অনলাইন ডেস্ক : দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে খুচরা দোকানগুলোতে ৫৫ টাকায় এক হালি ডিম বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫ টাকা, আর দুই সপ্তাহ আগে ৪০ টাকা। কমেনি সবজির দামও।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাজারে আসা গার্মেন্টস কর্মী সোহরাব হোসেন বলেন, গত সপ্তাহেও ডিমের দাম ৫০ টাকার নিচে ছিল। আজকে তা ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দামের যা অবস্থা মনে হচ্ছে ডিম খাওয়া ছেড়েই দিতে হবে।
তবে ডিম বিক্রেতাদের দাবি, কয়েকদিন আগেও প্রচণ্ড গরমের কারণে খামারে অনেক মুরগি মরে গেছে। ফলে বাজারে ডিমের সরবরাহ হুট করে কমে গেছে। তাই কিছুটা দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, সারাদেশে মেসেজের মাধ্যমে তারা (তেজগাঁও আড়তমালিকরা) ডিমের দাম নির্ধারণ করে। হুট করে তারা দাম কমিয়ে দিয়ে খামারিদের থেকে ডিম নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করে, এরপর আবার দাম বাড়িয়ে এ সিন্ডিকেট মুনাফা লুটছে।
এদিকে স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা। পেঁপে ৮০-৯০ টাকা, বেগুনও ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। করলা ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও মান ও জাতভেদে পটলের কেজি ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে এ সপ্তাহে। প্রতি কেজি স্থানভেদে ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কম ছিল। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩৫০ থেকে ৩৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়। আকার ও মানভেদে অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া। চাষের কই ২৫০ টাকার নিচে মিলছে না। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। দেশি শোল মাছের দর প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা।