে রাজা লক্ষন সেনের মহামন্ত্রী হলায়ুধ মিশ্রর বিশ্বাসঘাতকতায় বখতিয়ার খিলজির বাংলা জয়! এবং বখতিয়ার খিলজির বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের জন্যে বাংলাদেশে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন! “বাংলাদেশের স্বাধীনতা কি শুধু মুসলমানদের ইসলাম ধর্মের জন্য? ধর্ম অবমাননা কি শুধু বৌদ্ধ ও হিন্দু দের বেলায়? বাঙালি জাতির পিতা বিশ্বমানবতায় উদ্ভাসিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বেয়াদপ অকৃতজ্ঞ সেনা প্রশাসকগন জানোয়ারের মতো হিংস্রতায় সেনা নামিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় বর্তমান বাংলাদেশে হিন্দু ও বৌদ্ধদের দুষ্কালের দিবানিশি!
বৌদ্ধপন্ডিত ভিক্ষুগণ গৌতমবুদ্ধকে প্রনাম নিবেদন করতে লিখেছেন, চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম বই! “মনে মৈত্রী করুণ রস, বাণী অমৃত পদ। জনে জনে হিতের তরে, পড়েন গৌতমবুদ্ধের জীবনী এবং চর্যাপদ।” বৌদ্ধ পাল রাজত্বের প্রবল আধিপত্যের প্রেক্ষাপটে চর্যাপদের জন্ম আধুনিক গণতান্ত্রিক অধিকারের মেনিফিষ্টো হিসেবে। এর মধ্যে নিহিত রয়েছে বাঙালীর সর্বপ্রথম গনতন্ত্রের বীজ ‘বাক স্বাধীনতার অধিকার’। বাংলা ভাষার প্রথম ‘বিপ্লবী মিনার’।
বর্তমান বাংলাদেশে বৌদ্ধদের “দুষ্কালের দিবানিশি! আর কত অত্যাচার হবে বৌদ্ধদের উপর? যেমন আমরা যারা দেশের ছোটখাটো নাগরিক, বৌদ্ধদের উপর অত্যাচার কথা শুনলে ভয়ে চুপচাপ থাকি; আর কত নিশ্চিহ্ন হবে আমাদের জমি ও বৌদ্ধ বিহার! ভারত পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের অতীত ও ঐতিহ্যে বৌদ্ধ অবদান! এবং সম্রাট অশোকের অশোকচক্র খচিত বর্তমান ভারতের জাতীয় পতাকায় বৌদ্ধধর্ম বিরাজমান। বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ মানে বিগত মৌলবাদীরা ফেক আইডি বানিয়ে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বৌদ্ধবিহার বুদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ বাড়ি ধ্বংস করেছে ২০১২ সালে ২৯ শে সেপ্টেম্বর ভয়াল কালো রাতে! আমরা যথাযথ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি ও দ্রæত প্রশাসন কে ব্যবস্থা গ্রহনের জোড় দাবী জানাচ্ছি। তীব্র প্রতিবাদ জানাই এমন নিঃশৃংস হামলার!
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসের ৫২ বছর উপলক্ষে দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করে এবং এই অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে (ITTEFAQ, 27 MARCH 2023)! ‘ধর্ম যার, যার, সংবিধান সবার’! ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে ত্যাগ করে মনুষ্যত্বের গভীর সাধনায় ধর্ম ও বিজ্ঞান মানবাধিকারে উজ্জীবিত হয়ে গণতান্ত্রিক বাঙালি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। একাত্তরের দুঃখের দিনে বাঙালি হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, চাকমা, সাঁওতালসহ সবকে বাঁচাতে ভারত বা ভুটানের আগে তো কোন মুসলমান রাষ্ঠ্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি।
