Home খেলাধুলা তিনশ ক্লিনশিটে পৌঁছাবেন ন্যুয়ার

তিনশ ক্লিনশিটে পৌঁছাবেন ন্যুয়ার

স্পোর্টস ডেস্ক : রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন তিনি অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচেই। বায়ার্ন মিউনিখের প্রথম গোলকিপার হিসেবে ২০০ ম্যাচে কোনো গোল হজম না করে রেকর্ডটি করেছেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ার। তাই বলে এখানেই থামতে চান না ৩৪ বছর বয়সী এ তারকা। ক্লিনশিটের রেকর্ডটা তিনি ৩০০ ম্যাচে নিয়ে যাবেন বলেই বিশ্বাস কিংবদন্তি সেপ মায়ারের।

বায়ার্নের আগের রেকর্ডটির মালিক ছিলেন কিংবদন্তি গোলকিপার সেপ মায়ার। ১৯৬২ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে ৬৫১ ম্যাচ খেলে তিনি ১৯৯টি ক্লিনশিট রেখেছিলেন। সেখানে ন্যুয়ার মাত্র ৩৯৪ ম্যাচে ২০০ ক্লিনশিট রেখেছেন। ন্যুয়ারকে নিয়ে ভীষণ আশাবাদী মায়ার।

সম্প্রতি একটি ওয়েবসাইটকে তিনি বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, সে ৩০০ ক্লিনশিট ছাড়িয়ে যাবে। আমার বিশ্বাস, এখন যে দুর্দান্ত ফর্মে আছে সেটা সে আরও পাঁচ বছর ধরে রাখতে পারবে। তার ওপর আমার অগাধ আস্থা।’ তবে ন্যুয়ারের এই কৃতিত্বের ভাগ তিনি বায়ার্নের দুর্দান্ত রক্ষণভাগকেও দিয়েছেন, ‘এতগুলো ক্লিনশিটের জন্য কেবল ন্যুয়ার একা ধন্যবাদ প্রাপ্য নয়। এর অর্ধেক কৃতিত্ব রক্ষণভাগের। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, পেছনে একজন দুর্দান্ত গোলকিপার আছে এটা মাথায় থাকলে রক্ষণভাগ সবসময় নির্ভার হয়ে খেলতে পারে। আর গোলরক্ষক দুর্বল হলে রক্ষণভাগ দুশ্চিন্তা নিয়ে খেলে।’

তবে বছরখানেক আগেও বায়ার্ন মিউনিখে ন্যুয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। তখন বিশ্বকাপজয়ী এ গোলকিপারের ফর্ম ভালো যাচ্ছিল না। তাই শালকে জার্মান তরুণ গোলরক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিভাবান আলেকজান্ডার নোবেলকে দলে টেনেছিল বায়ার্ন। এ মাসের শুরুতে পোকাল কাপে তার অভিষেকও হয়েছে। তবে মায়ার মনে করছেন, ২৪ বছর বয়সী এ তরুণ প্রতিভা বায়ার্নে খুব একটা সুযোগ পাবেন না। তাই তাকে বসিয়ে না রেখে কোথাও ধারে পাঠানো উচিত। যার মানে ন্যুয়ারকে তিনি বায়ার্নের গোলপোস্টের নিচে দীর্ঘ সময়ের জন্য দেখছেন।

Exit mobile version