Home আইটি বিশ্ব টুইটার কেনার চুক্তি স্থগিত করলেন ইলন মাস্ক

টুইটার কেনার চুক্তি স্থগিত করলেন ইলন মাস্ক

অনলাইন ডেস্ক : জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কেনার চুক্তি আপাতত স্থগিত করেছেন ইলন মাস্ক। বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে টুইটারের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হয়েছে। যা নিয়ে নতুন করে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে।

এর মধ্যেই হঠাৎ করেই টেসলা কর্তার টুইট! যেখানে তিনি জানিয়েছেন, ডিল আপাতত ভাবে স্থগিত রাখা হচ্ছে। আর রহস্যময় টুইট ঘিরেই নতুন করে সমালোচনা বিশ্বজুড়ে। কেউ বলছেন মাস্ক কি মজা করছেন কেউ আবার বলছেন কেন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন তিনি? স্পষ্ট ভাবে কিছু মাস্ক এখনও জানাননি। তবে স্প্যাম এবং জাল অ্যাকাউন্টের জন্য এই ব্যবস্থা বলে সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছেন মাস্ক।

তিনি টুইটারে লেখেন, বাস্তবে সত্যিই কি টুইটারে স্পেম এবং ফেক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা পাঁচ শতাংশের থেকে কম? এই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। আর এই গণনার সম্পূর্ণ তথ্যও সামনে আসেনি। আর সেদিকে তাকিয়েই এমন সিদ্ধান্তকে আপাতত হোল্ডে রাখা হল বলে সোশ্যাল মিডিয়াতে জানিয়েছেন টেসলা কর্তা। প্রথম দিন থেকেই যদিও ফেক অ্যাকাউন্ট সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। আর এরপরেই এহেন টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বলে রাখা প্রয়োজন, বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্কের অর্ধেকেরও বেশি টুইটার ফলোয়ার ভুয়া। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করে একটি অনলাইন অডিটিং টুল। টেসলা কর্ণধার ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে মাইক্রো-ব্লগিং ওয়েবসাইট কেনার জন্য একটি চুক্তি করার মাত্র কয়েকদিন পরেই এই চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হয়। অনলাইন টুল স্পার্কটোরোর অডিটের ফলাফলে দেখা যায় এই তথ্য। ইলন মাস্কের অনুগামীদের ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভুয়া বলে দাবি করে ওই টুল। তার মানে ইলন মাস্কের টুইটার ফলোয়ারদের মধ্যে স্প্যাম অ্যাকাউন্ট, বট বা আর সক্রিয় নয়, এমন সংখ্যাই বেশি। সক্রিয় টুইটারের সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও নীচে। আর এরপরেই এই বিষয়টি সামনে রেখেই কি টুইটার কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলেই টেসলা কর্তা।

টুইটারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ২২ কোটি ৯০ লাখ ইউজার টুইটার প্লার্টফর্ম ব্যবহার করে থাকে। আর এই রিপোর্ট মোতাবেক, প্রিমার্কেট ট্রেন্ডিং-এ সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার শেয়ার ১৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, এই সপ্তাহে টেসলা এবং টুইটারের শেয়ারে ভালো রকম পতন হয়েছে। মাস্ক এবং টুইটারের মধ্যে চলা একটা ডামাডোলের কারনেই এই শেয়ারের পতন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে টেসলার অবস্থাও গত দুমাসে কিছুটা খারাপ হয়েছে। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।

 

Exit mobile version