অনলাইন ডেস্ক : এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালের পর আরও একবার হোয়াইট হাউজে ফিরছেন মার্কিন এই ধনকুবের। বুধবারই (৬ নভেম্বর) তা নিশ্চিত হয়ে গেছে।
তবে এ দিনটি কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যই শুভ ছিল না, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তির জন্যও ছিল এক অবিস্মরণীয় দিন। কারণ এদিনই তাদের সম্পদ অভাবনীয়ভাবে বেড়ে যায়।
ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, এদিন তাদের সম্মিলিত সম্পদে রেকর্ড ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যোগ হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং ট্রাম্পের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সমর্থক ইলন মাস্ক বুধবার সবচেয়ে বড় আর্থিক সাফল্য অর্জন করেন। এদিন তার সম্পদ ২৬.৫ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ২৯০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যায়।
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদও এদিন ৭.১ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এক সপ্তাহ আগেই তিনি ওয়াশিংটন পোস্টকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সমর্থনে সংবিধান ছাপানোর বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত রক্ষা করেছিলেন।
এছাড়াও ট্রাম্প সমর্থক ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের সম্পদ ৫.৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পায় বুধবার।
একইদিনে আরও যেসব ব্যক্তি লাভবান হয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন মাইক্রোসফটের সাবেক নির্বাহী বিল গেটস এবং স্টিভ বালমার, গুগলের সাবেক নির্বাহী ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন এবং বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেট।
যদিও এদের মধ্যে কেউই এবারের নির্বাচনে প্রকাশ্যে কোনো প্রার্থীকেই সমর্থন জানাননি। তবুও এরা অতীতে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী ও তাদের পক্ষেই কথা বলেছেন বলে প্রমাণ আছে।
এদিকে ব্লুমবার্গের তথ্যমতে, বুধবারের এই সম্পদ বৃদ্ধির ঘটনাটি ২০১২ সালে ইনডেক্স চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত একদিনে সম্পদ বৃদ্ধির ‘সবচেয়ে বড় ঘটনা’।
এবারের মার্কিন নির্বাচন দ্রুত সমাপ্ত হওয়ায় এবং ট্রাম্প এক নতুন নিয়মনীতির যুগ এবং কর-বান্ধব নীতিমালা আনতে যাচ্ছেন বলে বিনিয়োগকারীরা যে ধারণা পোষণ করেছেন, তার ভিত্তিতেই শেয়ার মার্কেটে এই বড় আকারের উত্থান ঘটে। যা ধনী ব্যক্তিদের সম্পদ আরও বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে।
এজেন্ট স্মিথের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাইকেল ব্লকের মতে, এই ঘটনা ব্যবসায়ী-বান্ধব এবং কর-বান্ধব শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক বিশাল ধারণার সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ট্রাম্পের দল যখন সিনেটেও জয়ী হয়েছে।
এদিকে ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপের মালিকানাধীন ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ট্রুথ সোশ্যালও এই ঘটনায় উল্লেখযোগ্যভাবে লাভবান হয়েছে।
নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়ের সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য প্রায় ৩৫% পর্যন্ত বেড়ে যায়। যদিও শেয়ারের মূল্য পরে কিছুটা কমেছে। তবুও এই বৃদ্ধি ট্রাম্পকে উল্লেখযোগ্য আর্থিক সুবিধা এনে দিয়েছে।
নির্বাচনের দিন শেষে ট্রাম্পের ১১৪.৭৫ মিলিয়ন ডলারের শেয়ার ৩.৯ বিলিয়ন বেড়ে ৫.৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। সূত্র: সিএনএস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমলা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পদ বাড়ল