রাশিদুল হাসান : টরন্টোর নতুন মেয়র অলিভিয়া চাউ শহরের পুলিশ সার্ভিসের সাথে চলতি বছরের বাজেট নির্ধারণ নিয়ে বিতর্কিত পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে যাচ্ছেন। তিনি একদিকে বিশাল ঘাটতি এবং অন্যদিকে জরুরী কলে পুলিশ বাহিনীর সাড়া দেওয়ার সময়ের অবনতির মোকাবেলা নিয়ে চাপের মধ্যে আছেন।
টরন্টো পুলিশ প্রধান মাইরন ডেমকিউ মেয়র অলিভিয়া চাউয়ের কাছে টরন্টো পুলিশ সার্ভিসের জন্য ২০২৪ সালে পূর্ণাঙ্গ ১১৮ কোটি ৬০ লাখ অনুমোদনের অনুরোধ জানিয়েছেন। সিটি কর্মীরা এর আগে অনুরোধ করা বাজেট থেকে ১ কোটি ২৬ লাখ ডলার ছেঁটে এ মাসের গোড়ার দিকে প্রথমবারের মতো তা উপস্থাপন করেন। টরন্টোর বাজেট থেকে ৬০ কোটি ডলার কর্তন ও সাশ্রয়ের যে উদ্যোগ এটা তার অংশ। পুলিশের অনুরোধ করা বাজেট থেকে ১ কোটি ২৬ লাখ ডলার কমানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, টরন্টো পুলিশপ্রধান মাইরন ডেমকিউ। এতে পুলিশের তৎপরতা কমে যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বাহিনীর জননিরাপত্তা নিশ্চিতের সক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে মেয়র অলিভিয়া চাউ একে বাজেট কর্তন বলতে নারাজ। তিনি এই গত মাসে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘টরন্টো পুলিশ তাদের বাজেটে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বেশি পাচ্ছে। কোনো কাটছাঁট নেই।’
সিটি কর্মীদের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, টরন্টো পুলিশ সার্ভিস ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ৮০ লাখ ডলার বেশি পাচ্ছে। তবে পুলিশের দাবিকৃত বাজেটের চেয়ে আবার সিটি কর্মীদের প্রস্তাবিত বাজেট কম হয়ে যাচ্ছে। এতেই নাখোশ টরন্টো পুলিশ। ডেমকিউ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদিত হলে পুলিশ বাহিনীর সাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে অবনতি হতে থাকবে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কল বর্তমানে ২২ মিনিটের মধ্যে আমরা সাড়া দিয়ে থাকি। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই সক্ষমতা কমতে থাকবে। তিনি আরও বলেন, টরন্টো পুলিশ সার্ভিসের পুরোপুরি ২ কোটি ডলার বাড়তি বাজেট দরকার। শূন্য পদ পূরণ এবং নগরীতে পর্যাপ্ত কর্মী সংখ্যা নিশ্চিত করতে এটা প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাজেট কমানো হলে জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে অগ্রহণযোগ্য মাত্রায় ঝুঁকি তৈরি হবে। কর্মকর্তাদের স্বউদ্যোগী হয়ে নগরীতে টহলও এর মধ্যে অন্যতম।
পুলিশ সার্ভিস এবং টরন্টো পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (টিপিএ) এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রচারণা শুরু করেছে। তবে আপাতত নতুন মেয়রকে এ বিষয়ে তার অবস্থান শক্তভাবেই ধরে আছেন বলে মনে হচ্ছে।
সূত্র : সিবিসি নিউজ