গৌতমবুদ্ধ এবং তাঁর ধর্ম বগুড়ায় আসার পরে বিশ্বজয় করেছিলেন। হয়রত শাহজালাল (র) বাংলাদেশের পূজনীয় মহাপুরুষ হলে গৌতমবুদ্ধ বগুড়ায় তাঁর ধর্ম প্রচার করে ও শ্রীলংকার আল্লাহ হল কেন হমায়ুন আহমেদের লেখা “রাবনের দেশে আমি ও আমরা” শীর্ষক বইতে? বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে মুসলমান রাজনীতির ইতিহাসের প্রধান সমস্যা এই যে এটা পুরাপুরি মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত, এবং হুমায়ুন আহমেদ বুদ্ধের দোষ খুঁজে বের করতে প্রথমে সিদ্ধার্থের গৃহত্যাগের ভুল পাঠকদের সামনে তুলে ধরলেন, উক্ত বইতে গৌতমবুদ্ধকে ‘যশোধারার স্বামী থালা হাতে (৩৫ পৃ:)! হযরত মোহাম্মদ (সা:) ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার উপদেশ দিয়েছেন। চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী।
চর্যাপদের লেখকগণের নাম: বৌদ্ধপন্ডিত ভিক্ষুগণ বা সাধনারত ৮৪ জন বৌদ্ধসিদ্ধাচার্যগন বাংলাভাষার আদি নিদশর্নের প্রথম বই “চর্যাপদ” খৃষ্ঠীয় অষ্ঠম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচনা করেন। “চর্যাচর্য বিনিশ্চয়” গ্রন্থে চর্যাপদের লেখকগণের মধ্যে (১) কাহ্নপাদের কবিতা (চর্যা) – ১৩টি (২) ভুসুকুপাদের কবিতা (চর্যা) ৮টি (৩) সরহপাদ – চর্যা ৪টি (৪) কুক্কুরীপাদ – চর্যা ৩টি (৫) লুই পাদ – চর্যা ২টি (৬) শবরপাদ – চর্যা ২টি (৭) শান্তিপাদ – চর্যা – ২টি (৮) আর্যদেব চর্যা ১টি (৯) কঙ্কনপাদ চর্যা ১টি (১০) কলম্বপাদ (১১) গুঞ্জুরীপাদ (১২) চাটিলপাদ (১৩) গুড্ডরীপাদ (১৪) জয়নন্দীপাদ (১৫) ঢেন্ডনপাদ (১৬) তন্ত্রীপাদ (১৭) তাড়কপাদ (১৮) দারিকপাদ (১৯) ধামপাদ (২০) বিরুবাপাদ (২১) বীনাপাদ (২২) ভদ্রপাদ (২৩) মহিধরপাদ (২৪) নঢ়োপা সহ সবাই ১টি করে চর্যা বা কবিতা রচনা করেন।
বাংলা ভাষার প্রথম বই চর্যাপদে মহিলা সিদ্ধার্যগণের নাম: মেখলা (২) কঙ্কলা (৩) মণিভদ্র (৪) লাক্ষিম্কারা (৫) নিগু ডাকিনি ও (৬) ময়নামতি। বৌদ্ধ চর্যাপদ যোগাসনে ধ্যানস্থ ও তান্ত্রিক মতে, গুহ্য নাভি মূলকে বলা হয় নির্মানচক্র, হদয়ে ধর্মচক্র, কন্ঠে সম্ভোচক্র, মস্তিষ্কে মহাসুখচক্র। দেহের নাড়িকে সংযত করার সাধনা তান্ত্রিক সাধনা। কারণ, স্থান কাল পাত্র এবং মহাযান বৌদ্ধধর্ম সহ সাইকোলিজি বা রুপ, বেদনা, সংজ্ঞা, সংস্কার, মানসিক ব্রহ্মান্ড (কনসিয়াসনেস) চিত্ত, চৈতসিক অভিধর্ম মনস্তত্তে¡র বিভিন্ন শাখা প্রশাখার নানা কঠিন বিষয় অবতারনা করেছেন।
কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা “প্রদোষে প্রাকৃতজন” এবং “দুষ্কালের দিবানিশি” গ্রন্থদ্বয়ে দক্ষিন এশিয়ার হিন্দু মুসলমান শাসকগণ কর্তৃক বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের রক্তাক্ত ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন। বাংলা পঞ্জিকা রচনায় হিজরি সালকে ভাড়া করে এনে সূর্য্য ক্যালেন্ডারের দোহাই দিয়ে বাঙালি মুসলমানদের চোখে ধোকা দেয় ! বখতিয়ার খিলজি (১২০২ সালে) কর্তৃক বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন!
