রীনা গুলশান : কেন জানি হঠাৎ করেই ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। অন্যদিনের মত ভোরের আলসেমি নাই। তার নিত্যদিনের শয্যা যেনো গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছে। ঘুমহীন রাতের শরীরে অসহ্য দাহ। এ কিসের দাহ দিয়া জানে না। শুধু এটুকু জানে, এ দাহ তার নিত্যনৈমিত্তিক। সারাদিনের অজস্র কাজ সে করে বলগাহীন ঘোড়ার মত। তার কিছুটা থাকে ভাললাগার, আর কিছুটা থাকে একঘেয়েমিতে ভরা। তবু করে যেতে হয়। আজকের সকালটা অবশ্য অন্যরকম। অন্যদিনের মতো লাঞ্চের জন্য তাড়া নাই বা লাঞ্চ বক্স গোছানোর জন্য হুড়োহুড়ি নাই। কারন আজ শনিবার। শনিবার আর রবিবার এই সংসারের চালচিত্র একদম অন্যরকম। এই দুদিন অনিক বাসায় থাকে। আর অনিক যখন বাসায় থাকে দিয়ার ব্যস্ততা থাকেনা বললেই চলে। অনিক রান্নাঘরে সময় দিতে খুবই ভালোবাসে। রান্না অনিকের অন্যতম একটা প্যাশন। আবার বাগান করাও তার দারুন নেশা। বাচ্চাদের সঙ্গেও খুব মাতামাতি করে। তাদের প্রি ডিশ রান্না করে তাদেরকে সারপ্রাইজ করতে খুবই ভালোবাসে। বিকালের দিকে সবাইকে নিয়ে বেড়াতে বের হয়। দিয়ার বন্ধু মহলে এইসব কারনে অনিকের প্রচুর সুখ্যাতি। এমনকি কারো কারো ভেতরে ঈর্ষারও উদ্রেক করে। কোনো সামাজিক পার্টিতে গেলেই বোঝা যায় —
: দিয়া ভাবি, যাই বলেন আপনার কপাল একটা বটে! যেমন হ্যান্ডসাম স্বামী, তেমনিই তার অনাবিল ভালোবাসা।
: এমা, দিয়াপু, এবারের এনিভার্সারিতেও এত্ত বড় ডায়মন্ডের ইয়ারিং! ৪/৫ ক্যারেটের কম নয়! ওয়াও। ভালোবাসা কারে কয় , অনিক ভাইয়াকে দেখে বুঝতে পারছি।
: বলেনকি, অনিক ভাবি, এবারের হলিডেতেও বাইরে যাচ্ছেন? গতবারই না ইউরোপ ট্যুরে গেলেন? আর এবারেও যাচ্ছেন “হাওয়াই দ্বীপে”? উহ! কি যে সোনার কপাল আপনার! আর আমার কপাল একটা! সারাজীবন এই সংসারের জন্য খেটে খেটে জীবনটা কালি হয়ে গেলো। তা দেখেন না, আপনার বেলাল ভাই না একটা ডায়মন্ড দিলো, না কোনোদিন হলিডে স্পেন্ড করতে বাইরে কোথাও নিয়ে গেলো!
: আপনারা যেনো ঠিক এক বৃন্তে দুটি ফুল! যেখানেই যাবে দিয়াকে এই সব ডায়লগ শুনতে হয়! না শোনার কোনো কারন নাই। দিয়া নিজেইতো ভাবে কি নাই তার?
