অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বন্দুকধারীর গুলিতে দুজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিহতরা শিক্ষার্থী নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী তালাহাসি লিওন কাউন্টির শেরিফ ওয়াল্টার ম্যাকনিল বলেছেন, অভিযুক্ত বন্দুকধারী ২০ বছর বয়সী এক তরুণ। বন্দুকধারী আমাদের বাহিনীর এক কর্মকর্তার ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে যে সব বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে একটি ওই কর্মকর্তার।

সিএএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে গুলি করেছে পুলিশ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০ বছর বয়সী এই তরুণ ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির(এফএসইউ) শিক্ষার্থী। তিনি স্থানীয় ডেপুটি-শেরিফের সন্তান। তিনি এমন একটি হ্যান্ডগান ব্যবহার করেছেন, যেটি তাঁর মা দায়িত্ব পালনের সময় ব্যবহার করতেন।

হোয়াইট হাউসে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গোলাগুলির ঘটনা সম্পর্কে তাঁকে জানানো হয়েছে। তিনি এই ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘ভয়ংকর’ বলে মন্তব্য করেছেন।

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস বলেছেন, ‘এফএসইউ পরিবারের সঙ্গে আমরাও প্রার্থনা করছি। রাজ্যের আইন প্রয়োগকারীরা দ্রুত কাজ করছেন।

গোলাগুলির ঘটনায় স্থানীয় সময় শুক্রবার পর্যন্ত সব ক্লাস বাতিল করেছে এফএসইউ। সপ্তাহান্তের সব ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গোলাগুলির ঘটনা শুরুর পর শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসে থাকা ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তাঁদের ‘আশ্রয় খুঁজতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে’ বলা হয়েছিল।

এফএসইউর শিক্ষার্থী আভা আরেনাডো সিবিএস নিউজ মিয়ামিকে বলেছেন, ‘আমার এক সহপাঠী তার ফোনে একটি সতর্কতা পায় এবং ক্লাসের বাকিদের কাছে তা পড়ে শোনায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী ব্লেক লিওনার্ড সিবিএসকে বলেছেন, আমি প্রাথমিকভাবে ১২টি গুলির শব্দ শুনেছি।

ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এটিই প্রথম গোলাগুলির ঘটনা নয়। ২০১৫ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক স্নাতক পাঠাগারে গুলি করে তিনজনকে আহত করেছিলেন। পরে পুলিশ তাঁকে মারাত্মকভাবে গুলি করে হত্যা করেছিল।