১৯০৭ খৃষ্টাব্দে নেপালের রাজদরবারের পুঁথিশালায় প্রাচীন পান্ডুলিপির সন্ধান (১৯০৭-২০০৭) করতে গিয়ে মহামহোপধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহোদয় উক্ত বৌদ্ধ চর্যাপদের মরমী সংগীতগুলো আবিস্কার করেন এবং ভাষা আন্দোলনের আলোকে চর্যাপদ সন্ধানের (১৯০৭- ২০০৭) শতবার্ষিকী ।
‘সাম্য ও মৈত্রী প্রতিষ্ঠার’ জন্যই বৌদ্ধ পন্ডিত গণ (Buddhist Monks) নাটক চর্চা করতেন এবং চর্যাপদের ১৭ নম্বর কবিতায় (চর্যায়) আমরা পড়েছি, “নাচন্তি বাজিল গান্তি দেবী / বুদ্ধ নাটক বিসমা হোই! দেবী গাইছেন, বজ্রাচার্য নাচছেন, এভাবে বুদ্ধ নাটক শেষ হলো। সংসারের দুঃখ থেকে নির্বানলাভ বা বিমুক্তি সুখই ত্রিপিটক ও চর্যাপদে মানব জীবন নিয়ে সাধনা!
বাংলা ভাষায় জনক গৌতমবুদ্ধ বাংলাদেশের বিশ্ববিজয়ী মহাশান্তি মহাপ্রেম। কারন “বিশ্বমানব হবি যদি আদর্শ বাঙালি হও, সম্পূর্ন বাঙালি (আলোক প্রাপ্ত মহাপুরুষ) হও।” আমাদের বাংলাদেশ আমাদের ধর্ম! বাঙালি কে? The Enlightened Person বা আলোকপ্রাপ্ত সিদ্ধপুরুষ বা বাঙালি (‘আজি ভুসুকু বঙ্গালী ভইলী)! সর্বপ্রথম চর্যাপদের ৪৯ নম্বর কবিতায় ‘বাঙালি শব্দ’ BUDDHIST SAINT & মহাকবি ভুসুকু কর্তৃক আবিষ্কৃত হল। ‘আজি ভুসুকু বঙ্গালী ভইলী (ভুসুকু আজ আলোকপ্রাপ্ত সিদ্ধপুরুষ বা বাঙালি হলেন)” থেকে ঐতিহাসিক’ শব্দের অভ‚তপূর্ব সংযোজন হয়েছিল। বাংলাভাষা পালিভাষার বিবর্তিত রূপ এবং গৌতমবুদ্ধ বাংলাভাষা সহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষা ব্রাহ্মণদের হাত থেকে রক্ষা করেন (দেশ, কোলকাতা ১ ফেব্র“য়ারী ১৯৯২ এবং নয় দিগন্ত, Mr. SONA KANTI BARUA ২৫ আগষ্ট ২০১০)।
বৌদ্ধধর্মকে বাদ দিয়ে বৌদ্ধগণকে নিশ্চিহ্ন করতে তুর্কী লুটেরা বখতিয়ার খিলজি বৌদ্ধ বাংলা অবৈধভাবে দখল করে ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশে চাপিয়ে দিল এবং BY FORCE বাংলাদেশে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন!
স¤প্রতি টরন্টোর বাংলাদেশী সাপ্তাহিক আজকাল (১১ আগষ্ট, ২০০৯) পত্রিকার ৩০ পৃষ্ঠায় ইংরেজি সংবাদে আমরা পড়েছি, বৌদ্ধধর্ম পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের পুরস্কার লাভ করেছেন।“ আজ বৌদ্ধ বাংলাদেশ হবার কথা ছিল। সম্রাট অশোকের (300 B. C). বৌদ্ধ ভারত গোলেমালে ধর্মান্ধ হিন্দু ইন্ডিয়া এবং ধর্মান্ধ মুসলমান পাকিস্তান হ’ল কেন? ‘চার্টার অব রাইটস’ সবারই অধিকারকে রক্ষা করে। ইসলাম ধর্মকে ঢাল তলোয়ার হিসেবে বানিয়ে ১২০২ সালে দখলদার ধর্মান্ধ তুর্কী বখতিয়ার খিলজি ইউরোপের তুরস্ক দেশ থেকে শত শত হখজার হজার মাইল দূরের সম্রাট অশোকের রাজত্বএবং চারশত বছরের বৌদ্ধ পাল রাজত্বের বৌদ্ধ বাংলা দখল করল কেন?
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গৌতমবুদ্ধের দেশকে নিজের মাতৃভ‚মি বলেছেন তাঁর কবিতায় এবং প্রবন্ধে। জয় বঙ্গবন্ধু! জয় বাংলাদেশের চর্যাপদ বৌদ্ধ সাহিত্য সঙ্গীতের সুরে ছন্দে, কথায় নৃত্যে চিত্রে ভাষ্কর্যে চলচিত্রে, ক্রীড়ায় তার আবাদ স্বর্ণমঞ্জুরী ফুটিয়েছে বিগত ২৬০০ বছরের অবদান বৌদ্ধধর্ম, ধ্যানে ও চিত্তকর্ষণে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত “মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্তই তার অধীন!” বিশ্বকবির রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন,
“অহমিকা বন্দীশালা হতে। ভগবান তুমি! / নির্দ্দয় এ লোকালয়, এ ক্ষেত্র তব জন্মভ‚মি।
ভরসা হারালো যারা, যাহাদের ভেঙেছে বিশ্বাস
তোমারি করুনা বিত্তে ভরুক তাদের সর্বনাশ!”