এমন একটা সুদর্শন স্বামী, উচ্চ শিক্ষিত। নামী কোম্পানিতে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত। সাড়ে পাঁচ হাজার স্কোয়ারফিটের বিশাল নতুন বানানো বাড়ী। দুজনের দুইটা ব্র্যান্ড নিউ গাড়ী। বাড়ীতে সব দামী ফার্নিচার। বাড়ীর সামনের লনে হরেক রকম ফুলের কেয়ারি, যা অনিকের পরিচর্যায় প্রতিনিয়ত সতেজ থাকে। ঘরের প্রতিটি মানুষ, মুখোরিতো হয় নিত্য নতুন আনন্দে। রাতের বাতাস ভরে থাকে ওদের গভীর ঘুমের গুঞ্জনে। শুধু দিয়ার চোখে ঘুম নাই। সারারাত ঘুমুতে পারে না। কিসের এই অবিরাম দাহ? কিসের ও জানে না। সারমার সালানীর একটা শের যেনো ওর প্রতিটি রাতের সত্যতা —-
“যব নিদ আয়ে তো খোয়াব আয়ে,
যব খোয়াব আয়েতো তুম আয়্,
পর তুমহারি ইয়াদ মে
না নিদ আয়ে, না খোয়াব আয়ে।”
(যখন ঘুম আসে, তখন স্বপ্ন আসে, যখন স্বপ্ন আসে তখন তুমি আসো। আর যখন তোমাকে মনে পড়ে তখন না আসে ঘুম, না আসে স্বপ্ন!! )
দিয়া জানে ওর জীবনের এই গভীর গূঢ় ব্যর্থতা সম্পূর্ণ ওর নিজের। নিজের গন্ডিতেই প্রতিনিয়ত প্লাবিত হয়। ব্যর্থতার হাহাকারে ভেতরটা গুমরে মরে। তবু কাউকে সে শেয়ার করতে পারে না। ও এমন একটা দুঃখের বলয়ে অবিরত ছটফট করছে, যেনো একটা খাঁচার পাখী। না পারছে বন্দী দশা মেনে নিতে, না পারছে সব ছেড়ে আকাশের বুকে উড়ে যেতে। আজ কতগুলো বছর ওর এই অসহনীয় যাতনা। একটি দুটি বছর নয়, সুদীর্ঘ ১৩/১৪টি বছর ওর এই অসহনীয় যাতনা। কতবার মনে মনে ভেবেছে চলে যেতে অন্য কোথাও, অন্য কোনখানে। কিন্তু কিভাবে যাবে? ওর হাত পা যে এক গভীর মমতার শেকলে আজন্মকালের মত বাঁধা পড়ে গেছে। সেই শেকল ওর বাবুন আর বুবলি। এগারো বছরের বাবুন এখুনি কেমন টগবগ করছে কৈশোরের উচ্ছাসে। আর ফুটফুটে সোনামনি বুবলি তার বাবার নয়নের মনি। সেও বাবা অন্ত প্রান। তাইতো এতটা বছর ধরে দিয়ার ভেতরে দ্বিধার পাহাড়। কিন্তু মাত্র একত্রিশ বছর বয়সেই কি তবে জীবনটা এইভাবে নষ্ট করে দেবে?
পেছনে ফিরে চায় দিয়া তার জীবনের। একটি ঊনিশ বছরের চঞ্চল স্বপ্নে বিধূর লাস্যময়ি তরুনি। সদ্য যৌবনে দ্বীপ্তময়ী দিয়া কলেজের প্রথম বর্ষ শেষে দ্বিতীয় বর্ষে উঠেছে। এরই মধ্যে অনিকদের তরফ থেকে বিবাহের প্রস্তাব। অনিকরা আসলে ওদের একটু দূরের আত্মীয়। সেই সূত্রে ওদের পরিবারের সাথে খুব চেনা জানা। অনেক কাছের আত্মীয়দের থেকেও অনিকদের পরিবারের সাথে অনেক বেশী ঘনিষ্ঠ ছিল তারা । তবে দিয়ার পরে মনে হয়েছে ওকে বিয়ের প্রোপজাল দেবার পেছনে অনিকেরই হাত ছিলো। শুধু তাই নয় শেষের দিকে অনিক তার পরিবারকে রীতিমত ইনসিষ্ট করেছে। দিয়ার পরিবারের দিক থেকেও অসম্মতির