Home লিড নিউজ পাখিদের জন্য বাসা ভাড়া করল সরকার

পাখিদের জন্য বাসা ভাড়া করল সরকার

অনলাইন ডেস্ক : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে পাখির বাসা ভাড়ার জন্য পাঁচজন বাগানমালিককে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

১ নভেম্বর পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে বন অধিদপ্তরকে খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে শামুকখোল পাখির বাসার জন্য আমচাষিদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার সকালে বন বিভাগের কর্মকর্তারা খোর্দ্দ বাউসা গ্রামে গিয়ে যেসব আমবাগানে পাখির বাচ্চা হয়েছে, সেসব বাগানমালিককে অর্থ বরাদ্দের কথা জানান।

বরাদ্দপ্রাপ্ত পাঁচজন বাগানমালিক হলেন খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের মঞ্জুর রহমান, সানার উদ্দিন, সাহাদত হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও ফারুক আনোয়ার।

সকালে আমবাগান পরিদর্শন করে পাখির অবস্থা দেখতে আসেন বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল ঢাকার বন সংরক্ষক মিহির কুমার, রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জিল্লুর রহমান, রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদীজ্জামান, বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রাহাত হোসেন, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জার সেলিম রায়হান ও বন্য প্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর।

এসময় কর্মকর্তারা জানান, অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমবাগানের মালিকদের এই টাকা দেওয়া হবে।

বেশ কয়েক বছর ধরে বর্ষাকালের শেষে শামুকখোল পাখিরা বাচ্চা ফোটানোর আগে খোর্দ্দ বাউসার এই আমবাগানে বাসা বাঁধে। গত বছর অক্টোবরের শেষে পাখিরা বাচ্চা ফুটানোর পরও উড়তে না শেখায় আমবাগানের ইজারাদাররা বাগানের পরিচর্যা করার জন্য বাসা ভেঙে আমগাছ খালি করতে শুরু করেন। তখন স্থানীয় পাখিপ্রেমী কিছু মানুষের অনুরোধে পাখিদের বাসা ছাড়ার জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেন।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি আদালতের নজরে এনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রজ্ঞা পারমিতা রায়। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এক আদেশে বলেন, কেন ওই এলাকাকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসনকে ৪০ দিন সময় বেঁধে দেন।

জেলা প্রশাসন থেকে গঠিত কমিটির সদস্যরা পাখির বাসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮টি আমগাছ চিহ্নিত করে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেন।

Exit mobile version