বৌদ্ধধর্মকে বাদ দিয়ে বৌদ্ধগণকে নিশ্চিহ্ন করতে তুর্কী লুটেরা বখতিয়ার খিলজি বৌদ্ধ বাংলা অবৈধভাবে দখল করে ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বৌদ্ধ বাংলায় চাপিয়ে দিল এবং BY FORCE বাংলাদেশে বৌদ্ধগণ মুসলমান হয়েছিলেন! বৌদ্ধবাংলায় ধর্মান্ধ মুসলমান রাজনীতির রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কেন? বাঙালি সংস্কৃতির মূল কথা হলো বিশ্বমানবতা, অসা¤প্রদায়িকতা ও স¤প্রীতি। ‘আজি ভুসুকু বঙ্গালী ভইলী ভুসুকু আজ আলোকপ্রাপ্ত সিদ্ধপুরুষ বা বাঙালি হলেন ” থেকে ঐতিহাসিক’ শব্দের অভ‚তপূর্ব সংযোজন হয়েছিল। স¤প্রতি টরন্টোর বাংলাদেশী সাপ্তাহিক আজকাল ( ১১ আগষ্ট, ২০০৯) পত্রিকার ৩০ পৃষ্ঠায় ইংরেজি সংবাদে আমরা পড়েছি, বৌদ্ধধর্ম পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মের পুরস্কার লাভ করেছেন।”
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত নটীর পূজা ও চন্ডালিকায় গৌতমবুদ্ধ নারী জাতির পরম মঙ্গলময় হলো কিন্তু মুসলমান রাজনীতির লেখায় পূজনীয় গৌতমবুদ্ধ নারীবিদ্বেষী কেন? বাংলাদেশে মুসলমান রাজনীতির বৌদ্ধ বিদ্বেষী বই পুরাপুরি মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত! বৌদ্ধধর্মে নারী ও বুদ্ধত্ব লাভ করতে পারেন! ইসলাম ধর্মের লেখায় কিন্তু “নারী” বিশ্বনবীত্ব লাভ করতে পারেন না এবং লেখক গোলাম মুস্তাফা ১৯৪০ সালে “বিশ্বনবী” নামক একটি গ্রন্থ লিখে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে, ইসলাম ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মের চেয়ে উন্নত।
“বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ পার্বত্য চট্টগ্রামেকে গ্রাস করে ফেলেছে। নিজ বাসভ‚মেই পরবাসী করে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামেকে। ইসলামের নামে হিন্দু মন্দির বৌদ্ধমন্দির ধবংসই কি বাংলাদেশী ইসলাম? মুসলমান শ্রেষ্ঠ হলে বাংলাদেশে মুসলিম রাজনীতির ভীতির কবলে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্ঠান ও পাহাড়িরা নিকৃষ্ঠ হয় কেন? পৃথিবীর সকল মানুষ মুসলমান বা একটা ধর্মের মানুষ হলে কি সকল সমস্যার সমাধান হবে? ইসলামের নামে বৌদ্ধমন্দির ও হিন্দু মন্দির ধবংসই কি বাংলাদেশী ইসলাম?
আল্লার গজব ইউরোপের কোরান পোড়ানোর ঘটনা ও কোরাণের নামে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংস কেন? বাংলাদেশে কোরাণের নামে রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসযজ্ঞের ফল আল্লার গজব এবং ইউরোপের কোরান পোড়ানোর ঘটনা!