কোন কারন ছিলো না। ওর বাবা একজন সরকারী ছা-পোষা কর্মচারী। তার চারটে কন্যা। একটি পুত্রের জন্য পরবর্তী দুইটা সন্তান নিয়েছিলো। দুই কন্যার বিবাহ দিয়ে দিয়েছে। বড় বোন হিয়ার বিয়েটা বেশ জাঁকজমক করে দিয়েছিল। বড় জামাই আর্মি অফিসার। মেঝবোন টিয়া নিজেই প্রেম করেছিলো। ঢাকার স্থানীয় ব্যবসায়ি পরিবারের ছেলে। ওর বাবার মত ছিলো না। তারপর টিয়া হুমকি দিলো তারা নিজেরাই বিয়ে করবে, সেজন্য ওর বাবা কোনভাবে নমনম করে বিয়েটা সম্পন্ন করছিল। অনিকের প্রস্তাবটা তাই কুমিরের মত গিলে ফেলেছিলো।
যদিও দিয়ার এই বিয়েতে একেবারে মত ছিলো না । সেতো অনেক আগে থেকেই অন্যমনা। সেই কবে থেকে। দিয়া তখন তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ে। আর শীহাব পড়ে টিয়ার সাথে ষষ্ট শ্রেনীতে। একই স্কুল। সুদীর্ঘকাল। দিয়ার অই বয়স থেকেই পরিচয়। একটু একটু ভালোলাগা অই বয়স থেকেই। তারপর কখোন জানি দুজন দুজনার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছে, নিজেরাই জানেনা। বয়স অল্প হওয়াতে শুধু ভালোলাগা টুকু বুঝতে পারতো। দিয়া যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে তখন প্রথম লাভ লেটার পেলো শীহাবের কাছ থেকে। অই বছর তার এস এস সি পরীক্ষা ছিলো। দিয়াতো লজ্জায়-ভয়ে কি করবে চিঠিটা নিয়ে, কোথায় নিয়ে পড়বে, ভেবেই আকুল হয়েছে। তারপরও কত বার যে পড়লো তার কোন হিসাব নাই। ধীরে ধীরে দু পাশেই আগুনের ধোয়া উঠলো। টিয়া সবই জানতো। তার নিরব সমর্থনও ছিলো। আর দিয়ার প্র্যি বন্ধু শাহীনও সব জানতো। তাদের চিঠির আদান প্রদানও শাহীন করতো। ওদের বাড়ীও ছিলো এপাড়া, ওপাড়া। ওরা মাঝে মাঝে এক একজনের বাসায় ঘুমিয়েও পড়তো। পারিবারিক বন্ধু। সেই সময়টাতে, “একটু শাহীনের বাড়ীতে যাচ্ছি”, এই বলে বের হতো। তারপর এদিক ওদিক কোথাও দুজন দেখা করতো। একবার ওই রকম ওকে হঠাৎ মিরপুর মাজারে নিয়ে গেলো। ওখানে গিয়ে মাজার ছুঁয়ে দুজন শপথ করলো; ওরা দুজন দুজনাকে ছেড়ে কখনও যাবে না। যাবার সময় দুটো বেলী ফুলের মালা কিনেছিলো, সেটা ওর গলায় পরিয়ে দিলো, তারপর শীহাব প্রচন্ড আবেগে বললো,
: দিয়ালী (ওকে আদর করে শীহাব অই নামে ডাকতো), আজ থেকে তুমিই আমার বউ। তুমি আমার। শুধু আমার। আমি সারাজীবন তোমার হয়ে থাকবো। দিয়া সেটা গভীরভাবে বিশ্বাস ও করতো। সেতো নিজেকে মানসিকভাবে পূর্ণ সমর্পন করে রেখেছিলো। এর মধ্যে বুড়ীগঙ্গার পানি ধীরে ধীরে বয়ে চলে। ওরাও ওদের মত বেড়ে উঠতে থাকে। এর ভেতরে শীহাব এইচ এস সি পাস করলো। আর দিয়ার এস এস সির প্রস্তুতি পর্ব। শীহাবের বিবিএ পড়বার