Home আন্তর্জাতিক পাকিস্তানি এই নারীর কারণে ভারতের উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনে তোলপাড়!

পাকিস্তানি এই নারীর কারণে ভারতের উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনে তোলপাড়!

অনলাইন ডেস্ক : প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানকে কখনই সহ্য করতে পারেন না ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ! অথচ সেই দেশের এক নারী কি না তার রাজ্যের ইটাহ জেলার গুয়াদাউ গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন! শুনতে অবাক লাগলেও এই খবর প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো হতবাক পুলিশ প্রশাসন। কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? জানতে ইতোমধ্যে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ৪০ বছর আগে ভারতে ভিসা নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা বানো বেগম। কিন্তু গুয়াদাউ গ্রামে ঘুরতে এসে আখতার আলি নামে এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে যায়। এরপর থেকে ওই ভিসা নিয়ে এদেশেই থাকতে শুরু করেন। নাগরিকত্বের জন্য বহুবার আবেদনও করেছিলেন। এর মধ্যেই অবশ্য তৈরি করে ফেলেন ভুয়া পরিচয়পত্র এবং আধার কার্ড। এখানেই শেষ নয়, ২০১৫ সালে ভোটে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত সদস্যও হন। তখনও তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

পাঁচ বছর পর পঞ্চায়েত প্রধান শেহনাজ বেগমের মৃত্যুর পর বানোই অন্তবর্তী প্রধান হন। এরপরই তার পাকিস্তানি হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। গ্রামেরই একজন বাসিন্দার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তারপরই গোটা ঘটনাটি জানতে পেরে হতবাক তারা।

ইতোমধ্যে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে বানোকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এদেশে থাকার পর কীভাবে আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড পেলেন বানো বেগম? এই কাজে কোন চক্র রয়েছে? কারা ওই নারীকে সাহায্য করেছে, সব কিছুই খতিয়ে দেখতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় জেলা শাসক শুক্লা ভারতী। তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন পঞ্চায়েতি রাজ অফিসার অলোক প্রিয়দর্শী। দু’জনেই জানান, ঘটনায় যারা দোষী, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Exit mobile version