অনলাইন ডেস্ক : নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ব্রঙ্কসের বিশিষ্ট বাংলাদেশি ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দীন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে ব্রঙ্কসের আইনস্টাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-বন্ধু ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে নিউইয়র্ক নগরীতে লকডাউন শুরু হলে ব্রঙ্কসের সড়কে অন্যদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আজান দিয়েছিলেন গিয়াস উদ্দীন; চেয়েছিলেন আল্লাহর অনুগ্রহ। কিন্তু মার্চের শেষ দিকে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাঁকে আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টা ১৫ মিনিটে ওই হাসপাতালেই মারা যান গিয়াস উদ্দীন। তাঁর ছেলে আমিন উদ্দীন, কমিউনিটি নেতা আলমাস আলী, বিএনপি নেতা ইমরান শাহ তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কমিউনিটির অন্তঃপ্রাণ মানুষ ছিলেন গিয়াসউদ্দিন। বিশিষ্ট এ ব্যবসায়ী ছাতক সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন। ছিলেন স্টার্লিং বাংলাবাজার বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট, বাংলাবাজার জামে মসজিদের সভাপতি, এ এ ডাবল ডিসকাউন্টসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী।
বাংলাদেশে গিয়াস উদ্দীনের বাড়ি বৃহত্তর সিলেটের ছাতকে। দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে তিনি আমেরিকায় বাস করছেন। প্রথম দেশ ছাড়েন ১৯৭৮ সালে; পাড়ি জমান ইরানে। সেখান থেকে জার্মানিতে যান। তারপর ১৯৮২ সালে আমেরিকায় এসে থিতু হন।
গিয়াস উদ্দীনের আমেরিকায় ৩৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ২৬ জানুয়ারি ব্রঙ্কসে বাংলাদেশ আমেরিকান স্টাডি সেন্টার এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে কাউন্সিলম্যান রুবিন ডিয়াজ সিনিয়র, সাবেক অ্যাসেম্বলিম্যান এরিক স্টিভেনসনসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কমিউনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে ক্রেস্ট ও প্রোক্লেমেশন দিয়ে সম্মানিত করা হয়।