ইচ্ছা। তার ইচ্ছা ছিলো ঢাবিতে পড়বার। সেই মতো সে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। কিন্তু বিধি বাম। তার ধনবান পিতা সিদ্ধান্ত নিলো তাকে ইউকে তে পাঠানোর। কারন শীহাবের বিবাহিত দুই বোনই ইংল্যান্ডে থাকতো। তারাও চাইছিলো তাদের একমাত্র ভাই ইংল্যান্ডে থেকে পড়াশুনা করুক। ওর কোন কথাই গ্রাহ্য হলো না। তার তখন কিই বা করার ছিলো? একে তো বয়স কম, তার উপর সে নিজে কোন কামাই করে না । কিন্তু দিয়া কে ভালোবাসে পাগলের মতো। কোন খাদ নাই তাতে। তাই সে দেশেই থাকতে চাইছিলো। পারলো না! তার বাবা রীতিমত তোড়জোড় শুরু করলো ছেলেকে পাঠানোর ব্যাপারে। পরে ওরা জেনেছিলো, ওদের দুই পরিবারের পরিচিত কোনো শুভার্থী নাকি তার বাবাকে লাগিয়ে দিয়েছিলো তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে। তাই ওর বাবা কোন কথাই আমল দিচ্ছিলো না।
এর মধ্যে দিয়ার এস এস সি পরীক্ষা শেষ হলো । ততোদিনে ওদের প্রেম আরো গভীর আরো উষ্ণ হয়েছে। কিন্তু একদিন ওকে একটা চিঠি দিলো, সেখানে শীহাব সব ডিটেলসে লিখলো যে তাকে খুব শিঘ্রি লন্ডনে চলে যেতে হবে পড়তে। এখন সে দেখা করতে চায়। দিয়াতো চিঠি নিয়ে দৌড়ে গেলো শাহিনের বাসায়। সেও খুব মন খারাপ করলো। তারপর দুজন মিলে প্ল্যান করলো অনেকক্ষন। তারপর দিয়া একটা চিঠি লিখে দিয়ে গেলো শাহিনের হাতে। তাতে লেখা ছিল সামনের সোমবার সকাল দশটায় শাহিনদের বাসার একটু সামনে যেনো দাঁড়িয়ে থাকে। সোমবার নয়টার মধ্যেই শাহিন এসে হাজির ওদের বাড়ী। এসেই চেঁচামেচি-
: কিরে দিয়া এখনও রেডী হোসনি? আজ না মাহিনের বাসায় যাবার কথা? ওর জন্মদিনের কথাও নিশ্চয়ই ভুলে যাস্ নি?
: এমা শাহিন আমি সত্যিই ভুলে গেছিলাম।
: তাতো জানি।
তোর তো ছোট বেলা থেকেই ভুলো মন।
: জানিস আমারতো গিফটও কেনা হয়নি।
: আচ্ছা সে হবে , আমিও কিনিনি, চল এক সাথে কিনবো। যাবার সময় আবার ওর মাকে বলে গেল,
: খালাম্মা, আজ আসতে একটু দেরী হবে। সত্যি সত্যি শাহিন মাহিনদের বাসার দিকে গেলো, আর দিয়া কে বললো,
: বাড়ী ফেরার সময় আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাস! শাহিনের ঋণ এই জীবনে ভোলার নয়। ওরা সোজা ভাড়া করা ট্যাক্সিতে করে সদর ঘাটে গেলো। বুড়িগঙার তীরে যেয়ে একটা নৌকা ভাড়া করলো ৪/৫ ঘন্টার জন্য। নৌকা ছিলো ছই দেওয়া। মাঝি ছিলো খুবই বুড়ো। কিন্তু মজার মানুষ। শীহাব প্রচুর খাবার নিয়ে এসেছিলো। তার হাতে আরো কিসব প্যাকেট ছিলো । নৌকার ভেতরে ঢুকে সব জিনিশ গুলো গুছিয়ে আবার বাইরে বেরিয়ে এলো। মাঝি কে বললো
: চাচা মিয়া, বিসমিল্লাহ বলে রওনা দেন।
: কোন দিকে যামু?
