অনলাইন ডেস্ক : সিরিয়ার একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহী বাহিনী।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দক্ষিণের শহর দারার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করেছে বিরোধীরা।
জানা যায়, ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে এই শহরটিতে অভ্যুত্থান শুরু হয়। দারার দখল নেওয়ার মধ্য দিয়ে আসাদ সরকারের ক্ষমতা হুমকিতে পড়েছে। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনা কর্মকর্তাদের একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী দারা শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছেন তারা। বিনিময়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬০ মাইল) উত্তরে রাজধানী দামেস্কে তাদের নিরাপদে পৌঁছানোর পথ করে দিতে হবে বিদ্রোহীদের।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, দারা শহরের রাস্তায় রাস্তায় সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় উদযাপন করছেন বিদ্রোহীরা। এ সময় শহরের প্রধান চত্বরে মোটরসাইকেলে চড়ে সাধারণ মানুষকে উল্লাস করতে দেখা যায়।
তবে এ বিষয়ে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী বা আসাদ সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
যদিও বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিদ্রোহীদের দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।
দারার পতনের সঙ্গে সঙ্গে আসাদের বাহিনী এক সপ্তাহে চারটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ হারালো বিদ্রোহীদের কাছে।
১৩ বছর আগে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রায় ১ লাখের বেশি জনসংখ্যা ছিল দারায়। শহরটি আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রতীকী গুরুত্ব বহন করে। এটি জর্ডান সীমান্তবর্তী একটি প্রদেশের রাজধানী। যে প্রদেশটিতে প্রায় ১০ লাখ লোকের বাস।
উল্লেখ্য, শুক্রবার গভীর রাতে বিদ্রোহীরা দাবি করে, তারা রাজধানী ও ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের মধ্যবর্তী গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হোমস শহরের প্রান্তে অগ্রসর হয়েছে। ইসলামপন্থী দল হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) অন্তর্ভুক্ত বিদ্রোহী দলগুলোর একটি জোট হোমসে আসাদ সরকারের প্রতি অনুগত বাহিনীকে আত্মসমপর্ণের শেষ আহ্বান জানিয়েছে।