বিনোদন ডেস্ক : পরিচালককে পেটানানোর অভিযোগের পর এবার চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির নামে চুরি ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন ব্যবসায়ী মুহাম্মাদ সাকিব উদ্দোজা। গত শনিবার (২৩ জুন) দুপুরে গুলশান থানায় মামলাটি করেন সাকিব। মামলা নম্বর ১৩/১৬৪।
মামলায় ববি ও তার কথিত বন্ধুর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, মারধর ও চুরিসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়। এই মামলায় ববিকে দ্বিতীয় আসামি করা হলেও প্রথম আসামি করা হয় আবুল বাশারকে। যার পুরো নাম মির্জা আবুল বাসার।
মামলা বিবরণীতে বলা হয়, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করিয়া সাধারণ জখম, চুরি, ক্ষতিসাধন ও ভয় ভীতি প্রদর্শনের অপরাধ ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭, ৩৭৯, ৪২৭, ৫০৬ ধারায় করা মামলাটির তদন্ত করছেন গুলশান থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) আনোয়ার হোসেন।
মামলার সত্যতা স্বীকার গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, এই মামলার দ্বিতীয় আসামি ববি, প্রথম আসামি মির্জা আবুল বাশার (৩৪)। তারাও পরে পাল্টা মামলা করেছেন।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসাইন একটি গণমাধ্যমকে জানান, ২৩ জুন মামলাটি হয়েছে। এ ঘটনার পরই আরও একটি মামলা করেছেন ১৩ নম্বর মামলার বাদির আসামিরা। বর্তমানে মামলা দুটি তদন্তাধীন। তিনি আরও বলেন, দুই মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
ঘটনার বিবরণীতে আরো জানা যায়, ববি ও মির্জা আবুল বাসার যৌথভাবে গুলশানের ওয়াই এন সেন্টারে একটি রেস্টুরেন্ট ক্রয় করেন। ঐ রেষ্টুরেন্টটি নায়িকা তার নামে নামকরণ করেন ‘ববস্টার’। এই রেস্টুরেন্টের আগের মালিককে ৫৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল ববি ও বাশারের। প্রথমে ১৫ লাখ পরে ১০ লাখ টাকার চেক দিলেও চেক দুটি বাউন্স করে। বারবার প্রথম পক্ষের মালিক টাকার জন্য তাগাদা দিলে দ্বন্দ্ব বাঁধে। প্রথম পক্ষ টাকা চাইলে ববি ও তার পার্টনার আবুল বাসার তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল।
এ বিষয়ে প্রথম মালিক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ববি আর বাশার মূলত ক্রেতা। তারা কেনার কথা বলেও টাকা পরিশোধ করেননি। পাশাপাশি জোর করে পেশী শক্তি খাটিয়ে রেস্টুরেন্টটি দখল নেয়ার চেষ্টা করে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আজ রাতে গুলশান থানায় এ বিষয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর মামলার বাকি অগ্রগতি নিয়ে কথা বলতে পারব।
অন্যদিকে, মামলার বাদী মুহাম্মদ সাকিব উদ্দোজা মূলত ভবনটির মালিক। বকেয়া ভাড়া ও অনিয়মের অভিযোগে তিনি রেস্তরাঁটি বন্ধ করার নির্দেশ দিলে মারামারি ঘটনা ঘটে।
এদিকে জানা যায়, ববির বন্ধু আবুল বাসারের নামে এর আগেও একাধিক মামলা হয়েছে। আবুল বাশার বিটিএল গ্রুপ নামে একটি কোম্পানির মালিক। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ববিকে নায়িকা করে ‘মাস্টার মাইন্ড’ নামে একটি সিনেমাও করার কথা ছিল তার। সেই সূত্রেই ববি ও বাশারের ঘনিষ্ঠতা।