: যেই দিকে আপনার দু চোখ যায়! ৪/৫ ঘন্টা আপনার মর্জির উপর ছাড়লাম। দুপুরের খাবার নিয়ে এসেছি আমাদের তিন জনের।
: তাই নাকি? তাইলেতো কোন চিন্তাই নাই। চাচা মিয়া খুব খুশী মনে নৌকা ছেড়ে দিলো। ওদের দুজনের এই প্রথম এই ভাবে বাইরে আসা। কি যে ভালো লাগছে! নদীর মৃদু মন্দ বাতাস, পাখীর কাকলি, সব মিলিয়ে এক গভীর ভালোবাসাময় পরিমন্ডল। যদিও দিয়া সারাক্ষন মুখটা ভার করে রইলো। কিন্তু শীহাবের পাশে বেশীক্ষন কেউ মুখ ভার করে থাকতে পারে না। আসলে অই দিনটা দিয়ার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। ভালোবাসায় ভরা একটা অসম্ভব সুখের দিন। একসময় শীহাব প্রচন্ড আবেগে দিয়ার বাম করতল টেনে নিলো, তার অনামিকায় পরিয়ে দিলো মুক্তোখচিতো আংটি। আর ঠোঁটে ছিলো আল্ মাহমুদের ভালোবাসার চরন-
“জল ছেড়ে এসো প্রবালেই ঘর বাঁধি,
মাটির গন্ধ একবার ভালোবেসে
জল ছেড়ে এসো মাটিতেই নীড় বাঁধি
মুক্তো কুড়োতে যেয়োনা সুদূরে ভেসে।”
দিয়া কখনো গান গায় না। তবু শীহাব যখন আংটি পরিয়ে দিলো, ওর সমস্ত শরীর শিহরিত হলো অজানা এক আনন্দে। ও শীহাবের কাঁধের উপর মাথা রেখে গাইল-
“আমার পরান যাহা চায় তুমি তাই, তুমি তাই গো।
তোমা ছাড়া আর এ জগতে মোর কেহ নাই কিছু নাই গো\
তুমি সুখ যদি নাহি পাও, যাও সুখের সন্ধানে যাও–
আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়মাঝে, আর কিছু নাহি চাই গো\”
দিয়া যখন গান গাইছিলো, সে দেখতে পায়নি, শিহাবের চোখ দিয়ে টপটপ করে অশ্রæ পড়ছিলো। তার গান করার সময় চোখ বন্ধ হয়ে যায়। একসময় তার গান শেষ করে দেখলো, শিহাবের চোখে কান্না। ও খুব বিপন্ন কন্ঠে বললো
: এই আমি তোমার মনে কষ্ট দিয়েছি?
: হু! আমি জানি তোমার এখনও মনে হচ্ছে, আমি আমার এম্বিশন এবং সুখের জন্য ইউ কে তে যাচ্ছি।
: না …না … সেটা নয়, বিলিভ মি … আমার সেটা মনে হচ্ছে না।
: তাহলে এত গান থাকতে ,এটাই কেনো গাইলে?
: বিশ্বাস করো তোমাকে আমি অসম্ভব বিশ্বাস করি, কিন্তু আমার নিজের উপরই ভরসা নাই। তুমি আমার পরিবার সম্পর্কে সবই জানো…তারপরো বুঝতে পারছো না, আমার অবস্থানটা কোথায় ? আমার নিজের উপরই ভরসা নাই।
: কেনো তুমি আমাকে ভালোবাসো না?
: আমার বাল্যকাল ,কৈশোর কাল থেকে এই এখন অব্দি আমিতো শুধু তোমাকেই চিনি, তোমাকেই জানি। (চলবে)