অনলাইন ডেস্ক : পরিবেশগত সচেতনতা প্রকল্পে অর্থ সংগ্রহের জন্য ফেডারেল সরকারের চালু করা ১ম গ্রিন বন্ডের বিক্রয়ের বিস্তারিত প্রকাশ করেছে অটোয়া প্রশাসন। চলতি সপ্তাহে এই বন্ডের বিক্রি শেষ হয়েছে। গত বুধবার পরিবেশ মন্ত্রী স্টিভেন গিলবল্ট জানান, ১ম গ্রিন বন্ডর বিক্রয় করে সরকার ৫ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে। এই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যবহৃত হবে। প্রসঙ্গত অটোয়া প্রশাসন ২০২১ সালের বাজেটে গ্রিন বন্ড ইস্যুর পরিকল্পনার কথা প্রথম ঘোষণা করেছিল। ফেডারেল সরকার সমর্থিত এই বন্ডের ১ম ‘প্রকৃত বিক্রয়’ গত মঙ্গলবার বন্ধ হয়ে গেছে। ২০২৯ সালের ডিসেম্বরে এই বন্ডের মেয়াদ পূর্ণ হবে, অর্থাৎ এগুলো ম্যাচিউর হবে। এই সময়ের মধ্যে সরকার প্রতিবছর বিনিয়োগকারীদের ২.২৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দেবে।
মন্ত্রী বলেন, আমি যখন একজন পরিবেশবাসী কর্মী ছিলাম সে সময় জনগণকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বোঝাতে অনেক কষ্ট করতে হতো। এখন আর সেই দিন নেই। এখন মানুষ অনেক সচেতন। ১ম গ্রিন বন্ড বিক্রির সাফল্যই জনগণের এই পরিবেশ সচেতনতার বিষয়টি প্রমাণ করে। এত অল্প সময়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহ সত্যিই উৎসাহব্যাঞ্জক।
অবকাঠামো ও অন্যান্য প্রকল্পে বিনিয়োগ এখন কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মানুষ গ্রিন বন্ডের মতো বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে। ১ম গ্রিন বন্ডে সাফল্যের ফলে ফেডারেল সরকার শিগগিরই এই সিরিজের পরবর্তী অফারটি বাজারে ছাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই বন্ড থেকে অর্জিত তহবিল পরিবেশ বান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প নির্মাণ, পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসম্মত বর্জ ব্যবস্থাপনা স্থাপন ইত্যাদি। পর্যটনমন্ত্রী র্যান্ডি বোইসোনল্ট বলেছেন, গ্রিন বন্ড অফারটি বাজারে ছাড়ার ঘোষনার পর চাহিদা পাওয়া গিয়েছিল দ্বিগুণেরও বেশি, প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। এতেই বন্ডটির জনপ্রিয়তা টের পাওয়া গেছে। এই বিপুল চাহিদা এটিকে কানাডার সর্বকালের বৃহত্তম বন্ডে পরিণত করেছে। যাবাই-বাছাই শেষে সরকার ৯৮ জন বিনিয়োগকারীর কাছে বন্ড বিক্রি করেছে, যাদের প্রায় অর্ধেক কানাডার বাইরে থেকে এসেছে। এই বিনিয়োগকারীরা ২০২৯ সাল পর্যন্ত ২.২৫% হারে লাভ পাবেন। সূত্র : সিবিসি