অনলাইন ডেস্ক : ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্কের বেতন নির্ধারণ করেছে অংশীদাররা।গতকাল বৃহস্পতিবার অংশীদাররা ভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন যে ৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেতন-ভাতা প্যাকেজ পাবেন মাস্ক, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬ লাখ কোটি টাকারও বেশি।

রয়টার্সের মতে, এখন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া সিইও হতে যাচ্ছেন মাস্ক। টেক্সাসে অংশীদারদের বার্ষিক বৈঠকে মাস্ক নিজেকে ‘সব পরিস্থিতিতে ইতিবাচক’ মানুষ হিসেবে অভিহিত করেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগ মাস্কের নেতৃত্বের প্রতি প্রতিষ্ঠানটির অংশীদারদের আস্থার প্রমাণ। বেতন-ভাতার অনুমোদন মাস্কের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, কারণ এটাই তার উপার্জনের সবচেয়ে বড় উৎস।

সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মাস্ককে পছন্দ করলেও কিছু বড় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও প্রক্সি প্রতিষ্ঠান এই বিপুল পরিমাণ বেতন-ভাতার বিরোধিতা করেছে।

তবে মাস্ক বলছেন, ‘দিনের শেষে আমি ফল এনে দেই। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

এর আগে ২০১৮ সালে এই প্যাকেজের প্রস্তাব আসলেও নানা জটিলতায় এটি বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় লেগেছে।

অংশীদারদের অনুমোদন পেলেও এখনই এই অর্থ পাচ্ছেন না মাস্ক। ডেলাওয়্যারের আদালতে এই প্যাকেজের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইন বিশেষজ্ঞদের মত, এই মামলার বিচারিক কার্যক্রমে লেগে যেতে পারে কয়েক মাস।

জানুয়ারিতে বিচারক এই পে প্যাকেজকে ‘অকল্পনীয়’ বলে অভিহিত করেন এবং বাতিল করেন।

ডেলাওয়্যারের বিচারক ক্যাথলিন ম্যাককরমিক (৪৪) টেসলার বোর্ডের সমালোচনা করে বলেন, বোর্ডের সদস্যদের কুক্ষিগত করেছেন মাস্ক। তিনি বলেন, এই পে প্যাকেজের প্রস্তাব এমন একটি বোর্ডের কাছ থেকে এসেছে, যারা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ পরিপন্থী কাজ করেছেন। বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে মাস্কের ব্যক্তিগত ও আর্থিক সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

অংশীদারদের বৈঠকের লাইভস্ট্রিম দেখেন অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ। এটি মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) সরাসরি দেখানো হয়। পাশাপাশি ৪০ হাজার মানুষ ইউটিউবেও এটি দেখেছেন।

টেসলার বোর্ড জানিয়েছে, মাস্ক এই বেতন-ভাতা প্যাকেজ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন, কারণ বাজারে টেসলার অবস্থান, রাজস্ব ও মুনাফা অর্জনের সকল উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা তিনি বছরের পর বছর অর্জন করেছেন।

এ মুহূর্তে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মালিক ইলন মাস্ক, যার মধ্যে আছে রকেট নির্মাণকারী স্পেস এক্স, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিত্তার প্রতিষ্ঠান এক্সএআই।