অনলাইন ডেস্ক : সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে গত এক যুগ ধরে ফরাসি দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। রাজধানী দামেস্কের দূতাবাসে ১২ বছরের মধ্যে মঙ্গলবার প্রথম পতাকা উড়িয়েছে ফ্রান্স। নয় দিন আগে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এখন সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্ক তৈরি এবং কূটনৈতিক যোগাযোগ জোরদার হওয়ার মধ্যে ফ্রান্স আবার তাদের দূতাবাসে পতাকা ওড়াল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে। দামেস্কে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম ও এর নেতা আহমেদ আল-শারা ওরফে আল-জুলানির নেতৃত্বাধীন নতুন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে ধীরে ধীর নতুন চ্যানেল খুলে দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো।

ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য সোমবারই শারার সঙ্গে বৈঠক করতে সিরিয়ায় দল পাঠিয়েছে। জার্মানিও সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মঙ্গলবার সিরিয়ার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে বলে জানিয়েছে।

ফ্রান্স এদিন সিরিয়ার একদল কূটনীতিক পাঠায় সেখানকার রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি কেমন তা খতিয়ে দেখার জন্য।

দলটি সেখানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আবার ফেরত আসবে। তাই আপাতত দূতাবাসে পতাকা ওড়ানো হলেও কার্যক্রম এখনই শুরু হচ্ছে না।

ফ্রান্স ২০১২ সালে সিরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। তার পতনের পর এখন সিরিয়ায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তন জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় সবার অংশগ্রহণভিত্তিক এবং বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স।

সিরিয়ায় শারার নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) দেশের নতুন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ আল-বশিরকে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সিরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা সংকটাপন্ন এবং ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ওপর জারি থাকা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়াও জরুরি।