সোনা কান্তি বড়ুয়া : বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে! বাংলাদেশে আইনের শাসনে মুসলমান যে মানব বৌদ্ধ এবং অখন্ড মানব জাতি সেই মানব! বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় লিখলেন, “মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান!”
নোয়াখালী সেনবাগে মতৈন বড়ুয়া পাড়ার রিপন চন্দ্র বড়ুয়ার পৈত্রিক সম্পত্তি ভুমিদূস্যু লোকমান হোসেন জোরপূর্বক দখল করে নোয়াখালীতে বৌদ্ধদের বিহার সংলগ্ন রাস্তা দখল করে নিলো (5 MARCH 2023)! নির্লজ্জ, ধর্মান্ধ -লোভী লোকমান হোসেন ৩৫টি বৌদ্ধ পরিবারের প্রার্থনার জায়গা বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাস্তা দখল করে নির্লজ্জ ভূমি লুন্ঠন দুর্বৃত্তপনা কেন? ধর্মান্ধ লোকমান হোসেন বৌদ্ধদের জায়গা দখল করেছে! ধর্মান্ধ মুসলমান রাজনীতির ভূমি লুন্ঠন দুর্বৃত্তপনার জাল-জালিয়াতি প্রত্যহ ব্যাপকতর এবং এক পুরো বৌদ্ধ গ্রাম আজ লোকমান হোসেন এবং ধর্মান্ধগণ ২শ আড়াইশ বছরের চলাচলের পথ হারাতে বসেছে! আমাদের কি কিছু করার নেই..? নোয়াখালীর ভুমিদূস্যুর বৌদ্ধ গ্রাম লুন্ঠন দুর্বৃত্তপনায় তোলপাড় গোটা বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী! আমরা এমন জগন্য জবরদখল ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় “আমি-যে দেখেছি গোপন হিংসা কপট রাত্রিছায়ে / হেনেছে নিঃসহায়ে, / আমি-যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে / বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে! “ক্রমাগত প্রশাসনের ছত্রছায়ায় অনেক ভূমিসস্যু ভূমি দখল করেছে। একদিকে ভূমি প্রশাসনের দুর্নীতি, তাদের সহায়তায় অনেকেই ভুয়া কাগজ বানয়ে ভূমি দখল করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সমস্ত জেলাগুলোতে ভূয়া, ও দাবী করেন তিনি। বৌদ্ধদের এবং আদিবাসীদের রক্ষা করতে না পারলে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা হবে!” (দৈনিক সমকাল ১২ ডিসেম্বর ২০২১)!”
নোয়াখালীর সেনবাগের মতৈন বড়ুয়া পাড়ার একমাত্র বৌদ্ধ বিহার ও পুরো গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র পথের প্রধান রাস্তার সম্মূখভাগের জায়গা কৌশলে কিনে ২৫০ বছরের বৌদ্ধদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিল লোকমান হোসেন নামের এক প্রবাসী। এই ভয়ঙ্কর ধাঁধাঁর আবর্তে ঘটনার শুরুতে স্থানীয় সাধারণ বৌদ্ধদের প্রতিবাদ ও অভিযোগের ভিত্তিতে এসি ল্যান্ড নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট এসে ব্যবস্থা নিলেন, বলেছিলেন প্রাচীন জনগোষ্ঠীর পথ কখনও বন্ধ হবেনা। চরাচলের রাস্তা ক্রয় করা যায়না নির্মান কাজ অবৈধ! বাংলাদেশে আইনের শাসনে হিন্দু এবং বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন কেন?
কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি তাদের উচ্ছেদ করে যেতে না যেতে দুইদিনের মধ্যে দখলদার আবার রাস্তাটি দখল নেয়। এমতাবস্থায় পুনরায় অভিযোগ করলে স্থানীয় ও উপজেলার প্রশাসন নীরব এবং কোন এক অজ্ঞাত কারণে সবাই উল্টো কথা বলছেন এবং শত বছরের চলাচলের রাস্তার জায়গাটি নিজেদের টাকায় ক্রয় করে ব্যবহার করতে বলেন যা একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের সংখ্যালগু নির্যাতনের উস্কানীমূলক ঈঙ্গিত। তাই প্রশাসন সহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দের সহায়তা কামনা করছি। নিবেদক- সেনবাগ মতৈন বড়ুয়া পাড়ার সকল বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী। মুসলমান ধর্মান্ধগণ নোয়াখালীতে বৌদ্ধ দের জায়গা দখল করলো কেন?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিবস উদযাপন উপলক্ষে – আইনের শাসনে বাংলাদেশে সব নেতার মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হোক, তারা যেন নিজ হীন স্বার্থে জাতিকে ভুল পথে পরিচালিত না করে বরং তাদের সঠিক পথ দেখান; তারা যেন ব্যক্তিকে ব্যক্তির বিরুদ্ধে, ধর্মকে ধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে না দেন। বাংলাদেশে বৌদ্ধদের এবং হিন্দুদের জায়গা দখল করতে মুসলমান কি করে রাষ্ট্রধর্মের সুযোগ নিয়ে সা¤প্রদায়িকতা ঢুকেছে – দেখিয়ে দিলেন Mohammad বরকত এবং Mohammad জামান ১৯৯৮’ এর রিপোর্ট! ধর্মান্ধ মুসলমান রাজনীতির ভূমি লুন্ঠন দুর্বৃত্তপনা রিপোর্ট বলছে : অর্পিত সম্পত্তির আওতায় বাংলাদেশে হিন্দুদের এবং বৌদ্ধদের ২০ লাখ একরের বেশি জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে (from 1947 to 1965)! ক্ষতিগ্রস্থ ও নির্যাতিত বৌদ্ধদের এবং হিন্দুদের ২০ লাখ লাখ একরের বেশি জমি ফিরিয়ে দেয়া যে রাষ্ঠ্রের কর্তব্য ও দায়িত্ব এই সহজ কথাটি পর্যন্ত বাংলাদেশ GOVERNMENT ভুলে গেছে। বাংলাদেশে অর্পিত সম্পত্তি (পাকিস্তানের ‘শত্রু সম্পত্তি) শীর্ষক মানবতার কান্না এখন ও থামেনি! ধর্মান্ধ মুসলমান রাজনীতির ভূমি লুন্ঠন দুর্বৃত্তপনা রিপোর্ট বলছে : অর্পিত সম্পত্তির আওতায় বাংলাদেশে হিন্দুদের এবং বৌদ্ধদের ২০ লাখ একরের বেশী জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে (from 1947 to 1965)! পাকিস্তানের ‘শত্রু সম্পত্তি বাংলাদেশে অর্পিত সম্পত্তি শীর্ষক মানবতার কান্না এখন ও থামেনি!
২০০ বছরের পুরানো চলাচলের রাস্তা জোরপূর্বক বারবার দখল করে নোয়াখালী মতইন গ্রামের বৌদ্ধ পল্লীর জনসাধারণ কে স্বাভাবিক জীবন যাপনে বাঁধাগ্রস্ত করছে উগ্রবাদী একটি গোষ্ঠী। আসুন সবাই মিলে উনাদের পাশে দাঁড়াই, এই অসহায় বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর চলাচলের পথ স্থায়ী ভাবে উদ্ধারে সহযোগীতা করি। সে সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজর সহ আমাদের বৌদ্ধদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বৌদ্ধদের আস্থাভাজন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া দাদার সুদৃষ্টি কামনা করছি। (কপি: লেখক কলামিস্ট শাহ আকবর, বাংলাদেশ প্রতিদিন! আহবায়কবিষু কুমার বড়ুয়া! বাংলাদেশ বৌদ্ধ গণজাগরণ মঞ্চ)!
নোয়াখালী সেনবাগে পুলিশ বলে জিডি করেন! আমার জায়গায় অন্যরা বেড়া দিবে আমি সরাতে পা-টা কেমন আইন? প্রশাসন কি ভয় পায় লোকমান ভুমিদূস্যু কে? নাকি বৌদ্ধদের বিতাড়িত করতে এটা নতুন কলা কৌশস্থানীয় প্রশাসন, এমপি, চেয়ারম্যান প্রথমে বৌদ্ধদের সাহায্যে এগিয়ে এলেও পরে তারা নব্য আওয়ামীলীগ দের ক্ষমতার দাপটে ছিটকে যায় অজ্ঞাত কারণে! সবাই ৯০ ডিগ্রি উল্টো কথা বলেছেন। ঠিক ঐ সুযোগে ভূমিদস্যু (দখলকৃত রাস্তার জায়গার ( পাশাপাশি) পাশে বৌদ্ধদের খালি অন্যন্য জায়গাটি দখল করার জন্য টিন বেড়া দিয়ে ঘেরাও দেয়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হল ঐ গ্রামের প্রকৌশলী সবুজ বড়ুয়া, মাস্টার বিপ্রসেন, বিকাশ বড়ুয়া বলেন বিষয়টি নিয়ে বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টসহ জাতীয় স্থানীয় বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ সকলকে কিছু ভুমিদূস্যুর কারণে অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশের সম্মান ¤øান হতে চলেছে!
ইতিহাসের সূত্র বিশ্লেষণে দেখা যে, ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে ধর্মান্ধ লোকমান হোসেন ধহফ স্থানীয় ধর্মান্ধ মুসলমান রাজনৈতিক নেতা নোয়াখালী সেনবাগে বৌদ্ধদের জায়গা দখল কর জন্য দায়ী। বাংলাদেশ বৌদ্ধ গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিবাদ! নোয়াখালী সেনবাগে সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের চলাচলের রাস্তা জায়গা দখল করে দোকানপাট নির্মান শেখ হাসিনার স্বপ্নের অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশে সংখ্যালঘুসহ বৌদ্ধদের দেশ হতে উচ্ছেদের চেষ্টা!
নোয়াখালী সেনবাগের একমাত্র বৌদ্ধ বিহার ও পুরো গ্রামসহ আশেপাশের দুচার গ্রামের মানুষের দৈনদিন চলাচলের একমাত্র পথের প্রধান রাস্তার সম্মূখভাগ কলাকৌশলে গোপনে নামমাত্র মূল্যে কিনে ২৫০ বছরের বৌদ্ধদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিল লোকমান হোসেন নামের এক প্রবাসী তাকে সহযোগীতা করছেন এলাকার নব্য নেতারা। সকলে এ ব্যাপারে মানববন্দন করে বৌদ্ধদের একটি প্রতিনিধি বিষয়টি UNO কে জানালে ঐ সময় এসি ল্যান্ডসহ নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট এসে ব্যবস্থা নিলেন, বলেছিলেন প্রাচীন জনগোষ্ঠীর পথ কখনও বন্ধ হবে না। চলাচলের রাস্তা ক্রয় করা যায় না এসব নির্মাণ কাজ অবৈধ!
মনে রাখবেন শুধু বাংলাদেশের আইন নয় সাধারণ আইন ও এই বলে, যা বলেছে ( যার ভিডিও প্রমাণ রয়েছে) এসসিল্যান্ড তানজিম আলম (তুলি) সরকারের লোক তাঁর বক্তব্যে পরিস্কার যার সার সংক্ষেপ – কোনভাবেই চলাচলের রাস্তা কেনা যাবে না- আপনি চলাচলের রাস্তা আছে কিনা সেটা দেখে কিনবেন আপনি চলাচলের রাস্তা কেন কিনবেন? কিনলে চলাচলের রাস্তা বাদ দিয়েই কিনতে হবে, এটা পাড়ার রাস্তা এই রাস্তাটা রেকর্ডের পরে অতএব তা মানচিত্রে আসে নাই। এটা শত বছরের রাস্তা। – কথাগুলা আমার নয়।
কিন্তু ঘটনার পট পরিবর্তন হয়ে যায় তুলির বস ফিরে আসাতে, পালটে যায় তুলির বক্তব্য – ৩টি শর্ত জুড়ে দেন (১.) জায়গাটি কিনে নিতে হবে (২.) জায়গার পরিবর্তে জায়গা দিতে হবে (৩) অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত নিতে হবে (৩) তিন দিনের মধ্যেই । একি ব্যক্তির দুই রকম বক্তব্য। টু পাইস কামানোর ধান্দা।
যাই হোক সকলের কাছে এতটুকু পরামর্শ কেউ জায়গাটি কেনার কথা ভুলে ও সম্মতি দেবেন না কারন একঃ এটি একটি চক্রান্ত দুইঃ জনগনের রাস্তা মানে, সরকারের বিষয় অতএব – যদি প্রয়োজন হয় সরকারের দায়িত্ব তা জনগণকে কিনে দেয়া। তিনঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত রঞ্জন বড়ুয়ার মেয়ের জামাই রিপন চন্দ্র বড়ুয়ার পৈত্রিক সম্পত্তি লোকমান হোসেন জোরপূর্বক দখল করিয়াছে, অতএব আইনের চোখে সে অপরাধি তাঁর শাস্তি দেয়ায় দায়িত্ব ও সরকারের।
মাঝখানে এই ঘটনার সুবাদে কিছু লোক আপনাদের কাছে অর্থ সাহায্য চাইবে – এরা ফাঁদ পেতে রয়!
