অনলাইন ডেস্ক : ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন থেকে এখনো চার বছর দূরে টরন্টো। কিন্তু একটি সিটি রিপোর্ট বলছে, ইতিমধ্যেই এই ইভেন্টের প্রাইস ট্যাগ বেড়ে ১০ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। টরন্টো ২০২৬ বিশ্বকাপের মোট পাঁচটি খেলা আয়োজন করবে। যাতে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ৩০০ মিলিয়ন ডলার। প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকার এ খরচের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বহন করবে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।
রিপোর্ট অনুসারে, মঙ্গলবার বিষয়টি মেয়র জন টরির নির্বাহি কমিটিতে পাঠানো হবে। ফিফা কর্তৃক আয়োজক কমিটিকে দেয়া বিভিন্ন রাজস্ব সুবিধা ও বানিজ্যিক আয় থেকে খরচের অনেকাংশই উঠে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
গত জুনের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক শহর হিসেবে টরন্টোর নাম ঘোষণা করা হয়। যা শহরটির ফুটবল প্রেমিদের মাঝে উদযাপনের একটি উপলক্ষ এনে দেয়। আয়োজনের ব্যয় মেটাতে সম্পূর্ণ সরকারি তহবিল নিশ্চিত না হলেও মেয়র টোরিকে এপ্রিলে আয়োজক হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণ করার জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
টরন্টো সিটি কাউন্সিলকে এখন প্রয়োজনীয় তহবিল নিশ্চিত করতে শহর, প্রদেশ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি সকার কানাডার মধ্যে একটি বহু-দলীয় চুক্তি অনুমোদন করতে বলা হচ্ছে। যাইহোক, কেন্দ্রীয় সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে যে জাতীয় নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা সম্পন্ন হলেই নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হবে। তবে এটি ২০২৩ সালের আগে হবে বলে মনে হচ্ছে না।
গত মাসের প্রাদেশিক নির্বাচনের সময়ের কারণে প্রদেশ থেকে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি বিলম্বিত হয়েছে। কার্যনির্বাহী কমিটি বহুদলীয় চুক্তি অনুমোদন করলে এটি ১৯ জুলাই কাউন্সিলে যাবে। বিশ্বকাপের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির জন্য কাউন্সিলকে নয়জন ব্যক্তি নিয়োগ দিতে বলা হচ্ছে। ২০২৬ বিশ্বকাপে মোট ৮০ টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এই খেলাগুলোর মধ্যে পাঁচটি টরন্টো এবং পাঁচটি ভ্যাঙ্কুভারে হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সূত্র : সিবিসি