মুসলমান নয় বলে পাকিস্তান সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে দেশের রাজনৈতিক দল সমূহের কোন নৈতিক সমর্থন পায়নি। ধর্মের দোহাই দিয়ে কাপ্তাই বাঁধ দেবার সময় তৎকালিন পুর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশে) গণ আন্দেলন হয়নি। কারন পাহাড়ীরা মরুক, বাঙালিরা ঠিক আছে। অমানবিক আইনে সর্বনাশা পাকিস্তানী আমলে ১৯৬০ সালের সেদিন শত শত বছরের ঐতিহ্য ও ইতিহাস বুকে নিয়ে পুরানো রাঙামাটি শহর কাপ্তাই বাঁধের পানির নীচে চলে গেল।
বৌদ্ধধর্মের শ্রীমালাদেবী (the daughter of King Prasanjit) সিংহনাদ সূত্র মতে, নারী ও বুদ্ধত্ব লাভ করতে পারেন! বুদ্ধত্ব লাভ করার বোধিসত্ত¡ পন্থা (অনেক জন্মের সাধনা & Evolution of Wisdom) অবলম্বনে নারী ও বুদ্ধত্বলাভ করতে পারেন এবং শ্রীমালাদেবী (the daughter of King Prasanjit) সিংহনাদ মহাযান বৌদ্ধধর্মের সূত্র মতে গৌতমবুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভ করার বোধিসত্ত¡ পন্থা (অনেক জন্মের সাধনা) নির্দেশ করেছেন (The seeker’s Glossary of Buddhism page 578. Japanese Emperor Prince Shotoku (574 to 622) wrote a book in explaining the Buddhahood for Buddhist women! প্রাচীন বাংলাদেশের বৌদ্ধহত্যা যজ্ঞ সম্পর্কে জনপ্রিয় লেখক কথাশিল্পী শওকত আলী তিনি তাঁর লেখা ‘প্রদোষে প্রাকৃত জন’ এবং ‘দুষ্কালের দিবানিশি’ গ্রন্থদ্বয়ে ব্যাখ্যা করেছেন।
সন্ত্রাসী তুর্কি ইসলাম (বখতিয়ার খিলজি) ধর্মের সঙ্গে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় বৌদ্ধ মুক্তিযুদ্ধে রামাই পন্ডিতের রচিত “শূন্য পুরান” শীর্ষক বইয়ের উৎপত্তি (16th century)। আমাদের হাজার বছরের বৌদ্ধ বাংলা পূর্ব পাকিস্তান হলো এবং পাকিস্তানে জাতির নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বাংলাদেশের বাংলা ভাষা বন্ধ করে দিল! গৌতমবুদ্ধের মহাশান্তি মহাপ্রেম কে নিয়ে লেখা বাংলা ভাষার প্রথম বইয়ের নাম বৌদ্ধ চর্যাপদ! জঙ্গিবাদের উত্থানে রামুর মুসলমান হয়ে বাংলাদেশে ফেইসবুকে CARTOON কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে বৌদ্ধ বিহারে ধ্বংসযজ্ঞ করল ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে! তুর্কি সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ছাপিয়ে সা¤প্রতিক সা¤প্রদায়িক হামলাও তার নিরিখে দেখার অবকাশ আছে।
বাঙালি শব্দের আবিষ্কারক মহাকবি ভুসুকু পাদ এবং প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে বৌদ্ধ চিন্তাধারাপুষ্ঠ অশোক চক্র (ধর্মচক্র) ভারতের জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় এমবেøম বা সরকারী স্মারক চিহ্ন রুপে বিরাজমান!আমার বাংলাদেশ, আমার জন্মভ‚মি আমার কাছে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ তীর্থভ‚মি। “অশোক যাহার কীর্তি গাইল. / হিমালয় থেকে জলধি শেষ।” সম্রাট অশোকের বৌদ্ধ ভারত গোলেমালে ইন্ডিয়া হল কেন?
রাজা লক্ষণ সেনের যুবতী রানী নির্লজ্ বল্লভার সাথে চিটিংবাজ হলায়ুধ মিশ্র মহামন্ত্রীর গোপন প্রেম ছিল (কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা “দুষ্কালের দিবানিশি”)! রাজা লক্ষণ সেন জানতে পারলে হলায়ুধ মিশ্র মহামন্ত্রীর শিরচ্ছেদহতেষ! শিরচ্ছেদ থেকে রক্ষা পেতে মহামন্ত্রী হলায়ুধ মিশ্র রাজা লক্ষণ সেনকে সরিয়ে বখতিয়ার খিলজিকে বাংলার সিংহাসন আরোহনের নীলনক্সার পুঞ্জীভ‚ত (লোমহর্ষকর) বাস্তব ঘটনাবলী ‘শেখ শুভোদয়া’ শীর্ষক বই রচনা করে অকপটে স্বীকার করলেন। চর্যাপদের বৌদ্ধ বাংলাদেশ বাদ দিয়ে হিন্দু মুসলমান রাজনীতির জাল-জালিয়াতি প্রত্যহ ব্যাপকতর, প্রকটতর- এবং নির্লজ্জতর!
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The Author’s World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!