Home কানাডা খবর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কানাডার উদ্যোগে এই প্রথম কানাডায় বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য...

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কানাডার উদ্যোগে এই প্রথম কানাডায় বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন

অনলাইন ডেস্ক : গত ১৮ই মার্চ, শনিবার কানাডায় এই প্রথম বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বড় পরিসরে এক বর্ণাঢ্য আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কানাডা। টরন্টোর ৯ ডজ রোডের রয়্যাল লিজিয়ন হলে অনুষ্ঠিত হলো এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাংস্কৃতি সম্পাদক কাজী আব্দুল বাসেতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের মান্যবর কনস্যাল জেনারেল লুৎফর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টাবৃন্দ ডঃ মোজাম্মেল খান, কামালউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার সূচনা হয়। আলোচনার সভার প্রারম্ভে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করে শোনান সাংস্কৃতিক কর্মী জনি ফ্রান্সিস গোমজ ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ আব্দুল মোমেনের শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করেন ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. এ এম এম তোহা। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মুশফিকুর রহমান, সাংবাদিক মাহবুব ওসমানী, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফাইজুল করিম, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলী লিটন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতিবৃন্দ আব্দুল্লাহ রফিক, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন (ডাইরেক্টর এডমিন, বাংলাদেশ বিজিনেস চেম্বার অব কানাডা) ও ডঃ নুরুন নাহার খানম (শিরিন)। সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি এই অনুষ্ঠান সফল করতে বিভিন্ন ভাবে যারা সহযোগিতা করেছেন, স্মরণিকায় লিখা ও বিজ্ঞাপন দিয়ে সহায়তা করেছেন এবং অনুষ্ঠানের উপস্থিত থেকেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্ট-জনেরা। বক্তাদের বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। একটি অনগ্রসর পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেও বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, সততা, সাহস, দৃঢ়তা, ত্যাগ ও নেতৃত্বের কুশলতায় হয়েছিলেন বিখ্যাত। জেল, জুলম, নির্যাতন এমনকি মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে তিনি এগিয়ে গিয়েছেন তাঁর অভীষ্ট লক্ষ্যে। হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালী জাতিকে তিনি এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা।
আলোচনা সবার শেষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ নামে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর দোয়া পাঠান্তরে উপস্থিত সকলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও ১৫ই আগস্টে নিহত সকল, মুক্তিযুদ্ধের শহীদান ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল আহসান চৌধুরী।

পরে কেক কেটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। মানবী মৃধার সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিলেন আহমেদ হোসেন, অরুনা হায়দার, কামরান করিম, নবীউল হক বাবলু, এলিনা মিতা, মেহজাবিন বিনতে ওসমান, চিত্রা সরকার, দিলারা নাহার বাবু, হিমাদ্রি রায়, ফারহানা শান্তা, ফ্লোরা সূচি ও আসিফ চৌধুরী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত সংগীত, দেশাত্মবোধক গান, নৃত্য ও কবিতা পাঠ করেন। দীর্ঘ সময় চলা এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সকলেই আনন্দের সাথে উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সকলের মাঝে সুস্বাদু নৈশভোজ বিতরণ করা হয়। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতিবূন্দ তারিকুল হাসান, এস বি আব্দুল হামিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ মনিরুল হক মোল্লা, এ বি এম সোলেমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ রূপণ কান্তি দাস গুপ্ত, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম. তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক তাপস দেব, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজা বেগম (সিনথিয়া), সদস্যবৃন্দ মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম( টিপু), আইনুল কবির, মোস্তাক চৌধুরী, এস এম সালেহীন ও সাগর ঘোষ।

Exit mobile version