প্রতিবছরই গ্রামের রাস্তাটি জেলা পরিষদ, উপজেলা হতে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে গার্ডওয়াল, মাটিভরাট কাজ হয়ে থাকে এবারও ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের চেয়্যারমান, মেম্বার মাটিভরাট করার কাজ উদ্ভোধনের ঠিক কয়দিন পরই প্রশাসন পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে রাতের অন্ধকারে যখন সকলে ঘুমিয়ে পড়ছে ঠিক তখনি লোকমান গং ২০০ হতে ৩০০ সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে নোয়াখালীর সেনবাগে মতইন বড়ুয়া পাড়ার রাস্তা ও বৌদ্ধদের পার্শ্ববর্তী খালি যায়গাটি দখল করেছে স্থানীয় হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নামধারি দূর্বৃত্ত কতিপয় ভূমি অসহায় বৌদ্ধরা চেয়ে চেয়ে দেখেছে কেননা বাধা দিতে গেলেই খুন হতে হবে বা যে কোন অঘটন ঘটাতে পারে এটা কিসের আলামত পুলিশকে বার বার ফোন করার পর যখন আসে তখন বৌদ্ধরা অবৈধভাবে বেড়া ভাঙতে গেলে উপস্থিত পুলিশ বলে নতুন করে দখলকৃত বেড়া কেউ যেন না ভাঙে কেউ যেন না সরায়, থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানায় মামলা নিচ্ছে না!
ইসলামি জঙ্গীরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত! মানবতার আলোয় উৎপাটিত হোক মৌলবাদী অপশক্তি এবং মানুষের পাশে মানুষই দাঁড়ায়! বিশ্ব বিখ্যাত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় BUDDHIST UNIVERSITY ত্রয়দশ (13th) শতাব্দীতে তূর্কিশাসক সন্ত্রাসী বক্তিয়ার খিলজী ধ্বংস করেছিলেন। আটশত বছর পর চীন ও জাপানের দুই বিলিয়ন ডলার এবং ভারত সরকারের সাহায্যে দুই হাজার আঠারো সালের সেপ্টেম্বর মাসে ক্লাস শুরু হয়েছে। মানবতার আলোয় উৎপাটিত হোক মৌলবাদী অপশক্তি এবং মানুষের পাশে মানুষই দাঁড়ায়! নোয়াখালীর সেনবাগের মতৈন বড়ুয়া পাড়ার একমাত্র বৌদ্ধ বিহার ও পুরো গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র পথের প্রধান রাস্তার সম্মূখভাগের জায়গা কৌশলে কিনে ২৫০ বছরের বৌদ্ধদের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিল লোকমান হোসেন নামের এক প্রবাসী।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা Mr. সজীব ওয়াজেদের ধর্মনিরপেক্ষতা প্রসঙ্গ আমরা সবাই বাঙ্গালী! সংবিধানের ২৮ (২) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, “রাষ্ঠ্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন।” “বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে সরে যেতে পারে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। মঙ্গলবার রাত ৮টায় (17 November, 2020) ইয়াং বাংলা আয়োজিত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা যে ধর্মেরই হইনা কেনো, আমরা সবাই বাঙ্গালী। “ইসলামের নামে বৌদ্ধমন্দির ও হিন্দু মন্দির ধবংসই কি বাংলাদেশী ইসলাম?
বাংলাদেশে রাজনীতির ইসলামীকরণ পার্বত্য চট্টগ্রামেকে গ্রাস করে ফেলেছে। নিজ বাসভূমেই পরবাসী করে দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামেকে। ইসলামের নামে বৌদ্ধমন্দির ধবংসই কি বাংলাদেশী ইসলাম? কতিপয় বাংলাদেশী মুসলমান জঙ্গির ফেইসবুকে কোরাণের উপর পদচিহ্ন দিয়ে ছবি তৈরী করে রামুর বড়ুয়া বৌদ্ধদের নাম জুড়ে দেয় এবং বৌদ্ধমন্দিরসহ জনপদে আগুন লাগিয়ে দিল। বাংলাদেশের অপাপবিদ্ধ শান্তিকামী বৌদ্ধদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করতে লেখক হুমায়ুন আহমেদ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শ্রীলঙ্কায় তার ভ্রমন কাহিনী ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাংলা ভাষা এবং চর্যাপদের জনক গৌতমবুদ্ধের জীবনী, ইতিহাস এবং বৌদ্ধ শিল্প সম্পর্কে কটূক্তি করে “রাবনের দেশে আমি ও আমরা” শীর্ষক বই লিখেছেন। হুমায়ুন আহমেদ বুদ্ধের দোষ খুঁজে বের করতে প্রথমে সিদ্ধার্থের গৃহত্যাগের ভুল পাঠকদের সামনে তুলে ধরলেন।
ধর্মব্যবসায়ীদের সব অপচেষ্টা ব্যর্থ করে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তবে এদের ধর্মব্যবসা থামেনি। এরা এখনও ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদ পড়ার সময় চট্টগ্রামের গান মনে পড়ে গেল, “চোরাইয়া চুরি করি মসজিদে ঘুমায়। জামাত ও মৌলবাদীরা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মানুষের দরবারে অত্যাচারিতের দুঃখের দহনে করুণ রোদনভরা ফরিয়াদে বাংলার আকাশ বাতাস কেঁদে কেঁদে গুমরে উঠেছিল কেন?
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!